হ্যালো বন্ধুরা!
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম আমার সবজি বাগানের মধ্য থেকে মুলা তোলার অনুভূতি নিয়ে। যেখানে দেখতে পারবেন বাগানের বিভিন্ন সবজির মধ্য থেকে আমি মূলা উত্তোলন করেছি।

মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের বার্তা দিয়েছেন পরিশ্রম করো এবং আমি তোমাদের পরিশ্রমের ফল দিব। আর এই কথা সত্য আমরা যদি সঠিক ভাবে পরিশ্রম করি এবং ফলের আশা করি অবশ্যই সেই পরিশ্রমের ফল বৃথা যায় না। আমি নানান ব্যস্ততার মধ্যেও কিন্তু চেষ্টা করে থাকি আমাদের পুকুর পাড়ের বিশেষ কিছু জায়গা ছোট ছোট বাগানে রূপান্তর করে তার মধ্যে সবজি ফলাতে। আমি জানি টাটকা শাকসবজি আমাদের জন্য অনেক উপকার। আমরা বাজার থেকে যে সমস্ত শাকসবজি কিনে খাই সেগুলো কতটা ভেজালমুক্ত তা আমাদের জানা থাকে না। তবে আমরা নিজে উৎপাদন করে থাকি সে সমস্ত শাক-সবজি সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকে কতটা ভেজালযুক্ত আর কতটা ভেজাল মুক্ত। ঠিক তেমনি আমার এই মূলার সবজি। বাগানের বিশেষ একই স্থানে আমি মুলার বীজ রোপন করেছিলাম।



বেশ অনেকদিন আমি আমার এ মূলা রক্ষণাবেক্ষণ করেছি। সেচ দিয়েছি সার দিয়েছি, আর এভাবেই যতদিন না বড় হয়েছে ততদিন দেখাশোনা করেছি। তবে এই সময়টা যে আলাদা কষ্ট করা লেগেছে তা কিন্তু নয়। যখনই পুকুর পাড়ে উপস্থিত হয়েছি পাঙ্গাস মাছের খাবার দিতে ঠিক তখনই আমি খাবার দেওয়া শেষ করে দশ কুড়ি মিনিট এদিকে টাইম ব্যয় করেছি। যে টাইমটা পাঙ্গাস মাছের খাবার দেওয়ার শেষে কিছুটা সময় বসে থাকতে হয়। বিভিন্ন মাছ খেকো পাখি হামলা করে থাকে মাছের উপর ওই সময়ে। তবে এই মুহূর্তে আমার সবজি উৎপাদনের জন্য কাজ করা হয়ে যেত ওদিকে পুকুরে মাছের দেখাশোনা হয়ে যেত। আর এভাবে সবজি উৎপাদন এবং তার ফলাফল। দেখতে পারছেন কত বড় বড় মুলো হয়েছিল এবার।



কথায় আছে অল্প পুঁজিতে অধিক রুজি। আমার এই মুলা গুলো যেন তার জলজ্যান্ত প্রমাণ ছিল। আমরা জানি শীতের সময় মূলা এমনিতেই দ্রুত বৃদ্ধি পায়। আর তার সঠিক পর্যায়ে সেচ এবং সার দেয়া হলে অবশ্যই হবে। ঠিক তেমনি হয়েছিল আমার এ মুলাগুলো। নির্দিষ্ট ছোট্ট একটা পরিসরে আমি মুলার বীজ বপন করেছিলাম। তবে এই জায়গা থেকে আমি কমসেকম ১০ থেকে ১২ দিন মুলা উত্তোলন করেছি নিজেদের চাহিদা মেটাতে। পাশাপাশি এখান থেকে আত্মীয়-স্বজনের দেয়া হয়েছে এমন কি বন্ধুদেরও দেওয়া হয়েছে।



এগুলা হাইব্রিড মূলা ছিল, এজন্য অল্পতেই তরকারি হয়ে যেত। ফটোতে দেখে বুঝতে পারছেন কত বড় বড় হয়েছিল মুলাগুলো। আমরা চাইলে খুব সহজে কিন্তু এভাবে পুকুর পাড় হোক, পরিত্যাক্ত জায়গা হোক, সে সমস্ত জায়গাতে বিভিন্ন শাকসবজি উৎপাদন করতে পারে। আর এভাবে ই টাটকা শাক-সবজি খাওয়ার মজা আলাদা। এতে নিজের স্বাস্থ্য ভালো রাখার আশা করা যায়। আশা করব আমার এই কৃষি কাজ দেখে আপনারা উৎসাহিত হবেন এবং নিজেরাও চেষ্টা করবেন ছোটখাটো বাগান তৈরি করে বিভিন্ন শাকসবজি উৎপাদন করার।


