প্রতিযোগিতা - ২১ আমার অংশ গ্রহণ "ইলিশ পটলের দোলমার রোস্ট""
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।প্রথমে "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির এডমিন ও মডারেটর সকল ভাই ও বোনদের জানাই আমার ভালোবাসা। আর বিশেষ করে @ Hafizullah ভাইয়া কে ধন্যবাদ জানাই এত একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য।আজ অনেকদিন পর আবার অনেকদিন পর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছি।
পটল দিয়ে ইউনিক রেসিপি তৈরি করা আমার কাছে খুবই কঠিন একটি কাজ ছিলো। কারণ আমি পটল খুব একটা পছন্দ করি না। তারপর ও আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে খুবই ভালো লাগে। আর সেই ভালো লাগা থেকে আমি দুটি রেসিপি তৈরি করছি। একটি আমার নিজস্ব তৈরি আর অন্যটি বোনাস হিসেবে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
জনপ্রিয় সবজির মধ্য পটল অন্যতম একটি সবজি। কমবেশি আমরা সকলে পটল পছন্দ করি। পটল বিভিন্ন পদ্ধতিতে রান্না করে খাওয়া যায়। ভর্তা , ভাজি, মাছ এবং সেই সঙ্গে বিভিন্ন সবজির সঙ্গে ও রান্না করে খাওয়া যায়। ইলিশ পটলের জল জনপ্রিয় একটি রেসিপি। সারা বছরই পটল পাওয়া যায় বাজারে। ছোট এই সবজিটি দেখতে অনেক সুন্দর। পটলের বৈজ্ঞানিক নাম trichodsnthes dioica। এই সবজি ভারতের পূর্বাঞ্চলে বিশেষ করে ওড়িশা, আসাম ,বিহার ,উত্তর প্রদেশ ,এবং বাংলাদেশে ভালো জন্মায়।পটলের ইংরেজি নাম multitude। পটলের প্রচুর পরিমাণে শর্করা , ভিটামিন এ ও সি আছে। এতে স্বল্প পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ,পটাশিয়াম, গন্ধক ও ক্লোরিন আছে। বিদেশে ও পটলের গুরুত্ব অপরিসীম।নেপালে অসুস্থ রোগীদের পটলের স্যুপ খাওয়ানো হয়। দক্ষিণ এশিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে আলুর সঙ্গে রান্না করা হয়। ইন্দোনেশিয়ার পটলের বৈচিত্র্যময় হিসেবে রান্নার ব্যবহার করা হয়। পটল একটি পুষ্টিকর খাদ্য। পটল আমরা সবজি হিসেবে রান্না করে থাকি। পটল আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। পটল হজম শক্তিতে সাহায্য করে। পটল ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই ওজন কমাতে পটলের তরকারি করে খাওয়া খুবই ভালো। পটলে হৃদরোগ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকে না। নিয়মিত পটল খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। ফলে আমাদের ত্বক ভালো থাকে। পটল বয়সের চাপ দূর করতে সাহায্য করে।
যাই হোক আজ আমি "ইলিশ পটলের দোলমার রোস্ট" এর রেসিপি শেয়ার করবো।তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে আমরা মূল পর্বে ফিরে যাই।
উপকরণ:
১. পটল - ৫০০ গ্রাম
২. ইলিশ মাছ -৬ পিস
৩. পেঁয়াজ বাটা - ২ চামচ
৪. কাজু বাদাম বাটা - হাপ্ কাপ
৫. কিসমিস বাটা - ২ চামচ
৬. নারকেলের দুধ - ২ কাপ
৭. টুট পিক
৮. লবণ - ২ চামচ
৯. হলুদ - ২ চামচ
১০. শুকনো মরিচ গুঁড়া - ২ চামচ
১১. জিরা গুঁড়া - ১ চামচ
১২. কাচা মরিচ চিরা - ৫ টি
১৩. গোটা জিরা - ১ চামচ
১৪.গরম মসলা - ২ চামচ
১৫. গোলাপ জল - ১ চামচ
১৬.কেওড়া জল - ১ চামচ
১৭. সরিষার তেল - ১ কাপ
পটল
ইলিশ মাছ
![IMG_20220817_111407.jpg](
নারকেলের দুধ
কাজু বাদাম বাটা, পেঁয়াজ পেস্ট ও কিসমিস বাটা
লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া, শুকনো মরিচ গুঁড়া ও গরম মসলা
টুট পিক
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে পটল গুলোর খোসা ছাড়িয়ে নেওয়ার আগে জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এবার পটলের খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। একটা ছুরি দিয়ে পটলের মাথা থেকে বেশ খানিকটা কেটে নিতে হবে।
২.এবার পটলের ভিতর থেকে একটা চামচ দিয়ে বীজ বের করে নিতে হবে।ঠিক একই ভাবে প্রতিটা পটলের বীজ বের করে নিতে হবে।
৩. পটল এর বীজ গুলো ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে।
৪. ইলিশ মাছ গুলো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার নিতে হবে। এরপর সামান্য লবণ হলুদ দিয়ে ইলিশ মাছে মেখে নিতে হবে।
