আমি কি ভাবে পালন করছি ভাই ফোঁটা ও কালী পূজার কিছু ফটোগ্রাফী
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সবাই ভালো আছেন।" আমার বাংলা ব্লগ" এর সকল সদস্য এবং ভাইয়াদের জানাই ভাই ফোঁটার শুভেচ্ছা। আজ ভাই ফোঁটা বা ভাতৃদ্বিতিয়া। ভাই ফোঁটা হলো একটি একটি ঘরোয়া উৎসব। ভাই ফোঁটা হিন্দুদের একটি উৎসব। ভাই বোনের মেল বন্ধনের উৎসব হলো ভাই ফোঁটা।ভাইয়ের হাতে রাখি পরানোকে বলে রাখি পূর্ণিমা উৎসব।ঠিক তেমনি বোনেরা তার ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেওয়াকে বলে ভাই ফোঁটা উৎসব। যম যেমন যমুনার হাতে ফোঁটা নিয়ে চিরজীবী হয়েছে। ঠিক তেমনি বোনেরা এই দিনে ফোঁটা দিয়ে ভাইয়ের মঙ্গল কামনা করেন। যেনো তার ভাই যমের মতো চিরজীবী হয়। এই দিনে বোনেরা তাদের ছোটো ভাই ও দাদা দের কপালে ফোঁটা দিয়ে তাদের মঙ্গলের জন্য মঙ্গল টিকা পরিয়ে দেয়। ভাই ফোঁটার এই দিনে ভাই বোন দুজনে সকাল থেকে উপবাস থাকেন। দিদি ও বোনেরা সকাল সকাল শিশির ধরার জন্য কাপড় দিয়ে শিশির ভেজা ঘাস থেকে শিশির জোগাড় করে। এই শিশির জল দিয়ে ভাইয়ের জন্য লাল চন্দন বাটা হয়। এরপর বোনেরা স্নান করে ভাইয়ের কপালে মন্ত্র পড়ে ফোঁটা দিয়ে ভাইয়ের মঙ্গল কামনা করে যমের দুয়ারে কাঁটা দিয়ে দেয়। যাতে করে যমরাজ যমলোকে ভাইদের প্রাণ নিয়ে যেতে না পারে।
ভাই বোনের ভালোবাসা হলো মহাশূন্যের মতো বিশাল ও অসীম। ভাই বোনের সম্পর্ক হলো পবিত্র সম্পর্ক। সে ভাইফোঁটা হোক বা না হোক, সকল বোনেরা তার ভাইদের মঙ্গল কামনা করে। ভাই ফোঁটা হিন্দু সংস্কৃতির এমন একটি উৎসব।এ উৎসবে ভাইবোনদের মধ্যে একটি মধুর আবেগকে জাগিয়ে তোলে।
আমরা এক ভাই ও এক বোন। আমার ভাই আমার থেকে দূরে থাকে। তাই আমি চার বছর হলো আমার ভাইকে ফোঁটা দিতে পারি না। তাই বিয়ের পর থেকে আমার দেবর কে ফোঁটা দেই। সে দেবর হলে ও তো আমার ভাইয়ের মতো তবে ভাইয়ের মতো বললে ভুল হবে কারণ তাকে আমি আমার ভাইয়ের মতো দেখি। এবং সে ও । তাই প্রতিবছর আমি তাকে ফোঁটা দেই। কিন্তু এবার তাকে একটু বিশেষ কাজে বাইরে যেতে হয়েছে। তবুও দূরে থেকে আমার সেই ভাইয়ের সুস্থতার জন্য পূজা করেছি ও ঠাকুরের সামনে কলার পাতায় মন্ত্র পড়ে নাম নিয়ে ফোঁটা দিয়েছি। আজ সেটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
তাই প্রতিবছর এর মতো আজ আমি খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেছি তারপর শিশিরের জল ধরে তাই দিয়ে চন্দন গুলে রেখেছি। তারপর বেলা ১২.০০ টার দিকে স্নান সেরে ঠাকুর ঘরে গিয়ে কলার পাতা নিয়েছি। এরপর প্রথমে পূজা দিয়েছি। তারপর কলার পাতায় আমার দাদা ও ভাই এর নাম নিয়ে মন্ত্র পাঠ করে চন্দন এর ফোঁটা দিয়েছি। এবং আমি নিজের হাতে ছানার সন্দেশ ও রসমালাই তৈরি করেছি সেই মিষ্টি দিয়ে পূজা করেছি। এই ভাবে আমি আজ ভাই ফোঁটা উৎসব পালন করেছি।
এরপর আজ সন্ধ্যায় টিনটিন বাবু কে নিয়ে প্রতিমা দেখতে বের হলাম। বাইরে গিয়ে দেখি গতকালের থেকে আজ প্রচন্ড ভিড়। তাই তিন টি প্যান্ডেলে গিয়ে প্রতিমা দেখলাম। আজ সেই ফটোগ্রাফী গুলো শেয়ার করবো। আশা করি, আপনাদের ভালো লাগবে।
নতুনপাড়া যুবক বৃন্দ স্পোর্টিং ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত পূজা।
স্থান: পশ্চিমবঙ্গ , কলকাতা
তারিখ: ০৬-১১-২০২১
কালী মায়ের মূর্তি।
স্থান: পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতা
তারিখ: ৬-১১-২০২১
এটি প্যান্ডেলের ভিতরে ঢোকার গেট।
স্থান: পশ্চিমবঙ্গ , কলকাতা
তারিখ: ৬-১১-২০২১
আশা করি, আমার ফটোগ্রাফী গুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
বৌদি প্রার্থনা করি, সামনে বছর আপনি যেন আপনার ভাইদের সামনে বসিয়ে ভাইফোঁটা দিতে পারেন।
