ভ্রমণ :- ( কুষ্টিয়া ) রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।
মূলত কিছুদিন আগে আমরা কুষ্টিয়া ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়েছিলাম আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করতে। আমরা ছিলাম কিবরিয়া ভাইয়াদের বাসায়। মুস্তাফিজুর ভাইয়া এবং কিবরিয়া ভাইয়া এরা আমাদেরকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। আমরা মূলত কয়েকটা জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার কথা হয়েছে। এজন্য একটা গাড়ির ব্যবস্থা করেছে। এরপর আমরা সবাই মিলে সকালবেলা বের হয়ে গেলাম ঘুরাঘুরি করার উদ্দেশ্যে। যদিও ভাইয়াদের এলাকা থেকে একটু দূরে ছিল।
তবে গাড়ির ব্যবস্থা থাকার কারণে আমাদের জন্য সুবিধা হয়েছে। তো আমরা পৌঁছে গেলাম কুঠিবাড়ি। সেখানে দেখলাম পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। জায়গাটা ছিল অনেক বড়। সেখানে আমাদের গাড়িটা পার্কিং করে রেখেছিল। যেখানে গাড়ি পার্কিং করেছিলাম এটা ছিল অনেক বড় একটা মাঠের মতো জায়গা। জায়গাটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এরপর আমরা গাড়ি থেকে নেমে সামনের দিকে হাটতে ছিলাম। দেখলাম কুঠিবাড়ির সামনের জায়গাটায় , রাস্তার দুই পাশে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র গুলো বিক্রি করছিল।
এখানে ছিল অনেকগুলো দোকান। দেখলাম খুব সুন্দর মাটির জিনিসপত্রগুলো বিক্রি করছিল। এরপরে দেখলাম খুব সুন্দর কাঠের কিছু জিনিসপত্র রয়েছে। এই জিনিসপত্র গুলো দেখে আমি ফটোগ্রাফি করে নিলাম। এরপর আমরা কুঠিবাড়ির গেইটের সামনে গিয়ে একটা ফটোগ্রাফি করলাম। আমার কাছে ভালোই লেগেছে জায়গাটা। সে বলতেছিল ওর একটা ফটো দেখে করে দিতে, তাই জন্য একটা ফটোগ্রাফি করে দিলাম। এরপর আমরা গেইটের ভেতরের প্রবেশ করলাম। ভেতরের দিকে গিয়ে দেখলাম অনেকটা দূরে একটা বড় বাংল বাড়ির মত রয়েছে।
দূর থেকেই একটা ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। দেখলাম খুবই সুন্দর লেগেছে। বেতরের দিকে আরো বেশ কয়েকটা ফটোগ্রাফি করেছিলাম। মেইন গেটের ভেতরের দিকে দেখলাম আরো একটা গেইট রয়েছে। এক মূলত কুঠিবাড়ির ভেতরে প্রবেশ করার গেইট। তবে আমরা যখন যাচ্ছিলাম তখন দেখলাম গেটটা খোলা ছিল। আমরা প্রবেশ করার আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা যখন গেছিলাম তখন প্রায় একটা বেজে গেছে। বলা হয়েছে নামাজের জন্য নাকি এখন প্রবেশ করা যাবে না।
ত্রিশ মিনিট পর খোলা হবে। এখন আমরা কি করবো সেটাই বুঝতে পারছিলাম না। তবে দেখলাম জায়গাটা অনেক বড়। এজন্য ভাবলাম চারপাশে একটু ঘুরে দেখি। আর সবকিছু দেখতে দেখতে ফটোগ্রাফি করছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। এরপর আমরা হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম পেছনের দিকে। দেখলাম পেছনের দিকটাও বেশ বড় রয়েছে। আবার এখানে মানুষের আসা যাওয়া ও অনেক। পেছনের দিকে আমরা কি কি দেখেছিলাম সেটা আপনাদের মাঝে পরবর্তীতে শেয়ার করবো। আজকে এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
0.00 SBD,
1.38 STEEM,
1.38 SP
https://x.com/TASonya5/status/1899696452504555674?t=6mQYQvSkBb0EsURtRy2xag&s=19
রবীন্দ্র কুঠির বাড়িতে আসলেই আমরা অনেক সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করতে সক্ষম হয়েছিলাম। জায়গাটা আসলেই অনেক সুন্দর। আর আপনারা আসার কারণে আমাদের ভ্রমণের আনন্দটা আরও বৃদ্ধি হয়ে গিয়েছিল।
ঠিক বলেছেন জায়গাটা অনেক বেশি সুন্দর।
আপনারা যখন কুষ্টিয়া ঘুরতে গেছিলেন, তখন অনেক জাগায় ঘুরেছেন। তার মধ্যে একটি হলো রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি। ঐতিহাসিক একটি স্থান। যদিও এখন পর্যন্ত সেখানে আমার যাওয়া হয়নি। আপনার অনুভুতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
আমার অনুভূতিটা পড়ে আপনার ভালো লাগলো শুনে খুশি হলাম।
রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির মতো ঐতিহাসিক ও মনোমুগ্ধকর স্থানে আপনারা সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এটা জানতে সত্যিই ভালো লাগলো ।এমন জায়গাগুলো শুধু চোখের আরামই নয়, মনেরও প্রশান্তি এনে দেয়। আপনাদের অভিজ্ঞতা শুনে মনে হলো যেন আমিও সেই ভ্রমণের অংশ ছিলাম। আশা করি ভবিষ্যতে আমিও সেখানে যেতে পারব এবং সেই সৌন্দর্য নিজের চোখে উপভোগ করতে পারব। আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কুষ্টিয়ায় রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ির জায়গাটি কিন্তু বেশ সুন্দর। ঘোরার জন্য একেবারে আদর্শ জায়গা। আর যেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি জড়িয়ে আছে সে জায়গা তো বাঙালির তীর্থস্থান। বাড়িটি খুব সুন্দরভাবে পর্যবেক্ষণে রয়েছে বলেই মনে হল। আপনি ভীষণ সুন্দর করে সম্পূর্ণ ভ্রমণের বৃত্তান্ত টি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন।