ছোট্ট দিন, রোজা রাখার উপযুক্ত সময়
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
এখন আমাদের এখানে দিন একেবারেই ছোট। মাগরিবের আজান হয় ৩ঃ৫৫ মিনিটে, আর ফজরের নামাজ শুরু হয় ৬ঃ১৫ মিনিটে। মাত্র ১০ ঘন্টা থেকে সোয়া ১০ ঘন্টার মত একটি ছোট্ট দিন। তাই এখনই সময় রোজা রাখার। সূর্য উদয় হয় আটটার সময় অর্থাৎ আপনি যদি ঘুম থেকে সাতটা, সাড়ে সাতটার সময়ও ওঠেন তারপরও ফজরের নামাজ পড়তে পারবেন। আর যখন দিন বড় হয় তখন ফজর শুরু হয় ২ঃ ৪০ মিনিটে আর মাগরিব হয় ৯ঃ২৫ মিনিটে। অর্থাৎ প্রায় ২০ ঘন্টার মত হয় একটি দিন।গত ৬/৭ বছর ধরে আমরা এভাবেই রোজা করে এসেছি।এ সময় দিন সবচেয়ে বড় থাকে।এরপর ধীরে ধীরে কমতে থাকে। আগামী বছর দিন ছোট থাকবে। আস্তে আস্তে কমে দশ ঘণ্টার মতো হবে, ঠিক এ সময় যখন রামাদান আসবে।
আসলে অনেক রোজা কাজা হয়ে গিয়েছে। যখন ছোটবেলায় স্কুলে যেতাম পরীক্ষা থাকতো,তখন আব্বু- আম্মা রোজা রাখতে দিত না। আমার ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও তখন আর রোজা রাখা হতো না।খুব কষ্ট লাগত। তখন পরে আর কাজা রোজা গুলো করা হয়নি।এ ছাড়া ইংল্যান্ডে আসার পর আমার বড় মেয়ে যখন পেটে থাকে তখন এই বড় দিনের রোজা পেয়ে যাই।তখন আমার শরীর বেশ খারাপ ছিল, ভালোভাবে খেতে পারতাম না। ডক্টরের কাছে গিয়ে বললাম রোজার কথা।ডক্টর বলল এখন রোজা না রাখাই ভালো। ডক্টর বললেন এত ঘন্টা পানি না খেয়ে থাকলে বাচ্চার প্রবলেম হয়ে যেতে পারে। যেহেতু আমার আগে একটা দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছিল তাই আমার হাজব্যান্ড আর রিক্স নিতে চাইল না। ৩০ টা রোযা আমার মিস হয়ে গেল। সবাই রোজা রাখত, আর আমি রাখতাম না।খুবই খারাপ লাগতো তখন।এরপর পরের বছর থেকেই শুরু করে দেই কাজা রোজা রাখা, যখন দিন ছোট থাকে। প্রতিবছর এভাবে দশ-বারোটা করে রোজা রেখে দেই। চেষ্টা করি কাজা রোজা গুলো পূর্ণ করতে। দিন বড় থাকলে খুবই কষ্ট হয়।ছোট দিনগুলোতে বোঝাই যায় না যে রোজা রেখেছি। তাছাড়া এখন বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ রয়েছে। তাদেরকে স্কুলে আনা নেয়া করতে হয় না।এটিই সুবর্ণ সময় রোজা রাখার। আমার সাথে আমার হাজবেন্ডও রোজা রাখে। একা একা রোজা থাকতে আসলে কেমন যেন লাগে। কিন্তু সাথে আর একজন থাকলে বেশ ভালই লাগে। আজকে দিয়ে মোট পাঁচটি রোজা করে ফেললাম।টার্গেট আছে টোটাল ১০ টি রোজা রাখব। প্রতিবছর এভাবেই করে যাচ্ছি। আর যতদিন বেঁচে থাকি ততদিন যদি এভাবেই করে যাই তাহলে আশা করছি আর কোন কাজা রোজা থাকবে না। আমাদের নবীজি প্রতি সোমবার এবং বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন। আমাদেরও উচিত এভাবে রোজা পালন করা।আসলে এটি একটি অভ্যাসের ব্যাপার। একবার অভ্যাস হয়ে গেলে আমার মনে হয় সকলেই পারবে। আমারও এখনও এভাবে করা হয়নি।তবে আশা আছে পরবর্তীতে এভাবে রোজা পালন করা।
ছোট্ট পরিসরে গতকাল কিছু ইফতারের আয়োজন করেছিলাম।