৫. এবার চুলার উপর একটা ফ্রাই প্যান বসিয়ে দিতে হবে। ফ্রাই প্যান গরম হয়ে গেলে পরিমান মতো তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে লবণ হলুদ মাখানো মাছ দিয়ে দিতে হবে।
৬. মাছ গুলো বাদামী রঙের করে ভেজে নিতে হবে। মাছ গুলো ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
৭. এবার ভাজা মাছের কাঁটা বেছে নিতে হবে। একে একে সব গুলো মাছের কাটা বেছে আলাদা করে রাখতে হবে।
৮. আবার চুলার উপর ফ্রাই প্যান বসিয়ে দিয়ে তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে সামান্য কিছু গোটা জিরা দিয়ে দিতে হবে।জিরা ভাজা হয়ে গেলে পটলের বিচির পেস্ট দিয়ে দিতে হবে। এবার একে একে সামান্য লবণ ও হলুদ দিয়ে কিছুক্ষন নেড়ে চেড়ে নিতে মাছ দিয়ে দিতে হবে। এবার মাছের ভিতর পরিমান মতো লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া ও শুকনো মরিচ গুঁড়া দিয়ে দিতে হবে। মাছ গুলো ১০ মিনিটের মতো ভেজে নিতে হবে। ইলিশ মাছ ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
৯. ইলিশ মাছের পুর একে একে সব গুলো পটলের ভিতর ঢুকিয়ে নিতে হবে। তারপর পটলের কেটে রাখা বোঁটা লাগিয়ে দিয়ে টুট পিক দিয়ে এটে দিতে হবে।
১০.এবার চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াই গরম হয়ে গেলে তেল দিয়ে দিতে হবে।তেল গরম হয়ে গেলে পটল গুলো দিয়ে হালকা ভেজে নিতে হবে।পটল ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে। ওই একই তেলের ভিতর জিরা দিয়ে একটু ভেজে পেঁয়াজ বাটা, কাজু বাদাম বাটা ও কিসমিস বাটা দিয়ে দিতে হবে। এবার লবণ, হলুদ , জিরা গুঁড়া ও শুকনো মরিচ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে মসলা কষিয়ে নিতে হবে।
১১. মসলা কষানো হলে গেলে নারকেলের দুধ দিয়ে দিতে হবে। এবার ঝোল ফুটতে শুরু করলে ভাজা পটল গুলো দিয়ে দিতে হবে। পটল গুলো দিয়ে একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এবার ১৫ মিনিটের মতো পটলের রোস্ট রান্না করে নিতে হবে। পটল সেদ্ধ হয়ে গেলে কয়েকটি কাচা মরিচ চিরে দিতে হবে এবং গোলাপ জল ও কেওড়া জল দিয়ে দিতে হবে।এবার রোস্ট থেকে হালকা তেল বের হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
১৩. এবার টমেটো দিয়ে কয়েকটি ফুল বানিয়ে সাজিয়ে দিলাম।
তৈরি হয়ে ইউনিক রেসিপি ইলিশ পটলের দোলমার রোস্ট। এটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।আশা করি এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
বোনাস একটি রেসিপি " পটলের পটাস "
এই রেসিপিটি তৈরি করছি আমি। কিন্তু এই রেসিপিটি আইডিয়া দিয়েছিলেন আমার প্রিয় মানুষটি। আমি বলেছিলাম তাকে রান্না করতে । কিন্তু সে কোন ভাবেই রাজি হলো না। এটি খেতে দুর্দান্ত হয়েছিলো। ও পাশে থেকে আমাকে বলে দিয়েছিলো। এই রেসিপিটি নরমাল ও মসলা কম দিয়ে রান্না করছি।তবে চলুন রেসিপিটি শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১. মুরগির মাংস - ১০০ গ্রাম
২. চিংড়ি মাছ - ১০০ গ্রাম
৩. সেদ্ধ ডিম - ১ টি
৪. সেদ্ধ আলু - ১ টি
৫. লবণ - ,২ চামচ
৬. হলুদ - ২ চামচ
৭. জিরা গুড়া - ২ চামচ
৮. শুকনো মরিচ গুঁড়া -১ চামচ
৯. গরম মসলা - ১ চামচ
১০. সাদা তেল - ১ কাপ
১১. গোটা জিরা - ১ চামচ
১২.কাচা মরিচ - ৬ টি
১৩. তেজ পাতা - ২ টি ও কিছু গোটা গরম মসলা
১৪. পটল - ৫০০ গ্রাম
১৫. টুট পিক
পটল
মুরগির মাংস ও চিংড়ি মাছ
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে পটল গুলোর খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এবং পটলের দুই মাথা কেটে নিতে হবে।
২. এবার একটা ছুরি দিয়ে পটলের মাঝ বরাবর কেটে নিতে হবে। একটা চামচ দিয়ে পটলের ভিতর থেকে সমস্ত বিচি বের করে নিতে হবে ।
৩. এবার ব্লেন্ডারে একই সঙ্গে পটলের অর্ধেক বিচি , মুরগির মাংস, চিংড়ি মাছ, কাচা মরিচ ৬ টি, লবণ ও জিরার গুঁড়া দিয়ে একসাথে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
৪. এখন সেদ্ধ আলু ও ডিম এক সাথে মেখে নিতে হবে।
৫.চুলার উপর একটা ফ্রাই প্যান বসিয়ে দিতে হবে।ফ্রাই প্যান গরম হয়ে গেলে তেল দিয়ে দিতে হবে।তেল গরম হয়ে গেলে বাকি পটলের বিচি ও মাংসের কিমা দিতে হবে। কিমার সাথে শুকনো মরিচ গুঁড়া দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে মাংসের পুর তৈরি। এবার একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
