ছোট গল্প: নির্যাতনের শিকার হচ্ছে অধিকাংশ শিশুরা।
🌿আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001।
হ্যালো বন্ধুরা...........
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি। দিন দিন আমাদের সমাজটা ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে। সমাজে বসবাস করা মানুষ এখন হিংস্র জানোয়ারের চাইতে খারাপ হয়ে গেছে। আজ থেকে ১০০ বছর আগে যেই সমাজ ছিলো যেটা আমারা হয়তো দেখিনি তবে শুনেছি তখন কার সময়টা এমন ছিলো না। সেই যুগের মানুষ ছিলো সুশীল, ভদ্র ও ন্যায়পরায়ণ। তাদের ভেতর আল্লাহর ভয় ছিলো আর চিন্তা ভাবনা ছিলো অনেক উচ্চ মানের। তবে সেই যুগ পার করে আমারা চলে এসেছি জাহেলি যুগে। যেই যুগে এসে আমারা হয়ে গেছি পশুর থেকেও নিকৃষ্ট। দিন দিন আমাদের সমাজে যে সকল অন্যায় অত্যাচার শুরু হয়েছে যা আমাদের জন্য সত্যি অনেক লজ্জার। আজকে আমি আমাদের সমাজের সেই সকল অপরাধ মূলক বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে আলোচনা করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার লেখাটি ভালো লাগবে।
শিশু নির্যাতন বর্তমানে একটি গুরুতর সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের সমাজে অনেক শিশুরা শিকার হচ্ছে নানা ধরনের নির্যাতনের, যেমন শারীরিক নির্যাতন, মানসিক নির্যাতন, যৌন নির্যাতন এবং দারিদ্র্যের কারণে শিশুশ্রম। এটি একটি অমানবিক ও অস্বীকারযোগ্য বিষয়, যা আমাদের সামাজিক মূল্যবোধ ও মানবাধিকারকে চ্যালেঞ্জ করে।বর্তমান সমাজে শিশু নির্যাতনের হার বেড়ে যাওয়ার পেছনে কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত পারিবারিক অস্থিরতা, মাদকাসক্তি এবং অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতা শিশুর প্রতি সহিংস আচরণের জন্ম দেয়। অনেক ক্ষেত্রে অভিভাবকের অজ্ঞতা বা তাদের মানসিক চাপের কারণে শিশুরা নির্যাতনের শিকার হয়। দ্বিতীয়ত শিশুদের অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বড় হতে হয়, যেমন স্কুল, পার্ক বা এমনকি তাদের নিজের বাড়িতেও। তৃতীয়ত প্রযুক্তির অতি ব্যবহার ও সোশ্যাল মিডিয়া শিশুর মানসিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে যা তাদের নানা ধরনের মানসিক চাপ এবং দ্বন্দ্বের সম্মুখীন করে।
এখন আমাদের সমাজে শিশু নির্যাতন প্রসঙ্গে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল শিক্ষিত সমাজের দায়বদ্ধতা। শিশুদের প্রতি সহিংসতা এবং নির্যাতন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি না হলে এবং এর বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিবাদ গড়ে তোলা না হলে এ সমস্যা কখনও সমাধান হবে না। রাষ্ট্র, সরকার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অভিভাবকদের উচিত একযোগে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, তাদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করা।আমরা যারা সমাজের সচেতন সদস্য, তাদের উচিত এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে অনেক বেশি সচেতন হওয়া। সমাজে শিশুদের প্রতি সহানুভূতি, মানবিকতা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের অবশ্যই আরও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। এর পাশাপাশি শিশুদের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য আইনগত পদক্ষেপ এবং জনসচেতনতা বাড়ানোর প্রয়াসও বৃদ্ধি করতে হবে।এটা সময়ের দাবি, যে আমরা সবাই শিশুদের প্রতি দয়া, ভালোবাসা এবং সহানুভূতি প্রদর্শন করব। কারণ শিশুদের সুরক্ষা আমাদের সমাজের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার প্রথম পদক্ষেপ।
পোস্টের বিষয় | ছোট গল্প |
---|---|
পোস্টকারী | তানহা তানজিল তরসা |
ডিভাইস | রেডমি নোট ১১ |
লোকেশন | পাবনা |

কি বলবো আপু আমাদের সমাজে শিশু নির্যাতন দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। পারিবারিক অস্থিরতা, মাদকাসক্তি ও নিরাপত্তাহীনতা এর প্রধান কারণ। শিশুদের সুরক্ষায় সচেতনতা ও কঠোর আইন প্রয়োগ জরুরি,কিন্তু কে শুনে কার কথা। শিক্ষিত সমাজ ও আইনের উচিত এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার প্রথম শর্ত যেটা আমি মনে করি।
আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য।
শিশু নির্যাতন একটি গুরুতর সমস্যা, যার সমাধানে সমাজ, পরিবার এবং রাষ্ট্রের যৌথ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আপনি যে সচেতনতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন, তা প্রশংসনীয়। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের সামাজিক দায়িত্ব, যা ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন।
আসলে এখনকার বেশিরভাগ মানুষের মনে দয়ামায়া একেবারেই নেই। তাইতো তারা শিশুদেরকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতে পারছে। কিন্তু এটা মোটেই উচিত নয়। কারণ প্রতিটি শিশু কারো না কারো সন্তান। তাছাড়া তারাও তো মানুষ। তাই আমাদের সবার উচিত শিশুদের প্রতি মানবিক হওয়া। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বি ভাই এখনকার মানুষের মনে মায়া দয়া সত্যি নেই। এসব পশু নামে জানোয়ারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত আমাদের।
আসলে বর্তমানে চারপাশের অবস্থা একদম খারাপ। দিন দিন আরো অনেক বেশি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত শিশুরা বিভিন্ন রকম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। প্রতিটা শিশুর সুরক্ষা অনেক বেশি জরুরী। এসব কিছুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো দরকার আমাদের সবার। বাস্তবতাকে অনেক সুন্দর করে এটার মধ্যে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো।
আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন অধিকাংশ শিশুরা বিভিন্ন রকম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাদের সুরক্ষা সত্যিই অনেক জরুরী। এত সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।