লাইফ স্টাইল :- মেহেরপুরের প্রিয় ব্লগারদের নিজের পেইন্টিং গিফট করার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। যেহেতু আমার বাংলা ব্লগ আমাদের একটি পরিবার, তাই জন্য আমি আমার দৈনন্দিন জীবনে যেকোনো বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পছন্দ করি। তেমনি আজকেও আপনাদের মাঝে নতুন একটি বিষয়ে শেয়ার করতে আসলাম । আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আপনাদের সাথে অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত শেয়ার করবো। আসলে এই মুহূর্তটা সত্যি অনেক বেশি সুন্দর ছিল। আপনারা সবাই জানেন কিছুদিন আগে আমরা কুষ্টিয়া মেহেরপুর ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে মূলত অনেক ব্লগার রয়েছে আমার বাংলা ব্লগের। সবার সাথে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে পরিচয়। আর এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটি পাওয়া। এত সুন্দর সম্পর্ক গুলো হয়তোবা কেউ কখনো পাবে না। এতগুলো মানুষের সাথে দেখা হওয়া এমনকি তাদের সাথে সুন্দর মুহূর্ত কাটানো সবটাই যেন অসাধারণ।
আমরা মূলত যাওয়ার সময় সবার জন্য আমার আঁকা কিছু পেইন্টিং নিয়ে গিয়েছিলাম সবাইকে গিফট করার জন্য। আসলে কয়েকটা ক্যানভাসে আমার কিছু পেইন্টিং করা ছিল, তবে যেহেতু আমরা ওইখানে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করলাম তাই জন্য, ইমারজেন্সি আরও বেশ কয়েকটা পেইন্টিং করলাম। সেই কয়দিন আমার অনেক বেশি কষ্ট হয়েছিল। কিন্তু প্রিয় মানুষগুলোকে যখন আমার করা পেন্টিং গুলো দিবো এটা ভাবতেই অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে আমরা সবাই মিলে একটা পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম।
সেখানেই আমরা সবাই মিলে প্রায় অনেকটা সময় কাটায়। আমরা প্রায় সকাল ১১ টায় গিয়ে বিকেলের দিকে আসি। আমরা সবাই মিলে সেখানে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে এরপর কিছুক্ষণ আবার বসে সময় কাটালাম। তো আমি আমার গিফট গুলো ওইখানে নিয়ে গিয়েছিলাম। কারণ সেখানে সবার সাথে দেখা হবে তাই জন্য। পরবর্তীতে আমি সবাইকে আমার করা একটা একটা করে পেইন্টিং গিফট করলাম। সত্যি বলতে আমার দেওয়া পেইন্টিং গুলো পেয়ে সবাই অনেক বেশি খুশি হয়েছে। আমি মনে করি সবাইকে আমার হাতে আঁকা ছবিগুলো দিতে পেরেছি এটাই অনেক বড় কথা।
এখানকার মধ্যে প্রায় অনেকগুলো পেইন্টিং কিন্তু আমি এখনো পোস্ট করিনি। ছবিগুলো আপনার আগে থেকেই দেখে ফেলেছেন। তবে হ্যাঁ আস্তে আস্তে সবগুলো পেইন্টিং আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। আসলে ছবি আঁকার মত সুন্দর অনুভূতি আর কিছুই হয় না। আচ্ছা এখানকার সবাই কি আপনারা কি চিনতে পারছেন? পারলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। তবে আসলে আমার আঁকা ছবিগুলো এতজন ব্লগারের কাছে থাকবে এটা ভাবতেই আমার ভীষণ ভালো লাগতেছে। আমি মনে করি আসলে এর চেয়ে ভালো কিছু আর হতেই পারে না।
আসলে এতগুলো মানুষের সাথে দেখা হয়েছে এমনকি এত বেশি সময় কাটিয়েছে, সবকিছুর কথা এখন অনেক বেশি মনে পড়তেছে। যদি কাছে হত তাহলে তো সব সময় চলে যেতাম। সবার সাথে এরকম সময় আর কখনো কাটাতে পারব কিনা জানিনা। তবে এই মুহূর্তগুলো সব সময়ের জন্য স্মৃতি হয়ে থাকবে। সত্যি সবাই কিন্তু অনেক বেশি আন্তরিক ছিল আমাদের জন্য। মনে হয়েছিল আমরা অপরিচিত কেউ নয়। হয়তোবা আমার মনে হয় আত্মীয়ের থেকেও বেশি কিছু। সবার সাথে এত সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে পেরে ভীষণ ভালো লেগেছে। পরবর্তীতে আবার আসবে নতুন কিছু নিয়ে।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
