স্বরচিত কবিতা : নিষ্পাপ মনের আর্তনাদ
হ্যালো বন্ধুরা,শুভ রাত্রি
আসসালামু আলাইকুম, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই সুস্থ এবং ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। তবে বর্তমানে আমাদের দেশের যে পরিস্থিতি তাতে সত্যিই ভালো থাকা খুবই কঠিন। শুধু দেশ বললে ভুল হবে,সারা পৃথিবীতে এমন ঘটনা অহরহর ঘটে চলেছে। সবাই জানেন মাগুরার ছোট্ট শিশুর কথা,যা সবাইকে আবারও নাড়া দিয়ে তুলেছে। কিন্তু তাতে কি লাভ বলেন, কিছুদিন সব জায়গায় এটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা, আন্দোলন-মিছিল হবে। এরপর সব একদম চুপ হয়ে যাবে,এটাই বাস্তবতা। কিন্তু যেই শিশু নির্যাতিত তার সব শেষ। সারাবিশ্বে এত এত শিশুসহ মেয়েরা এভাবে ধর্ষিত হচ্ছে আর সেই লোকগুলোর কেউ কেউ শাস্তিও পাচ্ছে। কিন্তু তারপরও কি কারো চরিত্র ঠিক হচ্ছে?
কেন মানুষ এভাবে পাপ কাজে লিপ্ত হয়? তাদের মনে কি মৃত্যুর ভয় নেই? আমার তো মনে হয় তারা নিজেকে চিরজীবি মনে করে,নয়তো এমন কাজ করা কখনও সম্ভব নয়। এসব মানুষদের জঙ্গলের হিংস্র পশুর সাথে তুলনা দিলেও পাপ হবে। কারণ তারা হিংস্র পশুর থেকেও বেশি হিংস্র। তাদের কালো থাবা থেকে রক্ষা পাওয়া খুবই কঠিন। তাইতো আজ এই ছোট্ট শিশুটি রক্ষা পেলো না। যখনই বাচ্চা মেয়েটির কথা মনে পড়ে তখন খুব কষ্ট হয়। সুন্দর ফুল ফোটে উঠার আগেই ঝরে গেলো। এরচেয়ে ঘৃণিত কাজ আর কিছু আছে কিনা জানা নেই। বাচ্চা মেয়েটির নিষ্পাপ মনের আর্তনাদ নিয়ে কবিতা শেয়ার করতে ইচ্ছে হলো। তাই এই কবিতাটি শেয়ার করতে চলে আসলাম। তাহলে চলুন কবিতার লাইনগুলো পড়ে নেই।
নিষ্পাপ মনের আর্তনাদ
শরীর জুড়ে ব্যথার সুর।
একটা ফুল ফুটতে গিয়েও,
ঝরে পড়ল রাতের বুকে।
হাত বাড়ালো মায়ের দিকে,
বুকের মাঝে চাপা ক্রন্দন।
পুতুলখেলায় দাগ লেগে গেছে,
ভাঙা শৈশব, ছেঁড়া বর্ণ।
চাঁদের আলো কাঁদে নীরবে,
তারা লুকায় ঘৃণায় মুখ।
কে দেবে তার শিশুরত্ন,
ফিরিয়ে নতুন ভোরের সুখ?
পাপের কাছে হেরে যাবে কি?
ন্যায় কি তবে বোবা শুধু?
এই সমাজের নীরবতায়,
শিশুর কান্না ডুবে যাক না!
কবিতার মূলভাব
কবিতাটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এক নিষ্পাপ শিশুর আর্তনাদ, যার শৈশব অকালেই নষ্ট হয়ে গেছে। শিশুটি ভয়ের চোখে চেয়ে থাকে, তার কণ্ঠে নীরবতা, শরীরে ব্যথার চিহ্ন—যা এক করুণ বাস্তবতার প্রতিচিত্র। চাঁদের আলো ও তারা পর্যন্ত এই অন্যায়ের সামনে ব্যথিত হয়ে মুখ লুকায়, কিন্তু সমাজ নীরব থাকে। আজ প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এই ন্যায় কি চিরদিন বোবা থাকবে? সমাজের এই নিষ্ক্রিয়তা কি অব্যাহত থাকবে, নাকি কোনো দিন শিশুর কান্নার প্রতিধ্বনি জাগ্রত করবে মানুষকে?
