এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি//১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার বন্ধুরা,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আপনাদের সাথে আমার তোলা কিছু ফটো ভাগ করে নিচ্ছি।আশা করি সকলের ভালো লাগবে।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল
ব্রিটিশ শাসন চলাকালীন কলকাতা ছিল ভারতের রাজধানী। ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়া তখন আবার ভারতেরও সম্রাজ্ঞী। তাঁর রাজত্বকাল ১৮৫৭ থেকে ১৯০১-এর ২২ জানুয়ারি। তাঁর মৃত্যুর পর ভারতীয় উপনিবেশে তাঁর স্মৃতি সৌধ তৈরির সিদ্ধান্ত নেন ব্রিটিশ শাসকরা। সিদ্ধান্ত হয় যে সেই স্মৃতি সৌধ হবে তাজমহলের আদলে। রানির নামে সেই সৌধের নাম রাখা হয় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। আগাগোড়া শ্বেত পাথরের তৈরি এই স্মৃতিসৌধটি বর্তমানে একটি জাতীয় সংগ্রহশালা এবং কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন আকর্ষণ।
চন্দ্রমল্লিকা ফুল
চন্দ্রমল্লিকার ইংরেজি প্রতিশব্দ ক্রিস্যানথিমাম। শব্দটি গ্রীক থেকে এসেছে। ক্রিসস অর্থ 'সোনা' এবং এনথিমাম অর্থ 'ফুল'।এই গাছ ৫০ থেকে ১৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে থাকে। বৃহদাকৃতির ফুলগুলো সচরাচর সাদা, হলুদ অথবা পটল বর্ণের হয়। ফুলটির অপর একটি নাম হল 'সেবতি' । এই ফুলে অক্টোবরে কুঁড়ি আসে এবং নভেম্বরে ফুল ফোটে৷ গাছে ফুল তাজা থাকে ২০ থেকে ২৫ দিন৷
জবা ফুল হল মালভেসি গোত্রের অন্তর্গত একটি চিরসবুজ পুষ্পধারী গুল্ম, যার উৎপত্তি পূর্ব এশিয়াতে। এটি চীনা গোলাপ নামেও পরিচিত।
আমি যখন কোলাঘাটে বোনের হোস্টেলে গেছিলাম তখন বাড়ি আসার পথে এই ছবিটা তুলেছিলাম।
রবীন্দ্র সেতু (পূর্বনাম হাওড়া ব্রিজ) হুগলি নদীর উপর অবস্থিত কলকাতা ও হাওড়া শহরের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী সেতুগুলির মধ্যে অন্যতম। হাওড়া ব্রিজ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি নদীর উপর অবস্থিত বড় খিলানযুক্ত একটি ঝুলন্ত সেতু৷ প্রকৃতপক্ষে সেতুটির নামকরণ করা হয় নিউ হাওড়া ব্রিজ হিসাবে, কেননা একইস্থানে অবস্থিত কলকাতা এবং হাওড়া জেলার মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী একটি ভাসমান সেতুর পরিবর্তে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়৷ ১৯৬৫ সালে সেতুটির নাম ভারত এবং এশিয়ার প্রথম নোবেল বিজয়ী বিখ্যাত বাঙালি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে পুনঃ নামকরণ করা হয়৷
রঙ্গন ফুল
রঙ্গন ঘন চিরসবুজ গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ যা তিন থেকে ছয় মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। রঙ্গনের মঞ্জুরিপত্র বিশিষ্ট গাঢ় লালবর্ণের পুষ্প-মঞ্জুরিতে থাকে অসংখ্য পুষ্পের সমাবেশ। পাতার বিন্যাস ঘন। পাতা সরল ও প্রতিমুখ বা আবর্ত, কিনারা অখ, উপপত্র দুটি বৃত্তের মাঝে অবস্থিত। ফুল নলাকৃতি, তারার মতো চারটি পাপড়ির বিন্যাস।
এই ছবিটা বাগবাজার ঘাট থেকে তুলেছিলাম। সূর্য তখন অস্ত যাচ্ছে ঠিক ওই সময়ে তোলা ছবি ।
ডিভাইস | vivo v21 |
---|---|
লোকেশন | কোলকাতা |
ক্রেডিট | @swagata21 |
