সুন্দর সুন্দর রেনডম ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে বেশ কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে ফটোগ্রাফি গুলো দেখি।
ঢাকার ব্যস্ততম শাহবাগ চত্বর। যেখানে দিনরাত যখন-তখন জ্যাম লেগে যায় চোখের সামনেই। ঠিক তেমনি জ্ঞান লেগে যাওয়ার একটি মুহূর্তের ফটোগ্রাফি ছিল এটা। এদিকে ওদিকে ফাঁকা কিন্তু মাঝখানে হুট করে যেন এভাবে জ্যাম লেগে যায়। মাঝেমধ্যে শেষে দেখছিলাম রাস্তার এই অবস্থাগুলো। মাঝেমধ্যে আমার মনে হয় ঢাকা শহরে মানুষজন বসবাস করে কিভাবে। আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি আমাদের কাছে শহরের এই বসবাসটা যেন বেশ বিরক্তিকর। সামান্য কয়েকটা দিন চলাচল করতে গিয়ে এতটা হিমশিম খেয়েছিলাম এই শহরে। স্বেচ্ছায় যার মোটেও ইচ্ছে নেই। কারণ যে কোন মুহূর্তে এমন জ্যাম লেগে গেলে বেশ বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হয়।
প্রচন্ড গরমের দিনে দোকানের আজেবাজে খাওয়ার চেয়ে এক গ্লাস ঠান্ডা জলের সাথে লেবুর রস খাওয়াটা বেশ উত্তম। কারণ লেবুর রস আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মাতা ধরা মাথা যন্ত্রণা থেকে শুরু করে প্রচন্ড গরমে ক্লান্তিকর মুহূর্তগুলো খুব সহজেই দূর করতে পারে। তাই রাস্তার পাশে লেবুর পানি বিক্রেতার কাছ থেকে সুযোগ বুঝে এক গ্লাস পানি খাওয়াটা আমি গ্রহণযোগ্য মনে করি।
শ্বশুরবাড়ির এক ঝাঁক কবুতর ও মুরগির খাবার খাওয়ার মুহূর্ত এটা। অনেক সুন্দর ভাবে পাখিগুলো গুছিয়ে খাবার খাচ্ছে। একটা সময় আমাদের বাড়িতে লক্ষ্য করে দেখতাম আমার আম্মা এভাবে মুরগি হাঁস কবুতরের খাবার দিতেন। অনেকদিনহার সেই চিত্র বাড়িতে চোখে পড়ে না। বিভিন্ন সমস্যার কারণে এগুলো পালা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে আশা করি খুব শীঘ্রই এ সমস্ত পাখির পোশা প্রবণতা সৃষ্টি হবে। কতই না সুন্দর পরিবেশ। পাখিগুলো একসাথে খাবার খাচ্ছে। দেখলে মন ভরে যায়। ইচ্ছে করে সুন্দর সুন্দর ফটো করি।
এটা বামুন্দি বাজারের খুব সুন্দর একটি চিত্র। সবজি বিক্রেতারা তাদের সবজি নিয়ে বসে রয়েছেন বিক্রয় করার উদ্দেশ্য। আমাদের মত কাস্টমাররা উপস্থিত হয়েছেন কেনাকাটার জন্য। যেদিন হাটের দিন থাকে সেদিন মানুষের পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে এ। আর যেদিন হাটের দিন থাকেনা তখন এই জায়গাগুলো বিভিন্ন যানবাহন থেমে থাকে কিছুটা রেস্ট নেওয়ার জন্য। অনেক গাড়িওয়ালা বা ড্রাইভারেরা ঘুমাতে থাকে গাড়ির মধ্যে। শীতকালীন শাকসবজিতে পরিপূর্ণ বাজারটা। দেখে খুবই ভালো লাগে।
এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমাদের বাগানের মধ্যে চাষ করা গাজরের পাতা। খুব ঘন ভাবে গাজরের গাছ হয়েছিল এবার। তাই পাতাগুলো এতটা নিকটস্থ হয়ে রয়েছে দেখেই ভালো লাগবে। আমার মনে হয় বাগান সাজাতে গাজরের পাতা কিন্তু অসাধারণ কাজ করবে। কোথাও যদি সুন্দর ফুলের বাগান থাকে সেখানে গাজর গাছ আরেকটু সুন্দর্য বৃদ্ধি করতে সক্ষম।
এটা বন ফুল। বর্ষার সময় পুকুরপাড়ে এই সুন্দর সুন্দর ফুলগুলো ফুটে থাকতে দেখেছি। এছাড়া বাড়ির আশেপাশে অনেক হয়ে থাকে এই ফুল। ফুল গুলো দেখতে খুবই ছোট কিন্তু এর সৌন্দর্য টা অনেক বেশি। পাঁচটা পাপড়ির এই ফুলগুলো যেন সৌন্দর্যক সৃষ্টি করে বন জঙ্গলের মধ্যে।
রাতে পুকুর পাহারা শেষ করে বাড়িতে ফিরতে ই দেখলাম কাঁঠালগুলো খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। ঠিক তখনই ফটোগ্রাফি করেছিলাম। এবার আমাদের বাড়ির একটা মাত্র গাছে প্রচুর পরিমাণ কাঁঠাল হয়েছে। আমি মনে করি ১০ থেকে ১৫ টা কাঁঠাল এনাফ আমাদের ফ্যামিলির জন্য। সে জায়গায় যদি ৩০-৪০ টা হয় তাহলে সেগুলো অনেক বেশি। এদিকে আমাদের গেস্ট যারা আছে তাদের সবার কম বেশি কাঁঠাল গাছ রয়েছে যার জন্য অনেক কাঁঠাল নষ্ট হয়। তরকারি রান্না খেতে ভালোবাসে কিন্তু কোটার লোকের অভাব হয়ে যায়। তাই কাঁঠাল রান্না একটু কম হয়।
