আলু ও বেগুন দিয়ে বাইম মাছের ঝোল
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজকে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আলু ও বেগুন দিয়ে বাইম মাছের রেসিপি নিয়ে।সব সময় বাইম মাছ ভুনা করে রান্না করা হয়।সবজি দিয়ে বেশি রান্না করা হয় না।বাসায় বেগুন ছিল তাই ভাবলাম একটু ডিফারেন্ট করে আজকে রান্না করি।আর আলু যে কোন মাছে ভেজে দিলে খেতে কিন্তু দারুন স্বাদের হয়।হ্যাঁ বন্ধুরা, আমার রেসিপিটিও কিন্তু খেতে দারুন স্বাদের ছিল।যদিও এটি কমন একটি রেসিপি, তারপরও একেকজনের রান্নার ধরণ একেক রকমের। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেললাম।আশা করি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
| উপকরণ | পরিমাণ |
|---|---|
| মাছ | ৫০০ গ্রাম |
| পিঁয়াজ কুচি | ২ কাপ |
| কাঁচা মরিচ | ৪/৫ টি |
| আলু | মাঝারি সাইজের ৩টি |
| বেগুন | বড় সাইজের ১টি |
| হলুদ গুড়া | ২ চা চামচ |
| কারিপাউডার | ২,টেবিল চামচ |
| মরিচ গুঁড়া | ১ টেবিল চামচ |
| জিরা গুঁড়া | হাফ টেবিল চামচ |
| ধনে গুঁড়া | হাফ টেবিল চামচ |
| আদা রসুন পেস্ট | ১ টেবিল চামচ |
| লবন | স্বাদমতো |
| তেল | ৩ টেবিল চামচ |
কার্যপদ্ধতিঃ
 |  |
|---|
প্রথমেই পিঁয়াজ, কাঁচামরিচ ও ধনেপাতা কেটে নিয়েছি। এরপর বেগুনগুলো কেটে ধুয়ে নিয়েছি।
 |  |
|---|
এরপর আলুগুলো ছুলে, কেটে, তেলে হালকা বাদামি করে ভেজে নিয়েছি।
 |  |
|---|
এরপর একটি কড়াইতে তেল গরম করে তাতে আদা রসুন পেস্ট দিয়ে দিয়েছি।এরপর তাতে পিঁয়াজ, কাঁচামরিচ ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে অল্প আঁচে রেখে দিয়েছি পিঁয়াজ গলে যাওয়ার জন্য।
 |  |
|---|
এরপর মাছগুলো ভালোভাবে পানিতে ধুয়ে তাতে হলুদ ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে তেলে হালকা ভেজে নিয়েছি।মাছগুলো কেটে প্যাকেট করা ছিল তাই আর কাটাকাটির কোন ঝামেলা ছিল না।
 |  |
|---|
এরপর পিঁয়াজ গলে গেলে সকল গুড়া মশলা গুলো দিয়ে দিয়েছি।
 |  |
|---|
এরপর মসলাগুলো পেঁয়াজের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে কয়েক মিনিট কষিয়ে নিয়েছি। এরপর ওই মসলার মধ্যে ভেজে রাখা আলু ও কেটে রাখা বেগুনগুলো দিয়ে দিয়েছি।
 |  |
|---|
এরপর আলু ও বেগুনগুলো মসলার সাথে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছি। এরপর ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে তাতে ৩ কাপ পানি অ্যাড করে দিয়েছি।
এরপর ফুল আঁচে ৬-৭ মিনিটের জন্য রেখে দিয়েছি।
এরপর ধনেপাতা অ্যাড করে আমার রান্না শেষ করেছি।ব্যাস হয়ে গেল আমার মজাদার আলু ও বেগুন দিয়ে বাইম মাছের রেসিপি।
পরিবেশন এর জন্য রেডি
| Photographer | @tangera |
|---|---|
| Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বাইম মাছ আমার খুব পছন্দের একটি মাছ।আমিও এই মাছ বেশীর ভাগ সময় ভুনা করে খেয়েছি।সবজির মধ্যে আলু দিয়েই রান্না করি।আপনি আলু ভেজে দিলেন আপু এজন্য এর স্বাদ অনেক গুন বৃদ্ধি পেলো।রেসিপিটি খুবই লোভনীয় লাগছে।বেগুন আমার পছন্দের একটি সবজি।যেকোনো মাছে বেগুন দিলে খেতে ভীষণ স্বাদের হয়।ধন্যবাদ আপু মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
