পাঙ্গাস মাছের খাবার কেনার অনুভূতি

in আমার বাংলা ব্লগ23 hours ago


আসসালামু আলাইকুম




হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আবার উপস্থিত হলাম, পাঙ্গাস মাছের খাবার কিনতে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য। আশা করব, আমার এই পোস্ট আপনাদের ভাল লাগবে।

IMG_20240922_180922_623.jpg

Photography device: Infinix hot 11s

Photography Location


ফটোগ্রাফি সমূহ:


আপনারা অনেকেই জানেন আমরা পাঙ্গাস মাছ চাষের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছি। আর এই মাছের খাবার সংরক্ষণ করার জন্য বেশ বিভিন্ন স্থানে উপস্থিত হতে হয়। ছোট মাছের খাবারের জন্য নিকটস্থ খাবারের দোকানে যেতে হয় খাবার কিনতে। এছাড়া বড় মাছের খাবার সংরক্ষণ করার জন্য কুষ্টিয়া চুয়াডাঙ্গায় যেতে হয়। এরপর সে সমস্ত জায়গা থেকে খাবারের উপাদান সংরক্ষণ করে এনে এলাকার অটো মিল থেকে খাবার তৈরি করে নেওয়া হয়। যাই হোক আজকের বিষয় ছিল নিকটস্থ জোড়পুকুরিয়া বাজার থেকে পাঙ্গাস মাছের ছোট বাচ্চার খাবার সংরক্ষণ করা। পাঙ্গাস মাছের বাচ্চার জন্য ভাসমান খাবার প্রয়োজন হয়। ছোট ছোট পাংলাশের জন্য ছোট ছোট ভাসমান খাবার। 25 কেজির খাবারের বস্তা ১৮০০ টাকা। পাঙ্গাস মাছের দামের তুলনায় খাবারের দাম অত্যাধিক বেশি। তবুও নিজেদের মাছ চাষ বলে কথা। বড় মাছের খাবার উপাদান কিনে তৈরি করে নেওয়া যায় কিন্তু ছোট মাছের খাবার উপাদান কিনে তৈরি করার ব্যবস্থা নেই। তাই বিভিন্ন কোম্পানির খাবারগুলো অধিক পরিমাণ দাম দিয়ে কিনতে হয়। তাই এক সন্ধ্যা সময় জোড়পুকুরিয়া বাজারে রূপসী বাংলা খাবারের দোকানে উপস্থিত হলাম।

IMG_20240922_180437_587.jpg

IMG_20240922_180439_843.jpg

IMG_20240922_180254_045.jpg

IMG_20240922_180255_162.jpg


খাবারের দোকানে উপস্থিত হয়ে দেখলাম দোকান ঘরে কোন লোকজন নাই। বেশ চিন্তিত হয়ে পড়লাম। হয়তো নামাজ পড়তে গেছে অথবা বাজার করতে গেছে। কিন্তু এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে থাকা আমার জন্য অনেকটা বিভ্রান্তিকর। দ্রুত খাবার নিয়ে বাসায় যেতে হবে এরপর পুকুরে গিয়ে বড় মাছ ও ছোট মাছের খাবার দিতে হবে। ততক্ষণে আমি আমার মোটরসাইকেলটা রেডি করে নিলাম। যেন দোকানের মালিক এসে খাবারের বস্তা দেয়ার সাথে সাথে আমি মোটরসাইকেলে ভালোভাবে বেঁধে নিয়ে বাড়িতে চলে যেতে পারি। কিন্তু দেখলাম তারা একটু দেরি করছে। ততক্ষণে আমি অন্যান্য দোকান থেকে প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কিনে নেওয়ার চেষ্টা করলাম।

IMG_20240922_180249_273.jpg

IMG_20240922_180248_311.jpg

IMG_20240922_180245_340.jpg


বেশ লক্ষ্য করে দেখলাম রাস্তার পাশে একজন ব্যক্তি লোহার জিনিস তৈরি করাতে ব্যস্ত। বুঝতে পারছেন উনি একজন কামার কর্মকার, বিভিন্ন রকমের লোহার জিনিস যেমন হাসু, কাঁচি,দা, কোদাল, শাবল, ছুরি ইত্যাদি তৈরি ও রিপেয়ার করে থাকেন। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তার কাজ দেখলাম। ততক্ষণে খাবারের দোকানের লোক এসে উপস্থিত হলেন। দীর্ঘদিনের পরিচিত মানুষ। প্রশ্ন করলাম কোথায় গিয়েছিলেন। বলল একজন মাছের খাবার দিতে গেছে আর একজন বাজারে ছিলেন। আমিও দ্রুত বলে দিলাম কি সাইজের খাবার নিব। আসলে একই কোম্পানির বিভিন্ন রকমের খাবার থেকে থাকে তো। এজন্য মাছের বাচ্চার সাইজ অনুপাতে খাবার নিতে হয়। তাই পূর্বে জানা থাকায় বলে দিতে হয় কোন খাবারটা নিব।

