ফ্লু যেন আমাদেরকে ছেড়ে যাচ্ছেই না
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।
চার পাঁচ দিন ধরে হাজব্যান্ড ফ্লুতে আক্রান্ত। লাস্ট দুই দিন অবস্থা বেশি খারাপ হয়ে পড়েছে।প্রচন্ড জ্বর, সারা শরীরে ব্যথা, কাশি, বমির ভাব, খাওয়ার অরুচি।এক মাস আগে তার এমন অবস্থা হয়েছিল। তখন ডক্টর এর কাছে গিয়েছিল। ডক্টর শুধু প্যারাসিটামল আর আইব্রুপ্রফেন খেতে বলেছিল।যেহেতু পূর্বের মতো সেম symptoms ছিল তাই এবার আর যায়নি ডক্টরের কাছে।কিন্তু লাস্ট দুই দিন অবস্থা খুব বেশি খারাপ হয়ে পড়েছে তাই আজকে আর না যেয়ে পারলাম না।তারপর সব কিছু চেক করে ডক্টর বলল ফ্লু, সেম আগের মতই।তখন জিজ্ঞাসা করলাম কেন এমন হচ্ছে বারবার? তখন বলল কারও সংস্পর্শে হয়েছে।প্রবলেম হচ্ছে আমরা তো ঘর থেকে তেমন বেশি বের হই না।আর হাজবেন্ডের কাজের প্রয়োজনে সব সময় বাইরে যেতে হয়।আর এখন এই সিজনটাই খারাপ।প্রচন্ড ঠান্ডা পড়া শুরু হয়েছে। ডক্টর বলল হসপিটালে এখন এই রোগী ভরা।আসলে সেদিন গাড়ির প্রবলেম হয়েছিল, তাই হাজবেন্ড গাড়ি ছাড়াই রাস্তায় অনেক হাঁটাহাঁটি করেছিল।আর এই ঠান্ডায় সর্দি লেগে যায়। সেখান থেকেই ফ্লুর আক্রমণ শুরু হয়ে যায়। যাইহোক ডক্টর বললো আরো দুই তিন দিন লাগবে পুরো ঠিক হতে।
আসলে ফ্যামিলিতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে খুবই খারাপ লাগে।বাড়ির প্রধান যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন আরও বেশি বিপদে পড়তে হয়।ঘরের টুকটাক খরচ করতে তখন বেশি বিপদে পড়তে হয়।যেহেতু আগে থেকেই সব কিছু ঘরে ছিল তাই আর তেমন বেশি দরকার হয়নি।অবশ্য প্রবলেম হলে ভাসুর সবকিছু কিনে দিয়ে যায়। কিন্তু এবার ভাসুরও অসুস্থ হয়ে পড়েছে,তবে তার একটু কম।সবচেয়ে বেশি প্রবলেম হয়ে যায় বড় মেয়েকে স্কুলে আনা নেওয়া করার জন্য। ছোট মেয়ের স্কুলের ট্যাক্সি রয়েছে। কিন্তু বড় মেয়েকে আনা নেওয়া করতে হয়। আর এই কাজটি আমার হাজব্যান্ডই করে।অবশ্য হেঁটেও যাওয়া যায়।বাসা থেকে প্রায় এক মাইলের মত হবে। কিন্তু প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় মেয়ে হেঁটে যেতে চায়না।দুইদিন অসুস্থ শরীর নিয়ে মেয়েকে দিয়ে এসেছিল স্কুলে।এরপর আর পারিনি।এরপর ভাসুর তাকে দিয়ে এসেছিল যেহেতু তার শরীর একটু কম খারাপ ছিল।আজ হাজবেন্ডের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল।এদিকে মেয়েকেও স্কুলে পাঠাতে হবে।তাই অসুস্থ শরীর নিয়েই ড্রাইভ করেছে।আর এ কারণে আমাকে সাথে নিয়েছে যেন একটু সাপোর্ট পায়।এছাড়া দুই তিন দিন ধরে রেস্টুরেন্টেও যেতে পারছে না, ব্যবসার ও অনেক লস হচ্ছে।