সব গুলো ছবিই সুন্দর হয়েছে দিদি , তবে পাঁচ নাম্বার ছবিটা একদম চোখে লাগার মতো । একদিকে হাওড়া ব্রিজ ও আকাশের যে ভিউটা তুলে ধরেছেন । জাস্ট প্রশংসনীয় ।
আপনার করা এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর ছিল। বিশেষ করে ব্রিজ এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করেছে । ভালই উপভোগ করলাম আপনার ফটোগ্রাফি গুলো।
আপনার তোলা এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপু। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করার পাশাপাশি বর্ণনা গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের নাম যে ইংল্যান্ডের রানী ভিক্টোরিয়া এর নাম অনুসারে রাখা সেটা জানাই ছিল না। এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল টিভিতে অনেক দেখেছি। এবং হাওড়া ব্রীজটাও বেশ বিখ্যাত একটা জায়গা। সেটার নাম যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে করা হয়েছে পরে সেটা আপনার পোস্ট থেকে জানলাম। বেশ চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি ছিল। ধন্যবাদ দিদি আমাদের সঙ্গে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
খুব চমৎকার হয়েছে ফটোগ্রাফি গুলো।তার চেয়েও বেশি সুন্দর লেগেছে আপনার বর্ণনা গুলো।অনেক কিছুই শিখলাম আপনার পোস্ট টা থেকে।
ইংল্যান্ডের রানী ভিক্টোরিয়ার নাম অনুসারে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর নাম রাখা হয়েছিল এটা একদমই জানা ছিল না। আপনার পোস্টের মাধ্যমে প্রায় অনেক কিছু জানার আছে। যেগুলো আমি একদমই জানতাম না। আওয়ার চন্দ্রমল্লিকা ফুলের সম্পর্কে এত কিছু এমনকি চন্দ্রমল্লিকা ফুলের আরেকটা নাম সেবতি এটাও জানার ছিল না। আবার রঙ্গল ফুল সম্পর্কেও এত কিছু জানার ছিল না। সত্যি আপনার চিন্তাধারা এবং লেখনি বেশ প্রশংসনীয়।
খুবই সুন্দর সুন্দর কিছু আলোকচিত্র আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে বিশেষ করে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ফটোগ্রাফি সহ খুব সুন্দর তথ্য উপস্থাপন করেছেন।। হাওড়া ব্রিজ গোধূলি লগ্নের সূর্য ডোবার ফটো অসাধারণ ছিল।।
আপনার তোলা এলোমেলো ছবিগুলোর প্রতিটি অসাধারন হয়েছে। ছবি তোলা যদি কারো শখ হয় তারাই ভাল ছবি তুলতে পারে। আপনার তোলা সূর্য অস্ত যাওয়ার ছবিটা চমৎকার হয়েছে, গাছের মাঝ দিয়ে সূর্য অস্ত যাওয়া দেখলাম।তাছাড়া হাওড়া ব্রিজ, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর ছবিগুলোও বেশ দারুণ হয়েছে। আর ফুলের ফটোগ্রাফি আমার বরাবরই ভাল লাগে। ধন্যবাদ দিদি।
প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে দিদি। বিশেষ করে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এবং হাওড়া ব্রিজের ফটোগ্রাফি দুটি আমার কাছে অত্যন্ত সুন্দর লেগেছে। সেই সাথে ফটোগ্রাফির বর্ণনা অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে দিয়েছো । ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এবং হাওড়া ব্রিজে আমি অনেকবারই ঘুরতে গেছি।
প্রথম ছবিটা দেখে ভেবেছিলাম এটি কোনো আর্টিস্ট এর হাতে আঁকা ছবি। পরে দেখলাম আপনি ছবি তুলেছেন। সত্যি এমন পার্ফেক্ট ক্লিক খুব কমই দেখা যায়। সাথে কিছু ইতিহাস জানতে পারলাম।