মৃত্যু
নমস্কার বন্ধুরা,
আজকে আমি একটা বিশেষ বিষয় নিয়ে লিখতে চলেছি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃত্যুকে কেবল জীবনের সমাপ্তি হিসেবে দেখেননি বরং এটি তাঁর দৃষ্টিতে ছিল এক নবজন্ম বা চিরন্তন সত্যের সঙ্গে মিলনের উপলক্ষ।তাঁর রচনায় মৃত্যু বারবার এসেছে পরম মুক্তি, শাশ্বত জগতের সঙ্গে সংযোগ এবং আত্মার পরিপূর্ণতার প্রতীক হিসেবে।মৃত্যুকে তিনি কখনো ভয় বা শূন্যতার চিহ্ন হিসেবে দেখেননি বরং এটিকে জীবনেরই একটি অপরিহার্য এবং স্বাভাবিক অংশ বলে মেনে নিয়েছেন।
রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস করতেন যে মৃত্যু কেবল দেহের অবসান কিন্তু আত্মার পথচলা তখনই শুরু হয়।তাঁর কবিতা ও গানগুলোতে এই দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট।উদাহরণস্বরূপ, "মরণ রে, তুঁহু মম শ্যাম সমান" এই গানে তিনি মৃত্যুকে এক ঘনিষ্ঠ সঙ্গী হিসেবে অভিহিত করেছেন,যেখানে মরণকে ভয় নয়, বরং আশ্রয় হিসেবে দেখা হয়েছে।তাঁর মতে, জীবনের সীমাবদ্ধতাগুলো মৃত্যুর মাধ্যমে অতিক্রম করা সম্ভব,যেখানে মানুষ প্রকৃত অর্থে নিজেকে উপলব্ধি করতে পারে।
রবীন্দ্রনাথের চিন্তায় মৃত্যু কোনো দুঃখের বিষয় নয় বরং এটি চিরন্তন মহাকালের সঙ্গে একাত্ম হওয়ার একটি মাধ্যম। তাঁর "গীতাঞ্জলি" এবং "শেষের কবিতা"-তে মৃত্যুকে আলোর দিকে একটি যাত্রা হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে।তিনি বলেছিলেন, “মৃত্যু না থাকলে জীবনকে গভীরভাবে উপলব্ধি করা সম্ভব হতো না।” মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তিনি জীবনকে আরও অর্থবহ করে তুলতে চেয়েছেন এবং এটিকে এক নতুন শুরু হিসেবে দেখেছেন।তাঁর দৃষ্টিতে মৃত্যু মানে শুধুমাত্র হারিয়ে যাওয়া নয় বরং তা জীবনের অমরত্বের পথে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া।
এই দার্শনিক ও মানসিক প্রেক্ষাপট রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকে শুধু গভীরতর করেনি, বরং মানুষের মনে মৃত্যুকে একটি শান্ত, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে গ্রহণ করার শিক্ষাও দিয়েছে।
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![1000158488.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmfPnrBZ8mApXbMFe9oQCbctS9LHC4rUhBAMMeueRR9kwJ/1000158488.jpg)
Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 5.269463112653569 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.
মৃত্যু সম্পর্কে অনেক সুন্দর কথা উপস্থাপন করেছেন দিদিভাই। আসলে আমাদের বিশ্বকাবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃত্যু সম্পর্কে যথার্থই ধারণা দিয়ে গেছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনার লেখাগুলো পড়ে। এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মৃত্যুকে অবশ্যই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে গ্রহণ করা উচিত আমাদের সবার। কারণ প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া আমরা যদি মৃত্যুকে বারবার স্মরণ করি,তাহলে আমাদের দ্বারা পাপকর্ম অনেক কম হবে। মৃত্যু সম্পর্কে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তা ভাবনা একেবারে যুক্তিযুক্ত ছিলো। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মৃত্যু সম্পর্কে বেশ চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মৃত্যু অনিবার্য সত্য প্রত্যেককেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হয়। মৃত্যু নিয়ে কবিদের যে ভাবনা সবকিছুই চিরন্তন সত্য। মৃত্যুর কথা মনে করলে আমরা অনেক অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকবো। বেশ ভালো লাগলো দিদি পোস্টটি পড়ে ধন্যবাদ।
তাই হয়তো কবি সাহিত্যিকরা বলে, মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মের মধ্যে।
দারুণ উপভোগ করলাম পুরো লেখাটি, দিদিভাই।
মৃত্যুর মধ্য দিয়েই আমাদের জীবনের নতুন আরেকটি অধ্যায় শুরু হয়। যে অধ্যায়ের কোনো সমাপ্তি নেই। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঠিকই বলেছেন মৃত্যুর মাধ্যমে জীবনকে আরো অর্থবহ করে তোলা সম্ভব। আর এই মৃত্যু না থাকলে আমরা জীবনকে এত গভীরভাবে ভাবতাম না। মৃত্যু নামক শব্দটাকে খুবই বিশ্লেষিত ভাবে সংজ্ঞায়ন করেছেন দিদি। খুবই ভালো লাগলো আপনার আজকের লেখা গুলি।
মৃত্যু হলো অন্ততকালের সাথে মানুষের এক গভীর আবদ্ধ হওয়ার মাধ্যম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক রচনার মধ্যে উনি এটা গভীরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। দারুণ লিখেছেন দিদি। অনেক নতুন কিছু জানতে পারলাম।।