যাইহোক ডক্টরের কাছ থেকে এসে ওষুধ খাওয়ার পর এখন একটু বেটার ফিল করছে। কিন্তু এখন প্রবলেম হচ্ছে আমার পালা। আমার শরীর ভালো ফিল করছি না, প্রচন্ড ঠান্ডা লাগছিল।এ কারণে আগে থেকেই প্যারাসিটামল খেয়ে বসে আসি।যেহেতু একজনের হয়েছে তাই ঘরের সকলেরই হবে। তবে আমার হলে হাজবেন্ডের মত এত বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ি না।আর এ অসুস্থ শরীর নিয়েই ঘরের সবকিছুই করতে হয়।সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় সকালবেলায় বাচ্চাদেরকে স্কুলে যাওয়ার সময় রেডি করতে।এরপর রান্নাবান্না তো রয়েছেই।হাজব্যান্ড অসুস্থ হলে মোটামুটি ম্যানেজ করা যায় কিন্তু আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে পুরো ঘরই অচল হয়ে যায়। কারণ হাজব্যান্ড কোন কিছুই ম্যানেজ করতে পারেনা স্পেশালির বাচ্চাদের ব্যাপারে। যাই হোক আমার জন্য অল্পের মধ্য দিয়েই সেরে যায়। আর বাচ্চারা যেন আক্রান্ত না হয় সকলেই দোয়া করবেন।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন। পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
ভাইয়ার অসুস্থতার কথা শুনে খুবই খারাপ লাগছে আপু।ফ্লু তে আক্রান্ত হলে সহজে ভালো হয় না।আর এই অসুস্থতার মধ্যেও ভাইয়া ড্রাইভ করে মেয়েকে দিয়ে এসেছে। যেটা আসলে খুবই কষ্টকর। আর আপনার শরীর অসুস্থ হলে তো পুরো সংসার চালানো সমস্যা হয়ে যাবে।আপনি সুস্থ থাকুন এবং আপনার বাচ্চারাও যাতে সুস্থ থাকে সেই দোয়া রইলো আপু।
আপু আপনার পরিবারের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে জেনে খুবই খারাপ লাগল। ভাইয়ার অবস্থা দেখছি খুবই খারাপ। সবার সুস্থতা কামনা করছি আপু। অনেক অনেক দোয়া রইলো।
বাড়ির প্রধান মানুষটি অসুস্থ হয়ে পরলে খুব ভোগান্তি পোহাতে হয়।ভাইয়া ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছেন দুবার। ভাইয়ার সুস্থতা কামনা করছি।তিনি খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে আবার নিজের কাজে মন দিতে পারবেন এমনটা ই আশা করছি।ঘরে একজন অসুস্থ হলে আসলে বাকিদের ও হওয়ার সম্ভবনা থাকে।আল্লাহ ভরসা আপনাদের কে আল্লাহ নিরাপদে রাখবেন,সুস্থ রাখবেন,আমিন।সবাই একটু সচেতনতা অবলম্বন করে চলবেন আশা করি।আল্লাহর রহমত আপনার পরিবারের উপর বর্ষিত হোক, দোয়া করি আপু।
আসলে ফ্লু তে পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে, কমবেশি সবাই আক্রান্ত হয়ে যায়। আমাদের ভাইয়া এতটা অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল,এটা জেনে খুব খারাপ লাগলো। সবমিলিয়ে বেশ ঝামেলার মধ্যে ছিলেন দেখছি। আশা করি আপনি এবং ভাইয়া দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। তবে আপনার দুই মেয়ে যাতে ফ্লু তে আক্রান্ত না হয়,সেই কামনা করছি। আপনার পুরো পরিবারের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো আপু।
এটা সত্যিই কঠিন সময়, যখন পরিবারের একজন অসুস্থ হয়ে পড়ে, বিশেষ করে যখন বাড়ির প্রধান ব্যক্তি অসুস্থ হয়। আপনার মতো কঠোর পরিশ্রমী মায়ের জন্য এ ধরনের পরিস্থিতি আরও বেশি চাপ হয়ে দাঁড়ায়। আশা করি, আপনার হাজব্যান্ড দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে এবং আপনি নিজেও ভালো বোধ করবেন। পরিবারের সবাই যেন সুস্থ থাকে, সেই কামনা করি। আপনার সাহসিকতা ও ধৈর্য প্রশংসনীয়, আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।