মজাদার বাঘ মাছের রেসিপি
আসসালামুআলাইকুম,
বন্ধুরা সকলে কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
টাইটেলটি দেখে অনেকেই হয়তো ভয় পেয়ে গিয়েছেন তাই না? হ্যাঁ বন্ধুরা আমিও প্রথম আমার হাজবেন্ডের মুখ থেকে যখন এই মাছের নামটি শুনেছিলাম ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কারণ এই নাম এর আগে কখনো শুনিনি।বাঘা আইর মাছকে সিলেটিরা বাঘ মাছ বলে।তাই আমিও একটু মজা করে টাইটেলটি বাঘ মাছের রেসিপি লিখেছি।রেয়ার এই মাছটি সহজেই পাওয়া যায় না। তিন বছর আগে লাস্ট হাসবেন্ড বাসায় এনেছিল।এই মাছ সাইজে বিশাল আকৃতির হয়। অর আগে এক পিস পেটির মাছ এনেছিল যার ওজন ছিল প্রায় দুই থেকে তিন কেজি।আমাকে মাছের সাইজ দেখানোর জন্য আস্ত পিস বাসায় এনেছিল না কেটে।কিন্তু এবার এনেছে বাজার থেকে কেটে কারণ এত বড় মাছ কাটা খুবই প্রবলেম হয়। এবার এনেছে লেজের দিক থেকে এক পিস যার ওজন হবে প্রায় আড়াই কেজির মত।১ কেজি মাছের দাম হবে বাংলাদেশি টাকার প্রায় ২০০০ এর মত।খেতে কিন্তু অসাধারণ টেস্টি।আমার তো খুবই ভালো লাগে। যাই হোক আশা করছি আমার এই রেসিপিটি আপনাদেরও ভালো লাগবে।চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।
চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মাছ | ৮০০ গ্রাম |
পিঁয়াজ কুচি | আড়াই কাপ |
কাঁচা মরিচ | ৪/৫ টি |
আদা রসুন পেস্ট | হাফ টেবিল চামচ |
হলুদ গুড়া | ২ চা চামচ |
কারিপাউডার | দুই টেবিল চামচ |
জিরা গুঁড়া | ১ টেবিল চামচ |
লবন | স্বাদমতো |
ধনেপাতা কুচি | ২ টেবিল চামচ |
তেজপাতা | ২ টি |
তেল | ৪ টেবিল চামচ |
কার্যপদ্ধতিঃ
প্রথমেই পেঁয়াজ ও ধনে পাতা কেটে নিয়েছি।এরপর মাছগুলো বের করে নিয়েছি বরফ ছাড়ানোর জন্য।
এরপর একটি কড়াইতে তেল গরম করে তাতে আদা রসুন পেস্ট, এরপর পেঁয়াজ ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে অল্প আঁচে রেখে দিয়েছি পেঁয়াজগুলো গলে যাওয়ার জন্য।
এরপর মাছগুলো ধুয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে হলুদ ও লবণ মাখিয়ে তেলে ভেজে নিয়েছি।
এরপর পিঁয়াজ গলে গেলে সকল গুড়া মসলা গুলো দিয়ে দিয়েছি।
এরপর মসলাগুলো পিঁয়াজের সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে অল্প আঁচে কয়েক মিনিট কষিয়ে নিয়েছি।
এরপর মসলার মধ্যে ভাজা মাছ গুলো দিয়ে দেড় কাপ পানি অ্যাড করে ফুল আঁচে রেখে দিয়েছি ৬-৭ মিনিটের জন্য।
এরপর ধনেপাতা অ্যাড করে আমার রান্না শেষ করেছি।
ব্যাস হয়ে গেল আমার মজাদার বাঘা আইর মাছের রেসিপি।
পরিবেশন এর জন্য রেডি
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।
পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
মজাদার বাঘ মাছের রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটি রেসিপি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাঁর কারণ আপনি সব উপাদান পরিমাণ মতো দিয়ে মিশ্রণ করে রেসিপিটি ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেন। আপনার তৈরি করা রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে রেসিপিটি বেশ মজাদার হয়েছিল।
