ঝিনুক দিয়ে কলা সংরক্ষণ
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। প্রচন্ড গরমের দিনে কিছুটা স্বস্তি পেতে বিকেল মুহূর্তে ফসলের মাঠে ঘুরাঘুরি।
প্রথমে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন অনেক সুন্দর দৃশ্য। এটা আমাদের পুকুরপাড়ের চিত্র। বর্ষার সময় ধারণ করার এই ফটোগ্রাফি। বিশেষ প্রয়োজনে আমি আমাদের পুকুর পাড়ের বেশ ভিতোর একটি স্থানে অবস্থান করেছিলাম। এই স্থানটাতে তেমন বেশি একটা চলাচল নেই আমার। বিশেষ প্রয়োজনে যেতে হয়। হঠাৎ মোবাইল করে আমাকে জানানো হলো বাড়িতে সবজি কম। তাই পুকুর পাড় থেকে কলা নিয়ে যেতে হবে। কলা সংরক্ষণ করার জন্য পুকুরপাড়ের এই স্থানে অবস্থান করলাম। উপস্থিত হয়ে দেখতে পারলাম চারি পাশে প্রচুর উলু ঘাস। উলু অতিক্রম করে চলে গেলাম।
এরপর পুকুর পাড়ে একটি কলা গাছের দিকে লক্ষ্য করে দেখলাম একটি কাইনের কলা খাওয়ার মত হয়ে গেছে। তখন ভাবলাম এই কথাটা সংরক্ষণ করতে হবে। কিন্তু সংরক্ষণ করব কিভাবে আমার কাছে কাটার মধ্যে কোন জিনিস ছিল না। কলাটা পুকুরে এমন ভাবে ঝুলে রয়েছে, একদম পানির সম্মুখে। কিন্তু উপস্থিত বুদ্ধি মতো ভেবে দেখলাম পুকুর পাড়ে জায়গায় জায়গায় ঝিনুক পড়ে থাকে। তাই তখন মনে করলাম ঝিনুক দিয়ে সংরক্ষণ করা যাবে। আগে কলাটা হাতে ধরে দেখা যাক কতটা খাওয়ার উপযুক্ত হয়েছে।
এরপর আমি কলার কাইন হাতে ধরে টেনে নিকটে এগিয়ে নিলাম। এরপর কলায় হাত লাগিয়ে দেখতে থাকলাম খাওয়ার উপযুক্ত হয়েছে কিনা। লক্ষ করে দেখলাম উপযুক্ত হয়েছে। তখন ভাবলাম এই কাইনটা পাড়তে হবে। তখন আমি কাইনটা সংরক্ষণ করার জন্য আশেপাশে তাকাতে থাকলাম।
কিছুটা সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরে দেখতে পারলাম পাতার মধ্যে কয়েকটা ঝিনু পড়ে আছে। তখন আমি মাটি থেকে দুইটা ঝিনুক হাতে উঠিয়ে নিলাম। বুঝতে পারছেন এই ঝিনুক দিয়েই কাজ সম্পন্ন করা যাবে। ঝিনুক দুইটা হাতে উঠিয়ে নেয়ার পরে পরিষ্কার করে নিলাম। এরপর এগিয়ে গেলাম কলা গাছের দিকে।
এরপর সেই ঝিনুক দিয়ে কলা গাছের কাইনে কাটা শুরু করলাম। ফটোগ্রাফি দেখলে বুঝতে পারবেন। আর এভাবেই চারিপাশ থেকে কাটা শুরু করেছি। এটাই হচ্ছে আমার তাৎক্ষণিক বুদ্ধি দ্বারা সংরক্ষণ করার মুহূর্ত ছিল। তবে একদম পুকুরপাড়ের ধারে ছিলাম, যার জন্য সাবধানতার সাথে কাটার চেষ্টা করেছিলাম। যেন নিজে পুকুরের দিকে পড়ে না যায়।
এ পর্বের সাবধানতার সাথে কাইনটা সম্পূর্ণ হলো। এরপর হাতে ধরে একটি ফাঁকা স্থানে নিয়ে আসলাম। কাইনটা মাটিতে রাখা হলো। যেন কলার কষ গুলো সব ঝরে যায়। এর জন্য কিছুটা সময় আমি অপেক্ষা করলাম। এরপর আমার নিজের কাজ যা ছিল ওই পাশ থেকে কার সম্পন্ন করার চেষ্টা করলাম।
এরপর আমার কাজ শেষ করে কলার কাইনটার কাছে চলে আসলাম। দেখলাম কষ সব ঝরে গেছে। তখন আর থেমে না থেকে কাইনটা হাতে নিয়ে রওনা দিলাম। আর এভাবে আমি আমার কাজ সম্পন্ন করেছি। এটাকে বুঝতে পারছেন, উপস্থিত বুদ্ধি দ্বারা বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করে কলা সংরক্ষণ করা হয়েছে। আর এভাবে কলা সংরক্ষণ করে বাড়িতে চলে আসলাম।
বিষয় | কলা সংরক্ষণ |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
ব্লগার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
15-02-25
চমৎকার বুদ্ধি বের করেছেন তো ভাইয়া। ঝিনুকের সাহায্যে কলা গাছের থেকে কলা কেটে বাসার উদ্দেশ্য নিয়ে গেলেন। আসলে ঠিকই ভাইয়া এরকম উপস্থিত বুদ্ধি থাকলে যে কোন কাজ সহজে করা যায়। আপনার বুদ্ধির প্রশংসা না করে থাকতে পারছি না। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটা গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এলাকায় এটা কে কলার ছড়ি বলে।আপনার পুকুর পাড়ে দেখছি চমৎকার সুন্দর লোভনীয় কলা হয়েছে। কলার কাদি সংরক্ষণ করার জন্য ঝিনুকের সাহায্য নিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।ঝিনুকের তো চাকুর মতোই ধারালো।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।