আশা করি আমার লেখা কবিতা পড়ে আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন কবিতার মাধ্যমে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন। ধন্যবাদ।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।






Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power



এই কবিতাটি সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যায়। নিষ্পাপ শিশুদের প্রতি অবিচারের যন্ত্রণার প্রকাশ চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। একটি ফুলের মতো নিষ্পাপ শিশুর অকাল মৃত্যু ও তার আর্তনাদ মানুষের মনকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। সমাজের নীরবতায় এই কান্নাগুলো যেন হারিয়ে না যায়, তার জন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে। কবিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রইল, ধন্যবাদ আপু।
এসব ঘটনার সঠিক বিচার হয়না বলেই এমন ঘটনা অহরহর ঘটে চলেছে। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
কবিতার লাইনগুলোর সাথে যদি আবেগ জড়িত না থাকে সেই কবিতাগুলো কেমন জানি অসম্পূর্ণ মনে হয়। চমৎকার একটি কবিতা শেয়ার করেছেন আপু কবিতার লাইনগুলো বেশ ভালো লেগেছে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া কবিতার মধ্যে যদি আবেগ জড়িত না থাকে তাহলে পড়তে ভালো লাগে না। ধন্যবাদ।
আসলে দিন দিন পুরো দেশের অবস্থা এমনটি পুরো পৃথিবীর অবস্থা খারাপ করছে। মানুষ নামে কিছু পশুর জন্য এসব কিছু অন্যরকম হয়ে গিয়েছে। ছোট্ট শিশুটার কথা মনে পড়লে সত্যি অনেক খারাপ লাগে। নিষ্পাপ মনের আর্তনাদ কবিতাটা অনেক সুন্দর করে লিখেছেন।
কিছুদিন পরপরই কোথাও না কোথাও এমন ঘটনা ঘটে যাচ্ছে কিন্তু তাদের উপযুক্ত শাস্তি হচ্ছে না বলেই শিক্ষা হয় না। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
কবিতাটিতে ভাষার প্রাঞ্জলতা এবং ছন্দের মেলবন্ধন বেশ সুন্দর। শব্দচয়নে মিতব্যয়ী হওয়ায় কবিতার আবেগ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। বিশেষ করে "নিষ্পাপ মনের আর্তনাদ" এই শিরোনামটি কবিতার মূল ভাবকে খুব ভালোভাবে ধারণ করেছে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এতো সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার কাছে আমার এই কবিতা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।
প্রতিদিনের নিউজে এরকম কত শত শিশুর আর্তনাদ শুনতে পাচ্ছি। অকালে তাদের শৈশব শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমারও একই প্রশ্ন , যারা এ কাজগুলো করে তাদেরকে মৃত্যুর ভয় করে না? ছোট্ট একটি শিশু যার কোন কিছু বোঝার ক্ষমতা নেই তাদের সাথে এরকম অন্যায় হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আপনার কবিতাটি পড়ে আবার মেয়েটির কথা মনে পড়ে গেল। কবিতার কথাগুলো বেশ ভালো হয়েছে আপু।
আপু এই ধরনের ঘটনা যেন এখন ভাইরাসের মতো ছড়াচ্ছে। তাদের যদি শাস্তি না দেওয়া হয় তাহলে এর থেকে কখনও মুক্তি পাওয়া যাবে না। ধন্যবাদ।
আজকে আপনি বাস্তবিক কথা দিয়ে সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন।নিষ্পাপ মনের আর্তনাদ কবিতাটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আসলে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা মৃত্যুর ভয় করে না। আর তারা শিশু নির্যাতন করে। তবে বাস্তবিক কথা এবং সুন্দর ভাষা দিয়ে কবিতাটি লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
হ্যাঁ আপু তাদের ভিতরে যদি মৃত্যুর ভয় থাকতো তাহলে হয়তো এই রমজান মাসে এমন কাজ করতে পারতো না। ধন্যবাদ।
আপনার কবিতা গুলো সব সময় অনেক সুন্দর হয় এবং সেই কবিতা গুলো আমি পড়ার চেষ্টা করি৷ আজকে আপনি একেবারে অসাধারণ কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই কবিতার লাইনের সামজ্ঞস্যতা যেভাবে আপনি সুন্দরভাবে বজায় রেখেছেন তা যেরকম সুন্দর হয়েছে এবং এই লাইনগুলোর মধ্যে সবগুলো লাইন আমার অনেক ভালো লেগেছে৷ তার মধ্যে কিছু লাইন হলো :
আপনার কাছে আমার এই কবিতা পড়ে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ।