নাটক রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ৬৩ )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ৬৩ তম পর্ব শেয়ার করবো। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফকির গ্রাম। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
প্রযোজনা সহকারী | জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি। |
স্ক্রিপ্ট | সুলাইমান |
অভিনয়ে | আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান |
সম্পাদনা | অনিক ইসলাম |
সহকারী সম্পাদনা | জুনায়েদ মোঃ বাঁধন |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই, মানিক রতন আর মানিকের পিএস রাস্তা দিয়ে হেঁটে কোথাও যাচ্ছিল। আর রতন মানিকের বাবার সম্পদের কথা শুনে তো অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। ওখান দিয়ে যখন সায়েম ফকির আর তার বউ ভিক্ষা করার জন্য যাচ্ছিল, তখন তাদেরকে দেখে। আর বড়লোক অফিসার দেখে তারা তার কাছে ভিক্ষা করার জন্য যায়। আর তারা যখন তার কাছে ভিক্ষা চাচ্ছিল, তখন রতন তাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেয় এটা আসলে মানিক। তারপরে মানিক তার পিএসকে বলে দেয়, যেন ওদেরকে একহাজার করে দুই হাজার টাকা দেয়। আর এটা দেখে তো তারা দুজনে অনেক খুশি হয়ে যায়। তারপর ওরা আবারও চলে যায়।
এরপর আমরা প্রিন্স কে দেখতে পাই আসমানির সাথে দেখা করেছে। আর তারা পুলিশের কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কারণ কমলা ফকির এবং টিক্কা ফকিরের সাথে সবাই একজোট হয়েছে। তারা যখন যাচ্ছিল তখন মেম্বারের বউ অর্থাৎ প্রিন্সের আগের মায়ের সাথে তাদের দেখা হয়। আর তারা কিছুক্ষণ কথা বলে ওখান থেকে চলে যায়। এরপর আমরা রাতের বেলায় দেখতে পাই, সকল ফকির একসাথে হয়ে সব বিষয়ে কথা বলছিল ওখানে মানিকও ছিল। তারা তাদের সব কথা শেষ করে যে যার বাড়িতে চলে যায়। তারপরে আমরা সকাল বেলায় মেম্বারকে দেখতে পাই, চেয়ারম্যানের বাড়িতে এসেছে। আর চেয়ারম্যান তাকেও তাদের দলে নিয়ে নেয়।
আর ফুলি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রতনের কাছে খবরটা পৌঁছে দেওয়ার চিন্তা করে। অন্যদিকে আবার মাদক ব্যবসায়ীরা একদিকে আবার ফকিররা একদিকে মিছিল করতে থাকে। আর একসময় তারা একে অপরের সম্মুখীন হয়। তারা যখনই ঝগড়া করার জন্য যাচ্ছিল, তখনই ওখানে পুলিশ চলে আসে। কিন্তু তারা ওখান থেকে পালিয়ে যায়। আর পুলিশদের মধ্যে ছিল আসমানী। আসলে আসমানী একজন পুলিশ অফিসার। তারপর তারা তাদেরকে ধরার জন্য তারা দেয়। তারপরে আমরা মানিক আর তার ph কে দেখতে পাই চম্মনের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তারপরে ওখান দিয়ে যখন চম্মন ভিক্ষা করার জন্য যাচ্ছিল, তখন তাদের সাথে দেখা হয়। আর চম্মন তাকে সবকিছু খুলে বলে।
আর ওখানে যখন তার বাবা আসে, তখন তারা তাকে ১০ হাজার টাকা দেয়। কিন্তু তার বাবা এই টাকা নেয় না। অন্যদিকে আমরা দেখতে পাই মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে একটা জায়গায় এসেছে। আর তখনই ওখানে আসমানী সহ তার পুলিশের লোকজন চলে আসে। তারপর পুলিশ তাদেরকে ধরে নিয়ে চলে যায়। এরপর আমরা কাদের ফকির আর সুন্দরী খালাকে দেখতে পাই কোথাও যাচ্ছিল। আর তখনই ওখানে চান্দু আর মর্জিনা আসে। আর চান্দু তাদেরকে বিভিন্ন কথা বলে। তারপর তারা ওখান থেকে চলে যায়। তারপর চান্দু মর্জিনাকে খবর দেয় আসমানী রবিকে এবং কমলা আর টিক্কাকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। তারপর তারা ওখান থেকে চলে যায়। রাতের বেলায় আমরা আসমানীকে দেখতে পাই মেম্বারের বাড়িতে এসেছি।