পুকুরে পানি দিচ্ছিলাম। হঠাৎ মোটরের ক্যাপাসিটর টা নষ্ট হয়ে গেল। আর বিলম্ব না করে দ্রুত চলে গিয়েছিলাম বামুন্দি বাজারে। বেশ কয়েকটা ঘর সামনে থাকায় সে ঘরগুলোতে খোঁজ করলাম। কিন্তু কিছুতেই এই ক্যাপাসিটার পেলাম না। এরপর ইলেকট্রনিক্স ও হার্ডওয়ার্ক এর ঘর বাদ রেখে চলে আসলাম পরিচিত কাফিরুল ভাইয়ের ঘরে। সেখানে এসে একদম অরজিনাল কোম্পানির একই রকম দেখতে ক্যাপাসিটার গুলো পেয়ে গেলাম। তাই একটার জায়গায় দুইটা নিয়েছি এক্সট্রা হিসেবে একটা হাতে রাখতে। কারণ এখন মোটর চালানোর সময় যে কোন মুহূর্তে আবারো নষ্ট হতে পারে। বিশেষ করে প্রচণ্ড গরমে সারাদিন রাত মটর চললে ক্যাপাসিটর মার খেয়ে যায়। আর একটা বিষয় ছিল তা হচ্ছে গাংনী বাজারে একটা ক্যাপাসিটরের মূল্য দেড়শ থেকে ২০০ টাকা। কিন্তু কাফিরুল ভাইয়ের ঘরে ১২০ টাকা করে পাওয়া যায়।
জীবনের কোন গ্যারান্টি নেই। কোথায় কখন কিভাবে কার মৃত্যু হবে কেউ বলতে পারেনা। সামান্য মাকড়সা এমন ফাঁদ পেতেছে। যেখানে বড় একটি পোকা আটকা পড়ে মৃত্যুবরণ করেছে। তাই সময় থাকতে আমাদেরও সাবধান থাকতে হবে। কারণ বিপদ বলে আসেনা।
বিষয় | রেনডম ফটোগ্রাফি |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন | গাংনী-মেহেরপুর |
ব্লগার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
21-03-25
https://x.com/nazidulislam09/status/1902960707777253817?t=8CbhMNhQktX1JdP2gZ006Q&s=19
please share your comment link of $PUSS tweet's .
শেয়ার করেছি আপু।
গাজরের পাতা কখনো দেখা হয়নি। খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন আপনি। মুরগি এবং কবুতরের খাবার খাওয়া দৃশ্যটা বেশ ভালো লাগছে দেখতে। বিভিন্ন আঙ্গিকে আজকের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন জায়গা দেখা যায়। আপনি এলোমেলোভাবে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বোন ফুল এবং গাজর গাছগুলো আমার কাছে বেশী ভালো লেগেছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। বিশেষ করে কবুতরের ফটোগ্রাফি আমার কাছে দারুন লেগেছে। আমারও কবুতর পালতে খুব ইচ্ছা করে। যাই হোক আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন ছিল।
আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে বেশ কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আপনার শেয়ার করা কবুতরের ফটোগ্রাফি টি একটু বেশি ভালো লেগেছে। এছাড়া ও বাকি সব ফটোগ্রাফী বেশ দারুন হয়েছে।
বিভিন্ন মুহূর্তের অসাধারণ ফটোগ্রাফি।প্রতিটি ছবির সঙ্গে বর্ণনা গুলো খুব সুন্দরভাবে মিশে গেছে, যা দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছে। শহরের ব্যস্ততা থেকে গ্রামীণ পরিবেশ, প্রকৃতি থেকে দৈনন্দিন জীবনের ছোট ছোট দৃশ্য,সবকিছুই দারুণভাবে ফুটে উঠেছে।ধন্যবাদ, এমন সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি একে অপরের থেকে পুরোপুরি ভিন্ন। তবে প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। এক ঝাঁক কবুতর একসাথে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে তার মধ্যে আবার কিছু মুরগিও মিলে একসাথে খাবার খাচ্ছে দেখে বেশ ভালো লাগলো আর সব থেকে ভালো লাগলো গাজরের পাতা দেখে। আগে কখনো দেখা হয়নি আপনার এই পোস্টটির মাধ্যমে দেখে অনেক বেশি ভালো লাগছে।