IMG_20240922_180242_563.jpg

IMG_20240922_180241_092.jpg


এরপর মাছের খাবার নেওয়া হল। টাকা পরিশোধ করা হলো। খাবারের বস্তা মোটরসাইকেলে খুব ভালোভাবে বেঁধে নিলাম। কারণ পাশের গ্রামের রাস্তাটা ভালো নয়। এইজন্য নিজের সুবিধামতো খাবারের বস্তা মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে একটি ফার্মেসির দিকে চলে গেলাম। ফার্মেসিতে গিয়ে পিতা মাতার জন্য ঔষধ নিলাম। ঔষধ নেওয়া শেষ হতে হতে লক্ষ্য করে দেখলাম অনেকটা সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। কি আর করার। এখান থেকে বাসায় পৌঁছে যেতে অনেকটা রাত হয়ে যাবে। ততক্ষণে মোবাইলে ভাইকে বলে দিলাম বড় মাছের খাবার দিয়ে দিতে। আমি এই খাবার নিয়ে রাতে ছোট মাছের খাবার দিয়ে দিব। এরপর মাছের খাবার সহ প্রয়োজনীয় সবকিছু নেয়া শেষে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। এভাবে একদিন জোড়পুকুরিয়া বাজার থেকে ছোট পাঙ্গাস মাছের খাবার সংরক্ষণ করেছিলাম।

IMG_20240922_180921_614.jpg

IMG_20240922_181753_955.jpg

IMG_20240922_181753_308.jpg

IMG_20240922_181442_847.jpg


PB8ro82ZpZP35bVGjGoE93K3E4U5KX8KtMBJ2rhmkyLqtRRZvVw9YH8hEBg7DJQKSJLWf7VJRhnjGRYSDmuGDMSHAPBRbiRis5HV4ATHTF7QvLHc.png

পোস্ট বিবরণ


বিষয়মাছের খাবার
ফটোগ্রাফি ডিভাইসInfinix Hot 11s
লোকেশনগাংনী-মেহেরপুর
ব্লগার@sumon09
দেশবাংলাদেশ


পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png



6VvuHGsoU2QBt9MXeXNdDuyd4Bmd63j7zJymDTWgdcJjnzpQii6mQVp5A4gDGCDR68W9RxwfgYXDkuSdrT6M7Y7xaaSUX484gjnbdCNf4usUnqiHpgSG4y2v9nUyHY.png


Sort:  
 23 hours ago 

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 23 hours ago 

01-02-25

Screenshot_20250201-161342.jpg

Screenshot_20250201-161205.jpg

 22 hours ago 

আপনার মাছের খাবার কেনার অনুভূতিটা অনেক সুন্দর ছিল ভাইয়া। আপনি খাবার কিনতে যাওয়ার মুহূর্তটা খুব সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। একদম খাবারের দাম থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়গুলো জানার সুযোগ করে দিয়েছেন আমাদের।

 21 hours ago 

২৫ কেজি ওজনের বস্তা ১৮০০ টাকা সত্যি খাবারের দাম অনেক বেশি। এত বেশি টাকা দিয়ে খাবার কিনে মাছ চাষ করলে যদি ভালো ফলন না হয় তাহলে তো চাষির মাথায় হাত উঠে যাবে। মাঝে মাঝে যেকোনো কাজ নিজের তারা থাকলেও অন্যদের জন্য দেরি হয়ে যায়। আপনি দ্রুত মাছের খাবার এনে পুকুরে দিতে যাবেন সেজন্য আপনার অনেক তারা হয়েছিল। ভালো লাগলো পাঙ্গাস মাছের খাবার কেনার অনুভূতি পড়ে ধন্যবাদ।

 16 hours ago 

মাছের খাবারের দাম শুনলে হয়ে যায়। এদিকে মাছের কিন্তু দাম অনেক কম। তবুও মাছ চাষ তো করতে হবে কি আর করার। আপনার মাছের খাবার আনার অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।