বাইম মাছ খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। অন্যান্য সব মাছের থেকে বাইম মাছ একটু বেশি সুস্বাদু হয়। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে আলু ও বেগুন দিয়ে বাইম মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল।
আমারও একই অবস্থা। সবজি দিয়ে মাছ খুব কম রান্না করা হয়। আর রান্না করতে গেলেই এই আলু বেগুনের কথাই মনে আসে। বাইম মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। আপনি আলু বেগুন দিয়ে যেভাবে রান্না করেছেন দেখেই মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজাদার হয়েছিল। দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে এত লোভনীয় লাগছে দেখতে।
বাইম মাছ খেতে অনেক সুস্বাদু। আলু বেগুন দিয়ে বাইম মাছের এত লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে লোভ লেগে গেল। আপনি বরাবরই মজার মজার রেসিপি তৈরি করে থাকেন। প্রতিটি রেসিপি আমার কাছে ইউনিক মনে হয়। আজকের রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আলু ও বেগুন দিয়ে বাইম মাছের ঝোল রেসিপি রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপির পরিবেশনটা আমার কাছে দারুন লেগেছে। খুবই সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে শেয়ার করলেন।
বাইম মাছের রেসিপি দেখতে পেয়ে খেতে ইচ্ছা করছে, কারণ এই বাইম মাছের রেসিপি অনেক মজাদার হয়। আমি অনেকদিন আগে আলু দিয়ে এভাবে বাইম মাছের রেসিপি তৈরি করেছিলাম। যার কারণে আপনার রেসিপি পরিবেশনটা দেখে অনেক ভালো লাগলো।
মজার মজার রেসিপি দেখলে কিভাবে লোভ সামলানো যায় আপনি বলেন। যেমন আপনার রেসিপিটা দেখে আমার এতটা লোভ লেগেছে। এখন তো ইচ্ছে করছে খেয়ে ফেলতে। আপনি সবসময় অনেক মজার মজার রেসিপি তৈরি করে থাকেন। আপনার তৈরি করা রেসিপিগুলো অনেক লোভনীয় হয়ে থাকে। বুঝতেই পারে দেখে এগুলো অনেক সুস্বাদু হয়। নিশ্চয়ই এই রেসিপিটাও অনেক সুস্বাদু ছিল। সুন্দর করে সবার মাঝে শেয়ার করলেন দেখেই অসম্ভব ভালো লাগলো।
আপু বাইম মাছ ভুনা এবং সবজি দিয়ে রান্না করলে খেতে বেশ মজা লাগে। আজকে আপনি বাইম মাছ এবং আলু ও বেগুন দিয়ে মজার রেসিপি করেছেন। তবে আপু মাছের সাথে আলু এবং বেগুন দিলে খেতে বেশ মজাই লাগে। আর বাইম মাছ একটু শক্ত এ কারণে খেতে একটু বেশি মজা লাগে। আর ধনেপাতা দিলে খেতে আলাদা একটা ঘ্রাণ লাগে। খুব মজার রেসিপিটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ঠিক বলেছেন আপু আলু যে কোন মাছে ভেজে দিলে খেতে দারুন স্বাদের হয়। আলুও বেগুন দিয়ে বাইম মাছ রান্না দেখেই মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছে খেতে ।এমন ধরনের রান্না গরম গরম রুটি দিয়ে খেতে অনেক ভালো লাগে ।রান্না করার প্রতিটি ধাপ আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার ধাপগুলো অনুসরণ করলে খুব সহজেই এমন ধরনের রেসিপি রান্না করতে পারব ।ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
বাইম মাছ ভুনা আমার খুব পছন্দ। উপরে যদি জিরাগুঁড়া দেওয়া হয়, তাহলে তো স্বাদ অনেকাংশে বেড়ে যায়। যাইহোক আলু এবং বেগুন দিয়ে তৈরি করা বাইম মাছের ঝোল রেসিপিটা দারুণ হয়েছে আপু। মাঝেমধ্যে একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রান্না করলে খেতে আসলেই খুব ভালো লাগে। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।