আর্ট :- সমুদ্রের পাশে অসাধারণ একটি বাড়ির দৃশ্য পেইন্টিং।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পেইন্টিং নিয়ে। আজকে আমি অনেক সুন্দর একটি সমুদ্রের পাশে অসাধারণ একটি বাড়ির দৃশ্য পেইন্টিং করলাম।
পেইন্টিং করতে বসে কোন কিছুই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। হঠাৎ করে একটা ছবি দেখলাম। যেটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। দেখলাম সমুদ্রের পাশে একটা খুব সুন্দর বাড়ি। তখন ভাবলাম এই ছবিটার মত করে আমিও একটা পেইন্টিং আঁকার চেষ্টা করি। এরকম অনেক সময় দেখা যায় পাশে সমুদ্র এবং এর সাথে খুব সুন্দর বড় বড় বাড়ি। যেগুলো চারপাশে খুব সুন্দর ফুলের গাছ এবং অনেক সুন্দর দৃশ্য থাকে। তেমনি এখানেও আমি বাড়ির সামনে কয়েকটা ফুলের গাছ দিয়েছি। এখানে আবার কতগুলো সবুজ গাছপালা দিলাম। সবকিছু মিলিয়ে পেইন্টিংটা অনেক বেশি ভালো লেগেছে। তবে এই পেইন্টিংটা করতে অনেক বেশি সময় ও লেগেছে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
যে ভাবনা সেইভাবে কাজ শুরু করলাম। আজকের এই পেইন্টিংয়ে আমি এক্রোলিক কালার ব্যবহার করেছি। এক্রোলিক কালার ছাড়াও পেইন্টিং করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং কিভাবে আমি এই পেইন্টিংটা করলাম তার ধাপে ধাপে বর্ণনা করে আপনাদের সাথে এই সম্প্রদায়ে ভাগ করে নিলাম। আশা করি আমার আজকের পেইন্টিং আপনাদের ভালো লাগবে।
আঁকার উপকরণ
• আঁকার বোর্ড
• এক্রোলিক কালার
• রং করার তুলি
• রংয়ের প্লেট
• পানি
আঁকার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি আঁকার বোর্ড নিলাম। এরপর আমি প্রথমে পেন্সিল দিয়ে একটা স্কেচ করে নিলাম। এরপর একপাশের অংশে আকাশী কালার এবং সাদা কালার দিয়ে রং করে নিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপর আমি সাদা কালার দিয়ে আকাশের মধ্যে ছোট ছোট কিছু মেঘ এঁকে দিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপর আমি দুইটা কালার দিয়ে বাড়িটার কিছুটা অংশ ছোট ছোট করে রং করে নিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপর আমি দুই পাশের অংশে একটা হালকা কালার দিয়ে রং করে নিলাম। মাঝখানের রাস্তার অংশটাকে কফি কালার দিয়ে রং করে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপরে রাস্তার মধ্যে আমি একটু ডিজাইন করে পাথরের মত করে এঁকে নিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপরে আমি ঘরের উপরের অংশগুলোকে একটু কয়েকটা কালার দিয়ে হাইলাইটস করে নিলাম। এরপরে এক পাশের অংশে ফুল গাছ আঁকা শুরু করি।
ধাপ - ৭ :
এরপরে আমি রাস্তার দুইপাশের অংশে কয়েকটা ফুল গাছ এঁকে খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে নিলাম ।
শেষ ধাপ :
এভাবে আমি পুরো পেইন্টিং করা শেষ করি। আশা করি আমার আজকের পেইন্টিং আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | পেইন্টিং |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
https://x.com/TASonya5/status/1903301913090855047?t=BHNk_8ftrpN67OaotQJ4vQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/TASonya5/status/1903160557274067402?t=U0v_aQn8Fp-9q6hBYdQ9Fw&s=19
চমৎকার সুন্দর হয়েছে আপনার সমুদ্রের পাশে বাড়ির পেইন্টিংটি। সত্যি অনেক ভালো আপনার পেইন্টিং এর দক্ষতা। আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের সামনে ধাপে ধাপে আপনার পেইন্টিংটি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ।
আমার আজকের করা পেইন্টিং টা চমৎকার হয়েছে শুনে খুবই খুশি হলাম দাদা।
https://x.com/TASonya5/status/1903430722993676519?t=jhomWd8-KLZ_3tq44NJbGA&s=19
পেইন্টিংটা দেখে মনে হচ্ছে বাস্তব একটা দৃশ্য চোখের সামনে দেখছি। খুব সুন্দর করে পেইন্টিং করেছেন আপু। সমুদ্রের পাশে একটি বাড়ি যে রকম বাড়িতে থাকার খুব ইচ্ছে রয়েছে। যদিও পেইন্টিং কিন্তু দেখে ভীষণ ভালো লাগছে। এত সুন্দর পেইন্টিং শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
বাস্তব দৃশ্য মনে হয়েছিল আমার এই পেইন্টিং দেখে আপনার, এটা শুনে খুব ভালো লাগলো।
আপনি খুব চমৎকার পেইন্টিং করেন আপু।সমুদ্রের পাশে অসাধারণ একটি বাড়ির দৃশ্য পেইন্টিং করতে দেখে খুব বেশী ভালো লাগলো। কালার কম্বিনেশন ও দারুন করেছেন।আর ধাপে ধাপে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে।
অসাধারণ একটা দৃশ্য ফুটিয়ে তুলতে পেরে খুব ভালো লেগেছে।