ঢাকায় যাওয়ার পথে যাত্রা বিরতি
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি, আব্বুর অপারেশনের জন্য ঢাকার পথে যাত্রা দিতেও পোস্ট নিয়ে। এই পোস্টে যাত্রা বিরতির কিছু অনুভূতি শেয়ার করব এবং যাত্রা বিরতির পূর্বের তথ্যগুলো তুলে ধরব।
গাংনী বাস স্ট্যান্ড থেকে এসবি বাসে উঠে আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম সকাল ৬:১৫ মিনিটে। গাড়ি চলতে চলতে কুষ্টিয়া দৌলতপুর নামক স্থানে কিছুটা সময়ের জন্য থামে। এরপর ভেড়ামারা হয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে সিরাজগঞ্জে ১০ মিনিটের জন্য বিরতি নাই। আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগে সিরাজগঞ্জের এই স্থানে উপস্থিত হয়েছিলাম এবং বাসের বিরতিতে থেমেছিলাম। আবারো যেন সে সুযোগ অনেকদিন পর। বিরতির মুহূর্তটা আমি এদিকে ওদিকে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করছিলাম। লক্ষ্য করে দেখলাম রাস্তার পাশে একটি আম গাছের সাথে চলতি একটি গাড়ি এসে ধাক্কা মেরে এক্সিডেন্ট করেছে। তাই আম গাছের বেশ কিছু অংশ ভেঙ্গে চুরে গেছে। এছাড়াও সিরাজগঞ্জে পৌঁছানোর আগেই পাবনার একটি স্থানে আমরা লক্ষ্য করে দেখেছিলাম একটি বাস রাস্তা থেকে সিটকে পাশের ফসলের জমিতে উল্টে পড়ে রয়েছে।
কিছুটা সময়ের জন্য আমাদের বাস রাস্তার উপর জ্যামে আটকা পড়েছিল। আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম ১৩ই ফেব্রুয়ারি। এই দিনের সকালটা ছিল বেশ কুয়াশা ঘেরা একটি সকাল। বসার জন্য কোন কিছুই দেখা যাচ্ছিল না রাস্তায়। মনে মনে আমার ভয় লাগছিল এটা যে কুয়াশার জন্য না জানি কোন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। কারণ মাঝেমধ্যে রাস্তায় গাড়ির সম্মুখীন হয়ে ড্রাইভার দ্রুত ব্রেক করছিল। এই জাতীয় ব্রেক করাগুলো বেশ ডেঞ্জারাস। তাই লক্ষ্য করে দেখলাম সিরাজগঞ্জে পৌঁছানোর পূর্বেই পাবনার একটি স্থানে এই সড়ক দুর্ঘটনা। বাস টি তো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফসলের জমিতে পড়ে আছে। রাস্তার উপরে একটি মাইক্রো গাড়ি ভেঙে সেই অবস্থা। আরো একটু সামনের দিকে এগিয়ে লক্ষ্য করে দেখলাম একটি ট্রাকের সামনের অংশটা ভেঙে গেছে। এতে বুঝতে পারলাম তিনটি গাড়ির সংঘর্ষ হয়েছে কুয়াশার কারণে। ঘটনাস্থলে ছয় জন মানুষ মারা গেছিল। আর অনেক নারী-পুরুষ মারাত্মকভাবে আহত। যখন সিরাজগঞ্জের হোটেল এ এসে বাস বিরতি দিল তখন এই নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছিল। অন্যান্য যাত্রীরা বিভিন্ন রোড এক্সিডেন্ট এর বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিল।
এরপর বাসের ড্রাইভার হেলপার যখন গাড়িতে আসলেন, অনেকেই সাবধান করে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে যথেষ্ট কুয়াশা কেটে গিয়েছে এবং রাস্তা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। এদিকে আমিও সুযোগ বুঝে অনেকগুলো ফটো ধারণ করলাম সিরাজগঞ্জের মাটিতে দাঁড়িয়ে। কিছুক্ষণ পর এক ব্যক্তি আমার হাতে একটি মোবাইল নম্বর সহ ডাক্তারের পরিচয় তুলে দিলেন। ডায়াবেটিসের কারণে বিভিন্ন ইনফেকশন হয়ে মানুষের যে সমস্ত সমস্যা হয়, সেই সমস্যা সমাধান করেন এমন একজন ডাক্তারের পরিচয় এখানে। উনি ডাক্তারের বিস্তারিত বিষয়গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছিলেন। এরপর বিরতি শেষে আবারো গাড়ি ছাড়লো। ১০ মিনিটের জায়গায় আমি লক্ষ্য করে দেখলাম ১৫ মিনিট গাড়িটা থেমেছিল। এরপর আর কোন স্থানে থামাথামি নেই। সোজা ঢাকা টেকনিক্যাল মোড়ে এসে আমাদের নামিয়ে দেয়। এর পর সেখান থেকে একটি সিএনজিতে করে আমরা ঢাকা শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে এসে উপস্থিত হয়ে।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিষয় | যাত্রা বিরতি |
---|---|
সিরাজগঞ্জ | Location |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix hot 11s |
ফটোগ্রাফার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সকলে। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
13-03-25