মেহেরপুর গিয়ে আমার বাংলা ব্লগের অনেক মেম্বারদের সাথে দেখা করেছেন। এই মুহূর্তগুলো বেশ কয়েকবার পোষ্টের মাধ্যমে দেখেছিলাম। তাদের সবাইকে খুব সুন্দর পেইন্টিং উপহার দিয়েছেন। আপনার পেইন্টিং সব সময় খুব সুন্দর হয়। সবাই উপহার পেয়ে নিশ্চয়ই খুশি হয়েছে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমিও চেষ্টা করছি এক এক করে মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।
https://x.com/TASonya5/status/1886614309683519724?t=X1EXgWXBEc48CUtOhr2Dmw&s=19
বাহ আপনি সেই সুদূর ফেনী থেকে মেহেরপুর গিয়ে আমার বাংলা ব্লগের অনেক মেম্বারদের সাথেই মিট করেছেন। আবার সবাইকে নিজের আর্ট করা পেইন্টিং ও উপহার দিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। পেইন্টিং গুলো অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ।
ওনাদের এলাকায় যাওয়ার পর অনেক ভালো লেগেছিল।
অসাধারণ আপনি ফেনী থেকে মেহেরপুর পর্যন্ত এসে ব্লগের সদস্যদের সাথে এত সুন্দরভাবে মিট করেছেন, এটা সত্যিই প্রশংসনীয়। আর তাতে আপনার হাতে আঁকা পেইন্টিং গুলো উপহার হিসেবে দিয়ে সবাইকে আরও আনন্দিত করেছেন এটা তো বিরাট কাজ। পেইন্টিং গুলোও অনেক মেধা ও সৃজনশীলতার পরিচয় দিয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত গুলি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমার করে পেইন্টিং উপহার দিতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে।
আপু যখন আপনার কাছ থেকে পাওয়া উপহারের পেইন্টিং টি দেখে তখনি ওই দিনটার কথা মনে পড়ে যায়। আর ভীষণ ভালো লাগে তাই পেইন্টিং টা আমার ঘরের দেওয়ালে টাঙিয়ে রেখেছি। কখনো ভাবতেই পারিনি এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনাদের সাথে কাটাতে পারবো। দিনটি আজকে আবারও আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনাদের সবার সাথে সুন্দর মুহূর্ত গুলো কাটাতে পেরে সত্যি খুব ভালো লেগেছিল।
ব্লগারদের ভার্চ্যুয়াল সম্পর্ক যখন বাস্তবে আসে তখন অনুভূতি একেবারেই আলাদা হয়। আমরা এখানে যারা কাজ করি তারা যে সত্যিই বন্ধু এবং পরিবারের সদস্য তা এমন সুন্দর দৃশ্য দেখলে আরই বোঝা যায়। আপনি সবার জন্য নিজে হাতে পেইন্টিং করে নিয়ে গেছেন বিষয়টা খুবই প্রশংসনীয় । এতো সুন্দর পেন্টিং করেন , তাই এর থেকে ভালো উপহার আর কিই বা হতে পারত আমি জানি না। খুব ভালো লাগল আপু।
এই অনুভূতিটা অনেক বেশি দারুন ছিল। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল সবার সাথে সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু প্রিয় মানুষ গুলোর সাথে যখন দেখা হয় তখন অনেক ভালো লাগে। আর আপনার প্রেইন্টিং গুলো ওদের কাছে আছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। এর এই সব গুলোই চেনা মুখ। ধন্যবাদ আপু পরিবারের সাথে দেখা করার জন্য।
আমি ওনাদের আমার পেইন্টিং গিফট করেছি। আর এটা আমার খুব ভালো লেগেছিল।
ক্যামেরার মধ্য থেকে শুধু আমি বাদ পড়ে গেছি। আপু আপনাদের সুন্দর এই মুহূর্তটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিল। আমি ক্যামেরার মধ্যে না থাকতে পারলেও বাড়ি থেকে বেশ অনুভব করছিলাম। ইনশাল্লাহ আবারো দেখা হবে আমাদের সকলের।
ইনশাল্লাহ আপু অবশ্যই আবারো দেখা হবে।