গতকাল হাজবেন্ডের অফ ডে ছিল। তাই ভাবলাম কিছু আইটেম বানিয়ে ফেলি। খুবই মজার ছিল আইটেমগুলো।একে একে অনেকগুলোই খেয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু এগুলো খেয়ে গতকাল শরীর খুবই খারাপ হয়ে পড়েছিল। প্রচন্ড পেটে ব্যথা, গ্যাসের অনেক প্রবলেম হচ্ছিল। তাই আজকে আর কোন আইটেম বানাইনি।সরাসরি ভাত খেয়ে ফেলেছি। কারণ ৩ টা ৫৫ তে ছিল মাগরিবের টাইম।মোটামুটি লাঞ্চ টাইম ধরা যায়। হ্যাঁ বন্ধুরা এখন বাংলাদেশের দিনও অনেক ছোট।তাই এখন আপনাদেরও সুবর্ণ সময় যারা রোজা রাখাতে চান।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 13 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।সকলেই আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[](https://steemitwallet.com/~witnesses
যেহেতু টার্গেট নিয়েছেন ১০ টি রোজা রাখবেন আর এখন দিন যেহেতু ছোট তাই রোজা রাখতেও বেশি কষ্ট হবে না মাত্র ১০ ঘণ্টাতেই একটি করে রোজা হয়ে যাবে। আর ইফতারের টাইমে তো অনেক আইটেম তৈরি করেছিলেন হ্যাঁ দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক লোভনীয়।
হায় হায় হায়! বলে কি এটা বলে ছোট পরিসরে আয়োজন, তাইলে বড় পরিসরে হলে কি হতো সেটাই চিন্তা করছি হি হি হি। তবে আইটেম যেগুলো করছেন সেগুলোই বা কম কিসে, স্বাদে পুরো ষোলআনা উসুল হয়ে যাবে।
এটা আমরা ছোট বেলায়ও দেখতাম এবং মুরুব্বীদের নিকট শুনতাম। রোজা ছুটে গেলো সেগুলোকে ছোট দিনের সময় কিংবা শীতের সময়ে করার চেষ্টা করতো। ধন্যবাদ
আসলেই আপু দিন ছোট হলে রোজা রাখতে একেবারেই কষ্ট হয় না। যাইহোক আপনি এই সুযোগে কাজা রোজা রাখছেন, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। ৫ টা যেহেতু রেখে ফেলেছেন,আরো ৫ টা খুব সহজেই রাখতে পারবেন আশা করি। এটা খুব ভালো একটা উদ্যোগ। কারণ অনেক সময় বিভিন্ন কারণে রোজা রাখা যায় না। তাই কাজা রোজা রাখতে পারলে খুবই ভালো। ইফতারের আইটেম গুলো দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। তবে এটা কোনোভাবেই ছোট পরিসরে আয়োজন মনে হলো না আপু 😂। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু এ সময় রোজা রাখলে তেমন একটা কষ্ট হয় না আমিও কিছুদিন আগে রোজা রেখেছিলাম। খুবই ছোট দিন তেমন কোন কষ্টই হয়নি আমি যখন রোজা রেখেছিলাম। আপনার পোস্টটা পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো আপনার রোজাগুলো ভালোভাবে পালন করুন এই কামনা রইল। তবে আপনার ইফতারের আইটেম দেখে তো আমার লোভ লেগে গেল। এটা যদি ছোট পরিসরে ইফতার হয় তাহলে বড়টা জানি কেমন হবে। দেখে মনে হচ্ছে খাবারগুলো খুবই সুস্বাদু হয়েছে ইফতারের পর এত সুস্বাদু খাবার খেলে সব ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। আপনার জন্য দোয়া রইল এভাবে যাতে প্রতিবছর আপনি আপনার কাজা রোজা গুলো রাখতে পারেন।
আপু আপনার কাজা রোজা গুলো করার এই ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে আমাদের সকলেরই উচিত কাজা রোজা গুলো করা। আমি সবসময় চিন্তা করি শুরু করব শুরু করব কিন্তু আর করা হয়ে ওঠে না। আপনার করা দেখে আমারও করতে ইচ্ছে করছে । যদিও এখন শরীরটা খারাপ, শরীর ঠিক হলে করার চেষ্টা করব। তবে আপনার খাবারের আয়োজনগুলো কিন্তু চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।