বিষয় | সবজি উত্তোলনের মুহূর্ত |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
ব্লগার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনার মুলো চাষ করা এবং ক্ষেত মুলো তোলার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সেই সাথে মুলার বিভিন্ন পর্যায়ের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। আসলে নিজের চাষ করা যেকোনো সবজি খাওয়ার অনুভূতি অন্যরকম। আমি জানি আপনি প্রায় সময় আপনাদের পুকুর পাড়ে বিভিন্ন সবজি চাষ করে থাকেন। এটি খুবই ভালো কাজ। ধন্যবাদ ভাইয়া।
তা অবশ্য ঠিক বলেছেন আপনি
অনেক অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার মূলা তোলারই সুন্দর অনুভূতি দেখে। আমিও কিন্তু এখান থেকে অনেকবার মোলা তুলেছি। আর আমাদের এই হাইব্রিড মুলও কিন্তু অল্পতেই বেশ অনেক তরকারি হয়ে যেত এটা সত্য কথা কারণ আমি তো রান্না করেছি সব কিছু। বেশ ভালো লাগলো সেই সুন্দর মূলার স্মৃতি আবারও আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে।
একদম ঠিক কথা।
ভাইয়া আপনার পোস্ট দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন নিজ পুকুর পাড়ে সবজি উত্তোলন। আসলে ভাইয়া পুকুরপাড়ে সবজি চাষ করার মজাই আলাদা। আর আমি মনে করি পুকুর পাড়ে সবজি চাষ গুলো খুব বেশি ভালো হয়। কারণ আমি আমার নিজের পুকুর এভাবে একবার চাষ করে দেখেছি। অনেকদিন আগে আপনার পুকুরে গিয়েছিলাম এবং দেখতে ছিলাম সেখানে অনেক রকমের সবজি আপনি তৈরি করেছেন। আজকে আপনার পোস্ট দেখে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। আর এটা হাইব্রিড মূলা তাই অল্পতেই তরকারি হয়ে গেছে।
হ্যাঁ হ্যাঁ সবচেয়ে বেশি ফলন হয়।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া পরিশ্রম করলে তার ফল ঠিক পাওয়া যায় ।আপনি আপনার পুকুর পাড়ে অনেক সুন্দর মুলা গাছ লাগিয়েছেন। আজকে সেগুলো মাটি থেকে তুললেন ।পুকুর পাড়ে সবজি লাগালে টাটকা সবজি খাওয়া যায় ।ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ নিজের হাতে উৎপাদিত জিনিস যখন তখন তুলে খাওয়া যায়
ভাইয়া সত্য কথা বলতে কোন কাজের শেষে ফল পেলে সবারই অনেক ভালো লাগে। পুকুর পাড়ের সবজি বাগান থেকে মোলা উত্তোলন এর অনুভূতি খুবই ভালো লাগলো বেশ সুন্দর হয়েছে যদি আল্লাহতালার রহমতের বৃষ্টি পেত তাহলে মুলাগুলো আরো মোটা হত খেতেও অনেক সুস্বাদু হত, ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি অনুভূতিমূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ওই সময় কিন্তু বৃষ্টি হয়নি
যে কোন ফসল উৎপাদন করতে পারলে বেশ ভালো লাগে। আসলে নিজে উৎপাদিত ফসল ক্ষেত থেকে তোলার অনুভূতি বেশ দারুন। আপনি মুলা চাষ করেছেন এবং নিজের হাতে মুলা তুলেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে সত্যি নিজের উৎপাদিত ফসল তোলার আনন্দটাই অন্যরকম হয়ে থাকে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাই।
নিজের উৎপাদন করা যেকোনো জিনিস খেতে ভালো লাগে
আসলে নিজেরা চাষ করে খেতে পারলে ভেজালমুক্ত খাবার খাওয়া সম্ভব। বাজারে এখন যেসব সবজি পাওয়া যায় সবগুলো সবজিতে বিষ দেয়া থাকে। আপনি আপনার পুকুরপাড় থেকে মূলা উত্তোলন করেছেন। মূলা গুলা বেশ ভালো হয়েছে অনেক বড় বড় হয়েছে দেখতেও বেশ চমৎকার লাগছে। সব থেকে ভালো লাগার বিষয়টি হল নিজেদের চাহিদা পূরণ করেও আপনি আত্মীয়-স্বজনদের কেউ মূল দিয়ে পেরেছেন।
হ্যাঁ এগুলো হাইব্রিড ছিল তো।
ওহ আচ্ছা এই জন্যই বলি মূলার এই সাইজ কেনো।
এখন পর্যন্ত আপনার সবজি বাগানের মধ্যে মুলো রয়েছে, জেনে ভালো লাগলো। মুলা গুলো অনেক বড় হয়েছে। আপনি হয়তো ভাবে মুলা ক্ষেত পরিচর্যা করেছেন, সেজন্য মুলা গুলো এতো সুন্দর হয়েছে।আর মুলা শীতকালের মধ্যে খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। তবে এখন পর্যন্ত মুলা রয়েছে আপনার ক্ষেতে এটা বেশ ভালো।
চেষ্টা করেছিলাম যত্ন নিতে
পুকুর পাড়ে অনেক সুন্দর মুলা চাষ করেছেন। আপনার শেয়ার করার প্রথম মুলা সহ গাছের ফটোগ্রাফি টা অনেক সুন্দর হয়েছে। দেখতে যেরকম সুন্দর খেতে হয়তবা অনেক ভালো হয়েছিল। নিজের হাতে এভাবে স্বাস্থ্যসম্মত সবজি চাষাবাদ করে খেতে পারলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। আপনি হাইব্রিড মুলা চাষ করেছেন আর এই মুলা গুলো অল্পতেই অনেক বেশি তরকারি হয়ে যায়। পোস্ট দেখে উপরে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আমার এই মুলাগুলো অনেক বড় হয়েছে