কালী পূজার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। কলকাতার পুজো গুলো সব সময়ই অনেক জাকজমকপূর্ণ ও অনেক সুন্দরভাবে উদযাপিত করা হয়। শুভকামনা রইল আপনার জন্য বৌদি।
ধন্যবাদ ভাইয়া।আপনি ঠিক বলেছেন কলকাতার পূজা খুবই জাকজমোকপূর্ণ হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তেমন কিছু ই হয় না।
ওহ বউদি ছবি গুলো চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন ।দেখে চোখ ফিরানো যাচ্ছে না ।ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুক্ষ্মভাবে তুলেছেন।ধন্যবাদ বউদি এতো সুন্দর ফটোগ্রাফি উপহার দেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ, আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
জানি আপনার এই একটু হলেও মনে খারাপ বৌদি কারণ ভাইরা কাছে ছিলোনা বলে।তবে আপনি আপনার জায়গায় বসেই ভাইদের জন্য মঙ্গল কামনা করেছেন এইতো বেশ। আমিও দোয়া করি আপনার ভাইরা যেনো সর্বদা ভালো থাকে,সুস্থ থাকে এবং হাসি খুশি থাকতে পারে। আর আমাদের মিষ্টি বৌদিও যেনো খুব ভালো থাকে। শেষ থেকে দ্বিতীয় ছবিটি বেশি ভালো লেগেছে আর কাছে বৌদি।
ধন্যবাদ আপু, আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
দিদি, আপনার পোষ্টটি বলে আমার খুবই ভালো লাগলো। কালী পূজা পালন এবং ভাইফোঁটা সুন্দরভাবে পালন করতেছেন দিদি আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ , আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য
বৌদির ছবি গুলো জাস্ট অসাধারণ আসলে কলকাতায় পূজা গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উদযাপন হয়।
হ্যা ঠিক বলেছেন কলকাতার পূজা বড়ো করে উদযাপন করে।
এমন একটা দিনে ভাইকে পাশে না পেলে সত্যি মনটা কেমন কেমন করে। একটা বছরের অপেক্ষায় থাকা হয় এই দিনটার জন্য। আশা করি সামনের বছর থেকে আপনি ভাইকে পাশে পাবেন বৌদি। আর পূজো মন্ডপের কথা নতুন কি বলবো, আমার কাছে সব পুজোর মন্ডপ খুব সুন্দর লাগে। মা এর মুখ যখনই দেখি অদ্ভুত এক ভালো লাগা কাজ করে। খুব ভালো লিখেছেন সবটা দিদি। ভালো থাকবেন সব সময়।
ঠিক বলেছেন দিদি মা এর মুখ দেখলে সব কষ্ট ভুলে যেতে হয়। অদ্ভুত এক আনন্দ হয়। ধন্যবাদ দিদি।আপনি ভালো থাকুন।
ভাইফোঁটার উৎসব আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এই উৎসবের মাধ্যমে ভাইবোনের মধ্যে সম্পর্ক আরও মধুর হয়। ভাই বোনেরা তাদের অপেক্ষার প্রহর গুনে এই দিনটির জন্য। তবে বিয়ের পরে মেয়েরা হয়তো তাদের এই আনন্দঘন মুহূর্ত খুব একটা পালন করতে পারে না কারণ তারা তাদের পরিবারের আপনজন এবং ভাইদের থেকে অনেকটা দূরে থাকে। তবে বৌদি আপনার ভাগ্য অনেক ভালো আপনি ভাইয়ের মতো দেবর পেয়েছেন। আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন আমি খুবই ভাগ্যবতী যে এখানে এসেও খুব ভালো ভাই ও দাদা পেয়েছি। সে আমার খুব ই খেয়াল রাখে। ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বৌদি। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মুহূর্তের সময় গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ আপু।
আপনার ভাইদের সুস্থ থাকা কামনা করছি, আপনিও অনেক ভালো থাকেন এটাও কামনা করি। অনেক সুন্দর সবগুলো ছবিই, রাতের ছবি হলেও খুব স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে সব। অনেক ধন্যবাদ বৌদি আপনার ভাইফোঁটা দিনের মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ। আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য।
খুব সুন্দর হয়েছে ছবিগুলো।এছাড়া ভাইফোঁটা সম্পর্কে নতুন অনেক কিছু জানতে পারলাম।আপনাদের সকলের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো বৌদি।ধন্যবাদ আপনাকে।