||রেসিপি পোস্ট||বুন্দিয়া তৈরির রেসিপি||
আজ - সোমবার
আপনারা কেমন আছেন? আশা করি, মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছেন। 'আমার বাংলা ব্লগ' কে ভালোবেসে এবং সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে উপস্থিত হলাম মজাদার এক রেসিপি নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে সুস্বাদু বুন্দিয়া রেসিপি তৈরি করে দেখাবো। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে কার্যপ্রণালী শুরু করি। |
---|
১. | বেসন | পরিমাণ মতো |
২. | পানি | পরিমাণ মতো |
৩. | কনফ্লাওয়ার | এক চামচ |
৪. | চিনি | ১ সোয়া |
৫. | সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
৬. | লবণ | সামান্য |
এখানে আমি পরিমাণমতো বেসন নিয়েছি।
বেসনের মধ্যে এক চামচ কর্নফ্লাওয়ার এবং সামান্য লবন দিয়ে দিন। তারপর অল্প অল্প করে পানি দিয়ে সুন্দর করে মাখিয়ে নিই।
বেশ কিছুক্ষণ হাত দিয়ে মাখিয়ে নিলাম। একটা ঘন বাটার তৈরি করে নিলাম।
তারপর একটা কড়াইতে তেল গরম করতে দিলাম। তেল গরম হয়ে গেলে একটা ছাঁকনি নিলাম। ছোট ছোট ছিদ্রযুক্ত ছাকনি নিলাম। তার উপরে বেসন গুলিয়ে রেখেছিলাম ওগুলো দিয়ে দিই।
তেলের মধ্যে অনেক সুন্দর ভাবে বুন্দিয়া শেপে পড়ছিল। দেখতে আমার কাছে খুবই চমৎকার লাগছিল।
এক এক করে এখানে আমি এক প্লেট বুন্দিয়া ভেজে নিলাম।
অন্যদিকে একটি পাতিলের মধ্যেও এক পোয়া চিনি দিলাম। আর একই কাপের আধা কাপ পানি দিলাম।
পানিটা বেশ কিছুক্ষণ জ্বাল করালাম। যখন একদম সামান্য আঠালো ভাব আসলো তখন বুন্দিয়া ভাজা গুলো চিনি শিরার মধ্যে দিয়ে দিই। অল্প কিছুক্ষণ ধারা ছাড়া করে বুন্দিয়া টি নামিয়ে নিলাম।
পরিবেশন
রোজার মাসে বিশেষ করেও বুন্দিয়া বেশি খাওয়া হয়। আর আমি এগুলা সবসময় বাসায় বানিয়ে থাকি। ছোলা বুন্দিয়া থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু বাসায় তৈরি করে থাকি। বুন্দিয়া তৈরি করা শেষ হলে ইফতারের সময় সুন্দর করে পরিবেশন করে দিই। আমার হাজব্যান্ড সে অনেক প্রশংসা করছিল। সে আমার হাতের রান্না খেয়ে সবসময়ই অনেক প্রশংসা করে। তার প্রশংসা গুলো আমার খুবই ভালো লাগে।
বিষয় | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
ক্যামেরা | realme note50-13mp |
আমার লোকেশন | ঢাকা সাভার |
ক্রেডিট | @sumiya23 |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোছাঃ সুমাইয়া, আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা ঢাকা সাভার, বিশ-মাইল। আমি বিবাহিত,একজন কলেজ ছাত্রী। আমার হাজব্যান্ড একজন বেসরকারি চাকুরীজীবী।আমি বর্তমান ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে অধ্যয়নরত রয়েছি। আমার কলেজের নাম বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা সাভার। আমরা দুই ভাই বোন। আমার @sumiya23 স্টিমিট আইডির নাম।
বুন্দিয়া তৈরির খুবই সুন্দর পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই জিনিসটা আমি অনেক খেয়েছি কিন্তু এটা তৈরি করার পদ্ধতি আমার জানা ছিল না আপনার পোষ্টের মাধ্যমে সেটা জানতে পারলাম।