৬. এবার মাংসের পুর পটলের ভিতর ঢুকিয়ে দিতে হবে। পটলের ফাটা অংশটি টুট পিক দিয়ে এটে দিতে হবে।
৭. চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিতে হবে ।কড়াই গরম হয়ে গেলে তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে পটল গুলো দিয়ে হালকা ভেজে নিতে হবে। পটল ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
৮. এবার কড়াইতে বাকি তেলের ভিতর জিরা দিয়ে ভেজে নিতে হবে। জিরা ভাজা হয়ে গেলে পরিমান মতো জল দিয়ে । ঝোল ফুটতে শুরু পরিমান মতো লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া ও শুকনো মরিচ গুঁড়া দিয়ে দিতে হবে। এবং কিছুক্ষণ ধরে রান্না করে নিতে পারে।ঝোল একটু কমে গেলে ভাজা পটল গুলো দিয়ে দিতে হবে।এবার একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এবং চুলার আঁচ কমিয়ে দিতে হবে। পটল গুলো সেদ্ধ হয়ে গেলে আর ঝোল গা মাখা হয়ে গেলে এক চামচ গরম মশলার গুড়ো ছিটিয়ে দিতে হবে। এবং দুই মিনিট পর একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
৯. এবার টমেটো দিয়ে সাজিয়ে দিলাম।
তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু পটলের পটাস। এটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।
আপু প্রতিযোগিতায় আপনার অংশগ্রহণ দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে।ইলিশ পটলের দোলমার রোস্ট তৈরি সকল প্রক্রিয়াগুলো পড়েছি এবং মুগ্ধ হয়েছি। অতি যত্ন এবং পরিশ্রম করে আপনি অসাধারণভাবে ইলিশ পটলের দোলমার রোস্ট তৈরি করেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে ইলিশ পটলের দোলমার রোস্ট খেতে অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু ছিল। অসাধারণ একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রতিযোগিতায় আপনার অংশগ্রহণ বরাবর আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে।ধন্যবাদ বৌদি প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য।
আর রেসিপির কথা কি বলব,মনে হচ্ছে খেতে পারলে দারুন হতো😁
দিদি ইলিশ পটলের দোরমার রোস্ট অনেক সুন্দর ছিল।আসলে এভাবে কখনো তৈরি করা হয়নি।দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু ও মজার হয়েছে।চেষ্টা করব একদিন আপনার মতো ইলিশ পটলের দোরমার রোস্ট করার।ধন্যবাদ দিদি সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
দুর্দান্ত দুটি রেসিপি দেখে নিলাম এখন। কোনটিই এখনো খাওয়া হয়নি আমার। দেখে লোভ সামলানো দায়। দাদাও বেশ ভালোই আইডিয়া দিয়েছেন। যাইহোক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করার জন্য অভিনন্দন আপু৷ শুভকামনা রইল আপু 🙂।
ইলিশ পটলের দোপেয়াজা রেসিপি আমার কাছে একদম নতুন মনে হয়েছে। আর দেখে খুবই মজাদার মনে হচ্ছে। সত্যি বৌদি আপনার রেসিপির পরিবেশন অসাধারণ ছিল।
ওয়াও দিদি আপনি আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা-২১ তম অনেক সুন্দর ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। ইলিশ পটলের দোলমার রোস্ট তৈরি করে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সত্যি বলতে এই আইডিয়াটা একদম ইউনিক বলতে হয়। ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যিই ভীষণ সুন্দর হয়েছে আপনার ইলিশ পটলের দোলমার রোস্ট। একেবারেই ইউনিক। এতগুলো ছবি দিয়ে পোস্ট যা বোঝার ক্ষেত্রে খুবই সুবিধার।
ইলিশ পটলের দোলমার রোস্ট দেখে তো লোভ সামলানো মুশকিল খেতে ইচ্ছা করছে। ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন বৌদি। আমিও শিখে নিলাম বাসায় তৈরি করার চেষ্টা করবো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
ইলিশ পটলের দোলমার রোস্ট ও পটলের পটাস দুটো রেসিপি দারুন ছিল বৌদি। দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। বৌদি আপনি সবসময় ইউনিক ধরনের রেসিপি গুলো তুলে ধরেন আমাদের মাঝে। এবারের শেয়ার করা দুইটি রেসিপি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। আমি অবশ্যই বাসায় তৈরি করার চেষ্টা করব। আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো বৌদি। ♥️♥️♥️