ভ্রমণ :- ভ্রমণ :- আলাউদ্দিন আহমেদের শিল্পপল্লী পার্ক ( কুষ্টিয়া ) ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। পর্ব 2
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।
এর আগে কিছুটা মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আজকে চলে আসলাম পরবর্তী কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করতে। আসলে আমরা যখন পার্কের ভেতরের দিকে গেলাম তখন দেখলাম একটা জায়গা ছিল যেটার ভেতরে বেশ কয়েকটা খেলার রাইড ছিল। তবে সেখানে প্রবেশ করতে হলে আবারো টিকিট কাটতে হবে। এই টিকিটের মূল্য ছিল ১০০ টাকা এটা মূলত একটা প্যাকেজ এর মত ছিল। এখানে একটা জায়গায় বেশ কয়েকটা খেলার জিনিসপত্র দিয়ে সাজানো হয়েছিল।
তো যেহেতু আমরা নাশিয়াকে নিয়ে গিয়েছিলাম, এইজন্য বাহিরে থেকে দেখেই তো সে একেবারে লাফালাফি শুরু করে দিল। তখন আমরা একটা টিকিট নিয়েছিলাম। তবে আবার ভেতরে কিন্তু শুধুমাত্র একজন যেতে পারবে বাচ্চার সাথে। তখন ওর আব্বু ওর সাথে ভেতরে গিয়েছিল। সেতো ভেতরে ঢুকেই একেবারে লাফালাফি শুরু করে দিলো। কোনটা দেখে কোনটাতে উঠবে এটা নিয়ে টেনশনে পড়ে গেল। এক দৌড়ে এখানে তো আবার আরেক দৌড়ে অন্য আরেকটাতে। জায়গাটা কিন্তু বেশ বড় ছিল।
তাছাড়া বাচ্চাদের জন্য বেশ দারুন ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপরের দিকে ওঠার একটা জায়গা ছিল সেটাতে একটু উঠেছিল। এরপর এখানে ছিল একটা জাম্প দেওয়ার ব্যবস্থা। যেখানে লাফ দিলে বেশ ভালো মজা হয়। এরপর দেখলাম এখানে বেশ কয়েকটা ডিজাইনের স্লিপার ছিল। একটা ছিল বাঁকা ডিজাইনের আবার আরো একটা ছিল সোজা ডিজাইনের। এগুলো ছিল আবার বেশ কালারফুল। সত্যি বলতে কালারফুল যে জিনিসগুলো কিন্তু বাচ্চাদেরকে বেশ এট্রাক্ট করে। আর সেটাই সেখানে দেখতে পেলাম।
ড্রেস কালার ফুল খেলনা গুলো দিয়ে সাজানো হয়েছিল। নিশ্চয়ই ছবিগুলো দেখে বুঝতে পারছেন নাশিয়া কতটা খুশি ছিল। এরপর দেখলাম একটা খুব সুন্দর দোলনা ছিল। ছোটদের জন্য বেশ দারুন। আবার ছোট একটা বাড়ির মত করে একটা খেলনার ডিজাইন ছিল। সেটা দেখতে কিন্তু বেশ সুন্দর। বাচ্চাদের জন্য একেবারে পারফেক্ট। এখানে ছিল আরো কয়েকটা সুন্দর সুন্দর খেলার জিনিস। তার মধ্যে আবার কয়েকটা পশুর রাইড ছিল। যেগুলো দেখতে খুবই সুন্দর। আসলে আমরা যখন গিয়েছিলাম ওই সময় কিন্তু এখানে খুব বেশি মানুষ ছিল না।
আর বেশি মানুষ না থাকাতে আরও বেশি সুবিধা হয়েছে। একটা থেকে একটা খেলনা গুলো নিয়ে খেলতে পারছে। আমি বাইরে থেকেই দেখছিলাম সবকিছু। বাইরে বলতে শুধুমাত্র ওই জায়গাটার বাহিরে বসার একটা জায়গা ছিল। সেখানে বসে সব কিছু উপভোগ করছিলাম। তবে এর ভেতরে কিন্তু আরও বেশ কয়েকটা খেলা করার ব্যবস্থা ছিল। যেগুলো আপনাদের মাঝে পরবর্তীতে শেয়ার করবো। সত্যি বলতে এই পার্ক কিন্তু অনেক বড় ছিল। আর এই জন্য মূলত এখানে ঘুরতে হবে সময় দিতে হয়েছে। আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবারো আসবো নতুন কিছু নিয়ে।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
https://x.com/TASonya5/status/1890812013347037298?t=rO9FD25W6p1BPIjf9ILApQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আলাউদ্দিন আহমেদের শিক্ষা পল্লী পার্কে ভ্রমণের প্রথম পর্ব আমাদের সাথে শেয়ার করেছিলেন। সে পর্ব আমি পড়েছিলাম বেশ ভালো লেগেছিল। আজ আপনি দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করেছেন। এ পার্কে অনেকদিন আগে আমি গিয়েছিলাম তখন এই রাইডগুলো ছিল না। আপনার মেয়ে তো দেখছি রাইডে উঠে ভীষণ খুশি হয়েছে। বাচ্চারা এরকম জায়গা গুলো ভীষণ পছন্দ করে। সাথে আরো বাচ্চারা থাকলে আপনার মেয়ে অনেক মজা পেত আপু। যাইহোক তিনজন মিলে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন সেখানে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
আপনি প্রথম পর্ব পড়েছিলেন শুনে ভালো লাগলো। আজকের পর্ব টা ও দেখলেন দেখে ভালো লাগলো। সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
ভ্রমণে বের হয়েছিলেন অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছেন আপু পরিবারকে নিয়ে। আমাদের সবার উচিত মাঝেমধ্যে সময় বের করে এভাবে দর্শনীয় স্থানগুলো দেখা। বিশেষ করে বাচ্চা থাকলে তো বেশিদিন ঘরে থাকা যায় না। তাদেরকে নিয়ে এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করলে মনটা খুবই প্রসারিত হয়। দেখে দেখে তারা অনেক কিছু শিখতে পারে। অনেক সুন্দর একটি পার্কে ঘোরাঘুরি করলেন অনেক ভালো লাগলো দেখে।
ঠিক বলেছেন দেখে দেখে অনেক কিছুই শিখতে পারে।
আলাউদ্দিন আহমেদের শিল্পপল্লী পার্ক ( কুষ্টিয়া ) ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত পর্ব ২ শেয়ার করেছেন। আলাউদ্দিন আহমেদের শিল্প পল্লী পার্কটি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর এবং আকর্ষণীয়। সেখানে ছোট বাচ্চাদের খেলনা জিনিস গুলো বেশ সুন্দর। আপনি আপনার মেয়েকে নিয়ে সেখানে আনন্দ মুখর সময় পার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ওখানে থাকা বাচ্চাদের খেলনার জিনিসগুলো অনেক সুন্দর ছিল।
এই সুন্দর পার্কটিতে ঘুরাঘুরি করার দ্বিতীয় পর্ব আমাদের মাঝে তুমি অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছ। এই পার্কটা সত্যি অনেক বেশি সুন্দর ছিল। আর আমার কাছেও খুব ভালো লেগেছিল ওখানে সময় কাটাতে। নাশিয়া তো অনেক বেশি আনন্দ করেছিল। আশা করি এভাবে সুন্দর করে আমাদের মাঝে পুরো মুহূর্তটা শেয়ার করে নিবে।
আসলে জায়গাটা অনেক সুন্দর, তাই তো খুব ভালো লেগেছিল।