আজ - সোমবার
১৫ পৌষ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
০১ জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি ২০২৩ সালের শেষ দিন অর্থাৎ গতকাল রবিবারে আমার তোলা বিশেষ বিশেষ ফটোগ্রাফি নিয়ে। আশা করি এই ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভাল লাগবে এবং স্মৃতি হয়ে থাকবে আমার এই আইডির মাঝে।
কালকের দিনের প্রথম ছবি ছিল আমার মোবাইলে ধারণ করা তুহিন ভাইদের সবজি চাষের কার্যক্রম। তখন বেশ একটু আনন্দঘন মুহূর্ত আমার মনের মধ্যে বিরাজ করেছিল যার জন্য সেখানে উপস্থিত হয়ে মেজ আব্বা আর তুহিন ভাইয়ের কার্যক্রমের দু একটা ছবি তুলেছিলাম। শুধু মনের মধ্যে এটাই চিন্তা ছিল বছরের শেষ দিন কয়েকটা স্মৃতি মূলক ছবি সংরক্ষণ করি পোস্ট করার জন্য।

এদিকে বাড়িতে গেস্ট এসেছে। আমার ভাই বিদ্যুৎ, মেজো খালার ছোট ছেলে ডাক্তার আমির হামজাদের অল পরিবার দাওয়াত দিয়ে এনেছিল। তারা শুধু একটাই বায়না করেছিল আমার কাছে কিছু আমড়া যদি পেড়ে দিতাম আমাদের কাছ থেকে।

২০২৩ সালের শেষ দিনে আমার সবজি বাগান থেকে সরিষা ফুলের ফটোগ্রাফি ধারন করলাম। মূলত ফটোগ্রাফি করার জন্যই সরিষা বুনে ছিলাম পুকুর পাড়ের সবজি গাছগুলোর মধ্যে।


বড় লাউ এর বানে সেচ দেওয়ার মুহূর্ত। হঠাৎ করে লাউ ধরতে ধরতে যেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে গাছ গুলো একটু রুগ্ন শুকনো হয়ে গেছে, তাই সার প্রয়োগ করে সেচ দিচ্ছিলাম।

বাড়ির গেস্ট যখন আমার সবজি বাগান পরিদর্শন করতে গিয়েছিল, বেশ আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম সবাই মিলে।


অনেকদিন পর আমার শিম গাছের ফুলের ফটোগ্রাফি করলাম। মোট পাঁচটি ইয়া বড় বড় শিমের বান রয়েছে আমার।


এগুলো পুঁই শাকের বিচি। এই শাকসবজি আমার অতি ফেভারিট। মূলত এই বিচি খাওয়ার আশায় বড় করে পুঁইশাকের বান তৈরি করেছিলাম। এখন প্রায় মাঝেমধ্যে এখান থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় আর রান্না করে খাওয়া হয়।

কিছুদিন আগে সম্পূর্ণ মুলা তুলে ফেলার পর পুনরায় সেই জায়গা তৈরি করে মুলা আর পালং শাকের বীজ বপন করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, বীজ থেকে স
চারা বের হওয়া শুরু হয়ে গেছে।

আলহামদুলিল্লাহ আমাদের শিম গাছের শিম ধরা শুরু হয়ে গেছে। বছরের শেষ দিনে প্রথম অনেকগুলো শিম উঠালাম।

মাগরিবের আজানের সময় ছোট লাউ গাছগুলোতেও সার প্রয়োগ করে পানি দিলাম। আশা করি এই গাছগুলো থেকেও একদিন লাউ খেতে পারব।

রাত যখন নয়টা, ভোটের প্রত্যাশায় গাংনীর সাবেক দুইবার সংসদ সদস্য মকবুল হাসান এসে আমার ঘরের সামনে উপস্থিত। যেহেতু আমার আব্বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। হয়তো ইউনিয়ন থেকে অনেক ভোট পাওয়ার প্রত্যাশায় ভোটের আগে ঘোরাফেরা করতে এসেছেন।

