ব্যস্ততার শেষে কাশফুলের বনে কিছুক্ষণ
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে, শরতের পড়ন্ত বিকেলে কাশফুলের বনে অবস্থান করার সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করব। আশা করি পোস্টটা আপনাদের ভালো লাগবে।
ছয়টি ঋতুর বাংলাদেশ। ছয়টি ঋতু আমাদের মাঝে ভিন্ন ভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে উপস্থিত হয়। ছয়টি ঋতুর মধ্যে শরৎকাল অন্যতম ঋতু। শরৎকাল আমাদের মাঝে বেশ কিছু সৌন্দর্য নিয়ে আসে। সেই সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে আমরা প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে অনেক ফটোগ্রাফি করে থাকি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে দুইটা জিনিস আমার দৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। সেটা হচ্ছে আমাদের বাড়ির আশেপাশে পুকুরগুলোতে ফুটে ওঠে কাশফুল। এছাড়াও আকাশে ভেসে বেড়ায় সাদা সাদা মেঘ। সে সময়ের এক পড়ন্ত বিকেলে পুকুর পাড়ে মাছের খাবার দিয়েছিলাম। দিনটা প্রচন্ড গরম ছিল। বেশ কিছু পুকুরে মাছের খাবার দিতে গিয়ে অনেকটা হাপিয়ে গেছিলাম। বুঝতে পারছেন গরমের মুহূর্তে বাড়ি থেকে একাধিক পুকুরে মাছের খাবার দেওয়ার জন্য খাবার বহন করে নিয়ে যাওয়া। এরপর পুকুরগুলোতে নির্দিষ্ট সময় ধরে মাছের খাবার দিতে থাকা। এতে শরীরটা বেশ ক্লান্ত হয়ে ওঠে। তাই মাছের খাবার দেওয়া শেষে পুকুর পাড়ে কিছুটা সময় বসে রেস্ট নেওয়া হয়। ঠিক সে রেস্ট নেওয়ার মুহূর্তে লক্ষ্য করা যায় সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে পড়ে। সারাদিনের তাপদাহ কমতে থাকে। এরপর হালকা ঝিরিঝিরি বাতাস বয়ে চলে। এই মুহূর্তে পুকুর পাড়ে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার মজা আলাদা। ঘামে ভেজা শরীরটা যেন আস্তে আস্তে শীতল হয়ে যায়। ঠিক এমনই মুহূর্তে যখন চোখের সামনে কাশফুলগুলো বাতাসে দোল খাচ্ছিল খুবই ভালো লাগছিল। ঠিক সেই সময় ফটোগুলো ধারণ করে রেখেছিলাম।
এই সময় ফসলের মাঠে সবুজ ধানের গাছগুলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের যেন আরো নতুন মাত্রা যুক্ত করে। আমাদের এখানে বেশি একটা ফসলের মাঠ নেই। তবে যতটুকু রয়েছে এই থেকেই কিছুটা ভালো লাগা খুঁজে পাওয়া যায়। তবে শুধু সেই ফসলের জমিগুলোতে ধান হয়, অন্য কোন ফসল হয় না। ধান ছাড়াও যদি অন্যান্য ফসল থাকতো। তাহলে পুকুরপাড়ের কাশফুল, ফসলের জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল, আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা সাদা মেঘ। সব মিলে অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি হত। তবে এখানে সুন্দর একটা বাগান রয়েছে। পাশ দিয়ে কারেন্টের তাঁর। এজন্য এখানে অনেক পাখি দেখতে পাওয়া যায়। পাশাপাশি বিভিন্ন পাখির বিভিন্ন রকম কণ্ঠে গুনোগান শুনতে পাওয়া যায়। আর পড়ন্ত বিকেলে সন্ধ্যার মুহূর্তে বিভিন্ন জায়গা থেকে শালিক পাখির বক পাখি ঘুঘু পাখি উড়ে উড়ে আসতে থাকে বাগানটার মধ্যে। তখন আবার এই সমস্ত পাখিগুলোর শব্দ বেড়ে যায়। একটা অন্যরকম মনোরম পরিবেশ খুঁজে পাওয়া যায় এখানে। আর এভাবেই যেন দীর্ঘদিন দেখে আসা শরৎ অতি চেনা হয়ে গেছে।
আমাদের এখানে যে খুব বেশি একটা কাশফুল রয়েছে সেটা কিন্তু নয়। অতিমাত্রায় কাশফুলের দেখা পেতে হলে বেশ অনেক দূরে যেতে হয়। পুকুর পাড়ে বিভিন্ন জায়গায় কাশফুল থাকে। তবে সবগুলো তো আর দেখার সৌভাগ্য মিলে না। কিছু কিছু জায়গায় অতিমাত্রায় বোন জঙ্গল বৃদ্ধি পায়। বর্ষার সময় পুকুরপাড় গুলো জঙ্গলে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এরপর সড়কেও হালকা বৃষ্টিতে সে সমস্ত বন জঙ্গল ঘন সবুজে পরিপূর্ণ হয়ে থাকে। তাই বেশি দূরে যা না হলেও নিজের পাশে থাকা কাজ ফুল গুলো যেন মনে অন্যরকম প্রশান্তি এনে দেয়। দীর্ঘদিন বিকেল মুহূর্তে এভাবেই কাশফুলের পাশে অবস্থান করেছি এবং বসে থেকে ক্লান্ত শরীরটাকে শীতল করেছি। অনেকদিন পর ধারণ করে রাখা সেই ফটোগ্রাফি আর সেই অনুভূতি আপনাদের মাঝে ব্যক্ত করতে পেরে যেন আবারো ফিরে পেলাম শরতের দিনটা। এক ঋতুর ভাললাগা অন্য ঋতুতে এভাবে স্মরণ করলে সত্যিই অন্যরকম ভালোলাগা পাওয়া যায়।
বিষয় | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
ব্লগার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
07-02-25
এক ঋতুর সৌন্দর্য অন্য ঋতুতে উপভোগ করলেন। শরতের কাশফুল দেখতে সত্যিই ভালো লাগে। আপনি আজকে খুব সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ছিল। কাশফুলের বাগানে চমৎকার মুহূর্ত কাটিয়েছেন। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু
আপনাদের পুকুরপাড়ে মাছের খাবার দিতে গিয়ে একদিন বিকেলবেলা কাশফুল দেখতে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। বিকেল হলে অনেকগুলো পুকুরের মধ্যে মাছের খাবার দিয়ে থাকেন এবং সেখানে ভীষণ একটা সময় কাটান জেনে খুব ভালো লাগলো। কাশফুল মুহূর্ত খুবই সুন্দর কাটিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ সেই স্মৃতি তুলে ধরেছি