বঙ্গ এগ্রো পার্ক ভ্রমণ ও খাওয়া দাওয়া
হাই বন্ধুরা!
কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে। তাই সুযোগ পেলে আমারও ভ্রমণ করতে যেতে ইচ্ছে জাগে দেশের যে কোন প্রান্তে। ঠিক তেমনি ভ্রমণ কাহিনী আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব।
Infinix Hot 11s
রকি ভাইদের উপস্থিতিতে আমরা ছোট একটি পিকনিকের আয়োজন করার কথা ভেবেছিলাম। পিকনিকের আয়োজনের কথা ছিল আমাদের গ্রামের বঙ্গ এগ্রো পার্কে। তবে যে সমস্ত সদস্যরা ছিল, সবাই নিজ নিজ ব্যস্ততার জন্য সেভাবে পিকনিকের ব্যবস্থা করে উঠতে পারেনি। এই জন্য আমাদের গাংনী বাজারের হোটেল থেকে খাবার সংরক্ষণ করতে হয়েছিল। খাবার সংরক্ষণ করার পরে মিষ্টির দোকান থেকে দোই সংরক্ষণ করতে হয়েছিল। ঠিক এই মুহূর্তে বেশ অনেকটা দেরি হয়ে গেছিল। দুপুর পেরিয়ে বিকেল হয়ে আসার মুহূর্ত। আমরা দ্রুত খাবার ম্যানেজ করে কাঙ্খিত বঙ্গ এগ্রো পার্কের দিকে চলে আসলাম।
পার্কের মধ্যে প্রবেশ করে খাবারগুলো ইমনের হাতে দিলাম। এরপর আমি বেশ কিছু ফটো ধারণ করতে করতে এগিয়ে গেলাম। পার্কের মধ্যে বেশ কয়েকটা জায়গা রয়েছে যেখানে খাওয়া-দাওয়া সহ বসে আলোচনা করার মত পরিবেশ। তবে গেটে প্রবেশ করেই রয়েছে ফুলের গাছ। অনেক সুন্দর করে ফুল গাছগুলো সাজানো। এরপর কাঙ্খিত পার্কের কেন্দ্রীয় রয়েছে অনেক সুন্দর ঘর আর ঘরের সামনে বিভিন্ন রকম টবে বিভিন্ন গাছ। বেশ কয়েকটি জায়গায় গেট সাজিয়েছে দেখলাম। আর সেই গেটের ফুল গাছে গাছে পরিপূর্ণ করে সাজিয়ে তুলেছে। অনেক জায়গায় সুন্দর সুন্দর গোলাপ ফুল গাছ আর ফুল গাছে ফুল ফুটে রয়েছে।
পার্কের বিভিন্ন গাছের সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে এগিয়ে যেতে থাকলাম। প্রায় এক বছর আগে প্রবেশ করেছিলাম এই পার্কের মধ্যে। এ পার্কের সৌন্দর্য তার মনোরম পরিবেশ। বিভিন্ন রকম ফুল গাছে পুকুরের দুই পাশ দিয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। মাঝখানের বেশি বড় অংশ মানুষের উপস্থিতির জন্য রাখা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ভালোলাগার বিষয় ছিল এখানে দুই সারিতে রঙ্গন ফুল গাছ দিয়ে কেন্দ্রের ঘরটাকে সাজানো। আমার কাছে বেশ ভালো লাগছিল এই কেন্দ্রের ঘরটাকে বিভিন্ন ফুলে এভাবে সজ্জিত করেছে দেখে।
এরপর আমরা কাঙ্ক্ষিত স্থানে উপস্থিত হলাম। উপস্থিত হয়ে দেখতে পারলাম রকি ভাইয়া সোনিয়া আপু আমাদের ফাতেমা মুস্তাফিজুর এবং বড় ভাই বিদ্যুৎ বসে রয়েছেন। আরেক দিকে খেয়াল করলাম রকি ভাই আর বাবুটাকে নিয়ে কিবরিয়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত থেকে বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনের বাসায় চলে গেছে। ততক্ষণে আমি আর ইমন একটু রেস্ট নিয়ে তাদের সাথে হালকা আলাপ আলোচনা করলাম।
এরপর কিবরিয়া পানি ম্যানেজ করে আনলো। তারপর সবার দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য শাড়ি ভাবে বুঝতে বলা হলো। বিভিন্ন গল্প আর ভালোলাগার কথা নিয়ে আমরা সবাই একসাথে বসে পড়লাম। আমাদের এই মুহূর্তটা অনেক আনন্দঘন ছিল। যেহেতু এই প্রথম সোনিয়া আপুকে আমরা দেখলাম। তার এক দুই দিন আগে রকি ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ হয়ে গেছিল নিজের বাসায়। তবে সবচেয়ে বেশি আনন্দ ছিল এইজন্য যে তারা অনেক দূর থেকে ভালবাসার টানে ছুটে এসেছে আমাদের মাঝে। এই ভালোবাসা সৃষ্টি করে দিয়েছে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি। আমাদের সবার মাঝে এই ভালোবাসা যেন চিরজীবন বেঁচে থাকে সেই দোয়া সবার।