বছরের শেষে বিশেষ হ্যাঙ্গাউট শোনার মুহূর্তে কিছুটা খাওয়া দাওয়া।


গভীর সমবেদনা আর আনন্দ উপভোগের মধ্য দিয়ে ২০২৩ কে বিদায় আর নতুন বছরকে বরণ করে নিলাম আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল অ্যাক্টিভ ইউজাররা বিশেষ হ্যাংআউটে একত্রিত হয়ে। আশা করি আমাদের এই পরিবার একত্রে দীর্ঘ বছর এই সুন্দর পথ পাড়ি দিতে দিতে কমিউনিটিকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ।

মন প্রাণ থেকে রইল অনেক অনেক ভালোবাসা, শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। হ্যাপি নিউ ইয়ার।
ফটোগ্রাফি | গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য |
সময় | ২০২৩ শেষ দিন |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
ক্যামেরা | Infinix Hot 11s-50mp |
লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
ফটোগ্রাফার | সুমন |
স্ক্রিনশট | আমার বাংলা ব্লগ |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |

২০২৩ সালের শেষ দিনের ফটোগ্রাফি পোস্টগুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো ভাই। অনেক সুন্দরভাবে আপনি ফটোগ্রাফি পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাই।
আপনাকেও জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ
২০২৩-এ তোলা শেষ দিনের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। ২০২৩ এ তোলা শেষ দিনের শেষ ফটোগ্রাফির মধ্যে আমিও আছি এটা দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুবই ভালো লেগেছে। হাঁসের মাংস দিয়ে রুটি খেয়েছেন দেখে আমারও খুব খেতে ইচ্ছে করছে। নতুন বছরে আপনার দিনটি ভালো কাটুক এই কামনা রইল।
চেষ্টা করলাম হ্যাংআউটের সময়টাও তুলে ধরতে আর আপনিও যে রয়ে গেছেন এটা কিন্তু আমি খেয়াল করি নাই
নতুন বছর শুরু হওয়ার আগে আপনি পুরনো বছরে কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলেন। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি মনোমুগ্ধকর। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলা বিভিন্ন ধরনের অর্থাৎ পুরনো বছরে যা সামনে ছিল সেগুলোর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
সম্পূর্ণটা স্মৃতি ধরে রাখতে ফটোগ্রাফি করেছিলাম ভাই
আপনি তো বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলেই বছরটা কিভাবে শেষ হয়ে গেল আমরা কেউই বুঝতে পারলাম না। চোখের পলকেই আমাদের কতগুলো দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা আছি আমাদের নতুন দিনগুলোকে নিয়ে ভালোই। পুরনো দিনগুলোর মতই যেন সামনের দিনগুলো আরো ভালো কাটে সবার। তাছাড়া আপনার ফটোগ্রাফির প্রত্যেকটি ধাপ ও ভীষণ সুন্দর লাগলো।
হ্যাঁ এমন প্রত্যাশা আমাদের সকলের
সত্যি ভাই আপনার পোস্ট দেখলাম যে আপনি ২০২৩ সালে খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি তুলেছেন। আর এই বিশেষ ফটোগ্রাফি গুলোই আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তবে লক্ষ্য করলাম পুকুর পাড়ি দিয়ে অনেকে অনেক মজা করেছেন এবং খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন এবং সবজিও রয়েছে এছাড়াও পুকুরের লেকচারটা ছোট বাচ্চা পানি দিচ্ছে দেখতে বেশ ভালোই লাগছে।
হ্যাঁ দারুন একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম
ভাই ২০২৩ সালের শেষ দিনে আপনার ক্যাপচার করা বিশেষ বিশেষ ফটোগ্রাফি গুলোর সাথে সাথে ২০২৩ সালের বিদায় মুহূর্তে বিশেষ হ্যাংআউটে যুক্ত হওয়া এবং খাবার খাওয়া সবকিছু মিলিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। ভাই আপনার এই পোস্ট উপস্থাপনের আইডিয়াটা আমার খুবই ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
হঠাৎ যেন মনে হয়েছিল লাস্টের দিনে স্মৃতি ধরে রাখবো
বছরের শুরুতে অনেক সুন্দর একটি সময় কাটালেন তাহলে। যেহেতু বাড়িতে মেহমান আসলো। তাছাড়া আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করলনে। নতুন বছর শুরু হলো আবারো। আমাদের জীবনের হিসেব আমাদের করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
নতুন বছরের ফটোগ্রাফি দেখতে পারবেন আপু