আর তারা সবাই যখন আসমানীর আসল সত্য জানে, তখন তারা সবাই অনেক খুশি হয়ে যায়। এরপর আমরা সুতা ফকির কে দেখতে পাই সুন্দরী খালার কাছে এসে রবিকে পুলিশে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর দেয়। আর তিনি যখন কান্না করছিলেন, তখন চান্দু আর মর্জিনা এসে মজা নিতে থাকে এগুলো নিয়ে। আর তারা ঝগড়া করতে থাকে। এরপর সুন্দরী নিজের ছেলের বউয়ের কথা বলে তাদেরকে ভাগিয়ে দেয়। এরপর আমরা দেখতে পাই রবি বাড়িতে ফিরে এসেছে। আর তার ভাইকে পেয়ে সে অনেক খুশি হয়ে যায়। আর তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়।
ব্যক্তিগত মতামত
আজকের এই পর্ব টা অনেক সুন্দর হয়েছিল। সকল মাদক ব্যবসায়ীকে আসমানী অর্থাৎ পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছে জেলে। অন্যদিকে মেম্বার যখন জানতে পেরেছিল আসমানী পুলিশ, তখন তারা অনেক বেশি খুশি হয়ে গিয়েছিল। কারণ তাদের ছেলের বউ পুলিশ। যদিও ফকির হিসেবে তাকে মেনে নেয়নি। কিন্তু এখন পুলিশ এর কথা শুনে তারা খুব খুশি হয়ে যায়। সবার সাথে সাথে রবি কেও ধরে নেওয়া হয়েছে। ওই দেখে আবার মানিক গ্রামে ফেরার পর আবারো ফকিরদের সাথে একসাথে হয়। আর চম্মন এবং তার বাবাকে সাহায্য করার জন্য চেষ্টা করলে তার কাছ থেকে কোনো টাকা তারা নেয় না। চম্মনের বাবা নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে কিন্তু অনেক দেরিতে। শেষে আমরা দেখতে পেয়েছি রবি তার ভাইকে ফিরে পেয়ে অনেক খুশি আর খুশিতে কান্না করছে। এখন সবশেষে কি হতে চলেছে এটা পরবর্তী পর্বে আমরা জানতে পারবো। চেষ্টা করবো খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব টা শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনারা সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবেন।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://x.com/TASonya5/status/1892934463824486471?t=ZBeU7ah99CnLxxedGW6qQQ&s=19
সময়ের কারণে যদিও নাটক খুব একটা দেখা হয় না, তবে রিভিউর মাধ্যমে নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়ার জন্য চেষ্টা করি। ফকির গ্ৰাম নাটকের কাহিনীটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এই নাটকের বেশিরভাগ পর্বের রিভিউ আমার পড়া উ । আশা করছি তুমি প্রতিনিয়ত এরকম সুন্দর করে নাটকটার রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করে যাবে। অনেক ধন্যবাদ এই নাটকের এই পর্বের রিভিউ সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য।
আমি চেষ্টা করবো নাটকটার পরবর্তী পর্বের রিভিউ শীঘ্রই শেয়ার করার জন্য।
আজকে দেখছি আপনি চমৎকার একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটি নাটক রিভিউ আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।আমি যদিও তেমন একটা নাটক দেখি না, তবে সময় পেলেই তামিল মুভি দেখি।আর মাঝে মাঝে নাটক রিভিউ পড়ার চেষ্টা করি। আপনি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে নাটক রিভিউ শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপু আপনাকে।