যাইহোক এরপর আমরা সবাই একসাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি খেতে থাকলাম। আমরা কোনদিন ভাবি নাই যে এভাবে সবাই একত্রে আমাদের গ্রামের পার্কের মধ্যে অংশগ্রহণ করতে পারব। সবকিছুই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ নেয়ামত আর মেহেরবানী। তা না হলে অনেকটা সময়ের জন্য আমরা কিভাবে একত্রিত হই। আর এভাবে আমরা আমাদের পিকনিকের রান্না করার পরিবর্তে হোটেল থেকে খাবার সংরক্ষণ করে এনে একসাথে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া সম্পন্ন করলাম। এরপর আরো বেশ কিছুটা সময় আমরা অবস্থান করছিলাম। সে বিষয়ের বিস্তারিত আগামী পর্বে শেয়ার করব।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্ট বিবরণ
ব্লগার | sumon09 |
---|---|
ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন | What3words |
ক্যামেরা | 50mp |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
28-01-25
বঙ্গ এগ্রো পার্কের রকি ভাইয়া ও সোনিয়া আপুদের সাথে দেখা করতে গিয়ে ছোটখাটো একটা পিকনিক হয়ে গিয়েছিল আমাদের। তবে ওখানে আমরা যদি সবাই মিলে রান্না করে খেতাম তাহলে আরো বেশি মজা হতো। তবে বাইরে থেকে খাবার কিনে এনেও বেশ ভালোই হয়েছিল। খাবার শেষে দই টা খেতে ভীষণ ভালো লেগেছিল আমার। সেই দিনের কথা আজকে মনে করিয়ে দিয়ে বেশ ভালোই করলেন খুব ভালো অনুভূতি লাগছে।
সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
বঙ্গ এগ্রো পার্কে আমরা আসলেই অনেক সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম। রকি ভাই এবং সোনিয়া আপু আসার কারণে আমরা এমন সুন্দর সময় অতিবাহিত করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আর সেদিন আমরা একই সাথে খাওয়া-দাওয়া করে অনেক বেশি মজা হয়েছিল।
ধন্যবাদ আপনাকে
দেখে বেশ ভালো লাগলো আপনাদের সবাই একসাথে উপস্থিত হওয়া এবং পার্কে বসে খাওয়া দাওয়া করে সময় পার করা। এই কমিউনিটির তিনজন সদস্য একসাথে হয়েছিলাম। কিন্তু এত জনের সাথে কখনো হয়নি বা কবে হতে পারব তা ঠিক জানিনা। ভালো লাগলো সুন্দর পোস্ট দেখে, ধন্যবাদ।
সুন্দর কমেন্ট করেছেন
রকি ভাইয়া ও সোনিয়া আপুর উপস্থিতি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। যদিও তাদের সাথে আমি ঘুরতে যেতে পারি নাই তারপরেও আমাদের বাসায় যতোটুকু সময় তারা ছিলেন খুবই আনন্দ পেয়েছিলাম। দোয়া করব আবারও যেন আমরা একসাথে কথা বলতে পারি একসাথে চলতে পারি।
কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ
বঙ্গ এগো পার্কে রকি ভাইদের সাথে চমৎকার পিকনিকের আয়োজন করেছেন দেখছি। ব্যস্ততার কারণে খাবার হোটেল থেকে কিনে খেয়েছিলেন। সবাই মিলে একসাথে খাওয়ার মজাই আলাদা। বঙ্গ একো পার্কের সবাই মিলে দারুন সময় কাটিয়েছেন দেখছি। সবার সাথে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন দেখে বেশি ভালো লাগলো। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ অনেক সুন্দর মুহূর্ত ছিল
বঙ্গ এগ্রো কমপ্লেক্স পার্ক ভ্রমণের লেখাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে সেই দিনের সেই মুহূর্তটুকু নিঃসন্দেহে আমাদের সকলের জন্য অনেক বেশি আনন্দের ছিল। আর সব থেকে বেশি আনন্দ অনুভব হয়েছিল সবাই একত্রে বসে খাওয়া-দাওয়া করার মুহূর্তটি। যাহোক অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে।
কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