ভাইফোঁটার দিন
নমস্কার বন্ধুরা,
আজ আমি আপনাদের সঙ্গে ভাইফোঁটার কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিচ্ছি। তার সাথে আমার বাংলা ব্লগের সকল দাদা এবং ভাইদের শুভ ভ্রাতৃদ্বিতীয়া জানাই।
পরশু দিন ছিল ভাইফোঁটা ।এই ভাতৃদদ্বিতীয়া কার্তিক মাসের শুক্লতৃতীয়া তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়। যেটা পশ্চিম ভারতের এই উৎসব ভাই দুজ নামে পরিচিত। যমদ্বিতীয়া নামেও পরিচিত এই ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। পুরানে উল্লেখ আছে কার্তিকের শুক্ল তৃতীয়া তিথিতে যমুনা দেবী তার ভাই যমের মঙ্গল কামনায় গভীর ধ্যান মগ্ন হয়ে পুজো করেছিলেন। তারই পুণ্য প্রভাবে যমদেব অমরত্ব লাভ করেছিলেন। তারপর থেকে ভাইদের দীর্ঘায়ু কামনার জন্য বোনেরা ভাইদের কপালে ফোঁটা দিয়ে থাকে ।
ভাইফোঁটার দিন সকাল সকাল উঠে গিয়েছিলাম। যেহেতু এই বছর অশুচ রয়েছে তাই ফোটা দিতে পারিনি। কিন্তু আমার চারটে বোন ফোঁটা দিয়েছিল। সামনে বসে দেখছিলাম। এই মুহূর্তটা এতটাই সুন্দর সেটা মুখে বলে বোঝানো যাবে না ।এই দিন বোনেরা উপবাস রেখে ভাইয়ের কপালে ফোটা দিয়ে থাকে। সকাল থেকেই আমার বোনেরা খুব সুন্দর করে মিষ্টির প্লেট ,চন্দন ,কাজল প্রদীপ ,ধান দূর্বা সাজিয়ে রেখেছিল।
এরপর এক এক করে সব বোনেরা ভাইদের ফোটা দিল ।ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেওয়ার সময়ে বোনেরা ছড়াও কাটে, সেটি হল--
'ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা,
যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।
যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা,
আমি দেই আমার ভাইকে ফোঁটা'
গিফট দেওয়ার সময় কিন্তু বেশ মজা হয় আর উপহার পেতে কার না ভালো লাগে। বোনেরাও যেমন ভাইদের উপহার দেয়, ভাইয়েরাও তেমন বোনদের উপহার দেয়। এই ভাইফোঁটা মানেই হলো ভাই বোনের সম্পর্ককে সুদৃঢ় করার উৎসব । খুব সুন্দর ভাবে সকাল সকাল উলু আর শঙ্খ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ভাই ফোঁটার শুভ মুহূর্ত কমপ্লিট হল ।আর এই দিনটা আমার তো ভীষণ ভালো কেটেছে। আপনাদের কেমন কাটলো সেটা কিন্তু জানাতে ভুলবেন না।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাইফোঁটা নিঃসন্দেহে ভাইবোনের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করে। আপনার চারবোন ভাইফোঁটা দিয়েছে, দেখে খুব ভালো লাগলো বৌদি। আগামী বছর আশা করি আপনিও ভাইফোঁটা দিতে পারবেন। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইফোঁটা বিষয়ক এই পোস্টটি দেখে ভালো লাগলো দিদি ভাই। সব ভাই-বোনেরা মিলে বেশ আনন্দ করেছেন বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু আপনাদের বোনদের সবাইকেই যেন এক রকম দেখতে। হা হা হা৷ ভাইফোঁটার সম্পূর্ণ পদ্ধতিটি খুব বিশদে ব্যাখ্যা করলেন। আমিও সেদিন দিদির বাড়ি গিয়েছিলাম। খুব আনন্দে কেটেছে দিনটা। এই দিনটার জন্য যেন প্রতীক্ষা করি সারা বছর। আপনিও পরের বছর সকলের সঙ্গে ফোটা দেবেন ভাইদের।
অশৌচর জন্য দিতে পারেননি বলে মন খারাপ করবেন না। দাদা ভাইদের মঙ্গল আপনি সারা বছরই চাইতে পারেন৷ তবে এই বিশেষদিনে অংশগ্রহণ করার আনন্দ আলাদা৷ পরের বছর নিশ্চই প্রচুর আনন্দ করবেন৷ শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাই ফোঁটা অনুষ্ঠানটি বেশ ভালো লাগে আমার।ভাই বোনের সম্পর্ক আরো ভালো হয় মনে করি এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।আপনারা সব ভাই বোন মিলে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন,ধন্যবাদ।