আপনার হাতে তৈরি করা যে কোন ধরনের রেসিপি গুলো দেখলেই বোঝা যায় আপনি রেসিপি তৈরি করতে বেশ পারদর্শী। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে মজাদার বাঘ মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।
টাইটেল দেখে তো আমি অবাক। বুঝতেই পারছিলাম না এটা আবার কি মাছ। আবার ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। যাই হোক অনেক লোভনীয় একটা রেসিপি ছিল এটা। দেখেই তো আমার অনেক লোভ লেগে গিয়েছে। মজার মজার রেসিপি গুলো দেখলে কার না লোভ লাগবে। এত সুন্দর ভাবে একটা রেসিপি তৈরি করেছেন, দেখতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি সুন্দর করে তুলে ধরেছেন, এটা দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এটা শেয়ার করার জন্য।
রেসিপি টাইটেল দেখেই আজকে একটু অবাক হয়ে গিয়েছিলাম আপু। যাই হোক পরে পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম এটি বাঘা আইর মাছ। রেসিপিটি খুবই লোভনীয় করে তৈরি করেছেন। ফাইনাল আউটপুট দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজাদার হয়েছিল। সেই সাথে রেসিপিটি তৈরি করার প্রসেস গুলিও সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম আপু বাঘা আইর মাছকে সিলেটিরা বাঘ মাছ বলে। আসলে রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজার হয়েছে খেতে ।ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমি তো সত্যি সত্যি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম আপু টাইটেলটা দেখে। ভাবছিলাম কোনো বাঘ মামাকে এনে আবার রান্না করে ফেলেন নি তো। যাইহোক এই মাছের নাম আজকে প্রথমবারের মতো শুনলাম। এটা বেশ ভালো লেগেছে। দাম দেখছি অনেক বেশি এই মাছের। তখনও সুযোগ হলে অবশ্যই খাওয়ার চেষ্টা করবো। রেসিপিটা অনেক লোভনীয় লাগছে। এটা নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু ছিল।
সিলেটে বড় আইর মাছকে বাঘা আইর বলে আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম। আইর মাছ তো এমনিতেই খুব টেস্টি মাছ।আর সাইজে যদি এতো বড় হয় মাছ তবে তো খেতে আরো বেশী সুস্বাদু হয়।তিন বছর পর আবার আনা হলো মাছটি। যেহেতু কম পাওয়া যায়। এখন রান্না করে তৃপ্তি নিয়ে খাবেন আপু।রেসিপিটি ভীষণ সুস্বাদু হয়েছিল দেখেই বেশ বুঝতে পারছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু রেসিপিটি ধাপে ধাপে তুলে ধরার জন্য।
মনে হয় এই মাছের নামটা আজকে প্রথম শুনলাম। মাছটা দেখতে পারলে ভালো লাগতো। তবে চমৎকারভাবে আপনি রেসিপি সাজিয়েছেন। আপনার রেসিপি তৈরি করা অনেক সুন্দর হয়েছে। বেশ লোভনীয় আর সুস্বাদু ছিল।
বাঘা আইর মাছ খুবই কম পাওয়া যায়। বিশেষ করে বড় সাইজের বাঘা আইর মাছ খুঁজেই পাওয়া যায় না। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু।
টাইটেল দেখে তো আসলেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম আপু হা হা হা। যাইহোক বাংলাদেশে খুব সম্ভবত ২/৩ বছর আগে থেকে বাঘা আইড় মাছ শিকার করা এবং বিক্রি নিষেধ করা হয়েছে। এটা একবার শুনেছিলাম। আইড় মাছ মাঝেমধ্যে খাওয়া হয়,কিন্তু বাঘা আইড় মাছ কখনো খাওয়া হয়নি আমার। তবে রেসিপিটা দেখতে সত্যিই বেশ লোভনীয় লাগছে। এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।