ভ্রমণ :- ফেনী টু ঢাকা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। (পর্ব ২)

in আমার বাংলা ব্লগyesterday

IMG-20241229-WA0092.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।

কিছুদিন আগে আপনাদের মাঝে ঢাকায় যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করেছিলাম। আজকে আবার চলে আসলাম পরবর্তী কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।আমরা যখন বাসে করে যাচ্ছিলাম তখন প্রায় অনেকটা সময় কেটে গেল। এরপর দেখলাম একটা অনেক বড় রেস্টুরেন্টের সামনে বাস দাঁড়িয়েছিল। এমনকি সেখানে ২০ মিনিটের একটা বিরতি দিয়েছে। আমার তো এমনিতেই বাসে উঠলে প্রচুর খারাপ লাগে। একটু নিচে নামলে ভালোই লাগবে মনে হচ্ছিল। তাই জন্য আমার নিচে গিয়ে প্রথমে একটা ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।

IMG-20241229-WA0091.jpg

IMG-20241229-WA0090.jpg

এরপর একটু ঘুরে গেল দেখছিলাম আসলে এখানে কি পাওয়া যায়। এমনিতে সকালে নাস্তা করে বেরিয়েছিলাম তাই জন্য কিছু খেতে ইচ্ছে করছে না। কিন্তু ভাবলাম যদি আবার পরে খিদে পেয়ে যায় তাই জন্য কিছু একটা নিয়ে নিতে হবে। এখানে কিন্তু প্রায় সব রকমের খাবার ছিল। তাছাড়া এই রেস্টুরেন্টটা অনেক বড় ছিল। এপাশে ওপাশে সব জায়গায় বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন করা ছিল। আমার মনে হয়েছে যে যার মত করে এখানে পছন্দ অনুসারে খেতে পারবে। আমি প্রথমে কি নেব সেটাই ভাবতে পারছিলাম না।

পরবর্তীতে এখানে দেখলাম ঝাল পেটিস সাজিয়ে রেখেছে। এগুলো দেখতে আমার কাছে মজাদার মনে হয়েছিল। তাই জন্য ভাবলাম আমাদের সবার জন্য নিয়ে নিই। এরপর সবার জন্য নিয়ে নিলাম। কিন্তু খেতে পারব কিনা এটা আসলেই জানা ছিল না। তবে দেখে তো ভালোই মনে হয়েছিল। খাবারগুলো কেনার পর নাশিয়াকে খুঁজতে শুরু করলাম। আসলে সে তার চাচ্চুর সাথে গিয়েছিল কিছু কিনতে। আসলে কোন দোকানের সামনে গেলে তার সবকিছুই লাগবে। আর যদি কিনে না দেই তখন কান্নাকাটি শুরু হয়ে যায়। তাই জন্য আলাদা করে নিয়ে গেল।

IMG-20241229-WA0089.jpg

IMG-20241229-WA0088.jpg

পরে দেখলাম এক গাদা অনেক কিছু কিনে নিয়ে আসলো। তবে এখানকার জিনিসের প্রচুর দাম এটা দেখে আমার খুবই খারাপ লাগলো। আসলে আমরা নরমালি যে দামি জিনিসপত্র তিনি তার থেকে প্রায় ডাবল এর চেয়ে বেশি। একটা চিপসের দাম ও ডাবল । তবে কি আর করার মেয়ের জন্য নিতেই হয়েছিল। ছোট বাচ্চাদের কোথাও নিয়ে গেলে ওদের জন্য পকেট ভর্তি টাকা নিয়ে যেতে হবে। এখন তো আবার বাইরে আছে কিছু বলাও যাবে না। এসব কিছু কেন শেষ হলে এরপর বাইরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েছিলাম।

IMG-20241229-WA0087.jpg

IMG-20241229-WA0086.jpg

বেশ কিছুক্ষণ বাসে জার্নি করার পর একটু বাইরে বেরিয়ে বেশ ভালো লেগেছিল। তবে আবার বাসে উঠতে একদম ইচ্ছে করছিল না। কিন্তু কি আর করার উঠতে তো হবে। বিরতির শেষ হয়ে গেলে আমরা আবারো বাসে উঠে গেলাম। বাসে ওঠার পর বেশ কিছুক্ষণ পরে ভাবলাম খাবারটা খেয়ে দেখি কেমন। কিন্তু মুখে দেওয়ার পর আমার তো অবস্থা খারাপ। আসলে এটা একেবারে তেতো মনে হয়েছে। মনে হয়েছে হলুদের গুড়াটা বেশি দিয়ে দিয়েছে। আমি আর মুখেই তুলতে পারিনি। এমনিতে জার্নি করে আমার অবস্থা খারাপ। এরপরে আর খাওয়া হয়নি। তো দেখতে দেখতে আমরা ঢাকায় এসে পৌঁছে গেলাম। এখানে এসে কি কি করলাম সেটা পরবর্তীতে আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।

IMG-20241229-WA0084.jpg

IMG-20241229-WA0092.jpg

আমার পরিচয়

DSC00912.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 yesterday 

Screenshot_2025-01-17-10-59-38-80_0b2fce7a16bf2b728d6ffa28c8d60efb.jpg

Screenshot_2025-01-17-11-01-51-33_40deb401b9ffe8e1df2f1cc5ba480b12.jpg

Screenshot_2024-12-19-19-04-00-08_23bb9e0ea952186c441897efdc323bdd.jpg

 yesterday 

ফেনী টু ঢাকা ভ্রমণের দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করলেন আপু। বাস দিয়ে যখন লং জার্নি করা হয় তখন মাঝখানে একটি বিরতি দেওয়া হয়। তখন প্রয়োজনীয় কাজগুলো করে নিতে হয়। নাস্তা খাওয়া থেকে যাবতীয় কাজ গুলো 20 মিনিটের ভিতরে সেরে নিতে হয়। দ্বিতীয় পর্ব পড়ে খুবই ভালো লেগেছে আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 yesterday 

তুমি আজকে অনেক সুন্দর করে দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করেছ সবার মাঝে। ভ্রমণের প্রতিটা মুহূর্ত আশা করি তুমি খুব সুন্দর করে সকলের মাঝে শেয়ার করবে। লং জার্নিতে বিরতি না দিলে তো শরীর খুবই খারাপ করবে। ২০ মিনিট হলেও খুব ভালো। যাইহোক আশা করি খুব শীঘ্রই তৃতীয় পর্ব শেয়ার করবে।

 17 hours ago 

দীর্ঘ পথ ভ্রমণ করলে শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। তাই নিজে ফ্রেশ হওয়ার জন্য এবং শরীরকে একটু চাঙ্গা করার জন্য বাইরে যদি বের হওয়ার দশম পনের মিনিট সময় পাওয়া যায় তাহলে খুবই ভালো লাগে। জয় হোক আপনাদের ভ্রমণটা অসাধারণ ছিল। দেখা করব একের পর এক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থিত হবেন। এই পর্বটা দেখে খুবই ভালো লেগেছে আমার।

 16 hours ago 

লং জার্নিতে বাসে একটানা বসে থাকা বেশ কস্টকর।সে ক্ষেত্রে ট্রেনে কিছুটা আরাম। হাঁটাহাঁটি করা যায়। বাস জার্নিতে একটি জায়গায় বিরতি দেয়া হয় যাত্রীদের প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নেয়ার জনা। দীর্ঘ জার্নির পর একটু বাহিরে হাঁটাহাঁটি করতে পারলে বেশ ভালই লাগে। আর যারা বাস জার্নি করতে পারে না তাদের জন্য এই বিরতি খুব দরকার।