কলেজে প্রথমবার পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি
হাই বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন আপনাদের দোয়ায় আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে উপস্থিত হয়ে গেলাম একটি নতুন পোস্ট নিয়ে। পোস্ট টি হলো আমাদের কলেজে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা তে অংশগ্রহণ করে পুরস্কার পেয়েছিলাম তার অনুভূতি আপনার মাঝে শেয়ার করব প্রতি বছরে খেলাধুলার অনুষ্ঠান থাকে। সাথে ডিসপ্লেতে নাচ হয়।আমি চেষ্টা করি খেলাধুলা তে অংশগ্রহণ করার।আশা করি পোস্টটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
পুরস্কার ছোট হোক কিংবা বড় তাই দামি। আমাদের কলেজে প্রতিবছর ক্রীয়া প্রতিযোগিতা হয়। আমি চেষ্টা করি খেলাধুলাতে অংশগ্রহণ করার। এ বছরও দুইটা খেলাতে অংশগ্রহণ করছিলাম। একটা হল চাকতি নিক্ষেপ।আর একটা হলো হ্যান্ড বিল।চাকতি নিক্ষেপ খেলাতে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলাম এবং হ্যান্ডবল খেলাতেও আমাদের টিম বিজয়ী হয়েছিল। তবে যেদিন খেলাধুলা হয় ঐদিন শুধু নাম ঘোষণা করছিল পুরুষ্কার অনেক দিন পরেই দিল। কলেজে উঠার পর এই প্রথমবারের মতো পুরস্কার পেলাম। পুরস্কার পেতে কার না ভালোলাগা। পুরস্কার ছোট হোক কিংবা বড় পুরস্কার তো পুরস্কারই। কলেজে ডিসপ্লে তে নাচ অনুষ্ঠান ছিল। তবে বাসা থেকে নাচের জন্য অনুমতি না দেওয়ার কারণে ডিসপ্লেতে নাচ দেওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। তবে আমার হাজব্যান্ড বলছিল ছোটখাটো খেলা দিতে পারো। তাই আমি দুটি খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলাম। চাকতি নিক্ষেপ খেলা অনেকদিন ধরে প্র্যাকটিস করেছিলাম। প্র্যাকটিস করার পর ম্যাডাম বলল তুমি পারবা। নাম দিয়ে দাও। তো আমিও নাম দিয়ে দিলাম। প্রথমে ভাবছিলাম অল্প কয়েকজনের মধ্যে খেলা হবে তাই আমি পারবো। পরে যখন দেখি আমাদের সব গ্রুপ থেকে তিনজন করে নিচ্ছে। মানে আমাদের অ্যাপলেটের কালার চারটি লাল, নীল, সবুজ আর হলুদ। এই চার অ্যাপলেটের মধ্যে থেকে তিনজন করে মোট 12 জন হয়। যার কারনে একটু ভয় লাগছিল যে হয়তো পারবো না। তারপরও সাহস করে খেলাতে অংশগ্রহণ করলাম।
আসলে স্কুল কলেজে খেলাধুলা থেকে শুরু করে সকল প্রোগ্রামে উপস্থিত হওয়াটাই অনেক আনন্দের। যদিও ছোটবেলায় স্কুলে কোন অনুষ্ঠান হলে খেলাধুলা তে বা নাচ গানে অংশগ্রহণ করতাম না তবে ক্লাস ৯-১০এ উঠার পর কোন প্রোগ্রাম হলেও অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করি। আমার মনে হয় কলেজে বা স্কুলে শুধু চুপচাপ থাকলে বা শুধু পড়াশোনার নিয়ে থাকলে ভালো লাগেনা। আবার যদি একদম চুপচাপ ভাবে থাকি তাহলে স্যার ম্যাডামদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয় না। তাই আমি চেষ্টা করি যেকোনো প্রোগ্রামে উপস্থিত হওয়ার। যেদিন পুরস্কার দেয় ঐদিন প্রিন্সিপাল স্যার সাথে আমাদের বেপজা কলেজে কিছু অতিথি আসছিল। তারা সবাই মিলে পুরস্কার বিতরণ করছিল। সেটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। স্যারের সাথে সুন্দর করে ছবি নিচ্ছিল। তবে ছবিগুলো পরে আমার মোবাইলে নিতে পারি নাই। যার কারণে অনেক খারাপ লাগছিল। তবে একদিন সময় করে কারো কাছ থেকে ছবি গোলা নিব। আসলে কলেজ লাইফ শেষ হয়ে যাবে কিন্তু এই ছবিগুলাই স্মৃতি হয়ে থাকবে। আসলে এই ছোট ছোট পুরস্কার গুলোই অনেক বড় কিছু মনে হয়।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফি | মোবাইলে ফোন |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | realme note50 |
লোকেশন | ঢাকা সাভার |
আজকের টাস্ক সম্পূর্ণ
কলেজে প্রথমবার পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করেছেন।অভিনন্দন আপনার এই সাফল্য সত্যিই প্রশংসনীয়। এটা নিঃসন্দেহে আপনার কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার ফল। আগামীতেও এমন সাফল্য ধরে রাখেন, আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ঠিক বলেছেন কলেজ লাইফ শেষ হয়ে যাবে তবে ছবিগুলো স্মৃতি হিসেবে থেকে যাবে। খুব সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। আসলে পুরস্কার ছোট হোক কিংবা বড় এটা পাওয়াটাই অনেক আনন্দের ব্যাপার। ভালো লাগলো আপনার আজকের অনুভূতিগুলো পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।