বুন্দিয়া তৈরি আসলে অনেক সহজ। কিন্তু এটা অনেকেরই অজানা। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আজকের টাস্ক সম্পূর্ণ
অনেকেই মুড়ি মাখার সাথে এই বুন্দিয়া খেতে পছন্দ করে। বুন্দিয়া বাসায় কখনো তৈরি করা হয়নি। বেশিরভাগ সময় বাহির থেকে কিনে আনা হয়। আপনি বাসায় একদম পারফেক্টলি বুন্দিয়া তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। খুব সুন্দর ভাবে পুরো রেসিপিটা উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু একদম পারফেক্ট ভাবে বন্দিয়া গুলো তৈরি করতে পেরেছিলাম। আপনিও একদিন বাসায় ট্রাই করে দেখবেন আশা করি ভালো হবে।
আসলে ইফতারের সময় বুন্দিয়া খেতে অনেকেই খুব পছন্দ করে। আমিও একসময় বুন্দিয়া খেতে খুব পছন্দ করতাম। তবে এখন বুন্দিয়া খাওয়া হয় না আমার। যাইহোক রেসিপিটা দারুণ হয়েছে আপু। বুন্দিয়া গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া ইফতারিতে অনেকেই বুন্দিয়া খেতে অনেক পছন্দ করে। ধন্যবাদ আপনাকে।
বুন্দিয়া খেতে আমি খুবই পছন্দ করি।আপনি চমৎকার সুন্দর করে বুন্দিয়া রেসিপি করেছেন যা খুবই লোভনীয় হয়েছে। এরকম স্বাস্থ্যকর ভাবে বাড়ির তৈরি বুন্দিয়া গুলো খেতে দারুণ হয়ে থাকে।ধাপে ধাপে বুন্দিয়া তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন।খেতে অনেক সুস্বাদু রেসিপি টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার রেসিপি দারুণ হয়েছে। আসলে নিজে হাতে এভাবে তৈরি করে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনারা নিশ্চয় অনেক মজার হয়েছে। ধাপ গুলো অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু নিজের হাতে যে কোন কিছু রান্না করে খেলে সেটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। ধন্যবাদ আপনাকে
বাহ বাসায় বেশ পারফেক্টলি বুন্দিয়া তৈরি করেছেন তো।ইফতারে বন্দিয়া ছাড়া যেন চলেই না। আপনি খুব ভালো করেছেন বাসায় বুন্দিয়া তৈরি করে। আপনার রেসিপিটা অনুসরণ করে অবশ্যই একদিন তৈরি করে ফেলব। অসংখ্য ধন্যবাদ বুন্দিয়ার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু বাসায় এভাবে একদিন বানিয়ে দেখবেন আশা করি অনেক ভালো হবে।
দারুন ভাবে বুন্দিয়া আর রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। কর্নফ্লাওয়ার ব্যবহার করার কারণে ওগুলো খুবই সুন্দরভাবে ফুলে উঠেছে। ইফতারিতে এই রেসিপিটা হলে বেশি ভালো লাগে খেতে। আমরাও মাঝে মাঝে এভাবে বাড়িতে তৈরি করি। বেশ ভালো লাগলো আপু আপনার রেসিপিটা ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
ওয়াও আজকে আপনি চমৎকার একটি রেসিপি করেছেন।বুন্দিয়া রেসিপি দেখে বেশ ভালো লাগলো। আর রমজানের সময় এই ধরনের রেসিপি হলে তো খুব মজা লাগে খেতে। তবে বুন্দিয়া রেসিপি বাড়িতে তৈরি করে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। মজার রেসিপিটি সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
জি আপু ইফতারের সময় বুন্দিয়া খেতে অনেক ভালো লাগে।
বুন্দিয়া আমারও ভীষণ পছন্দের, আর আপনি যেভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকরভাবে এটি তৈরি করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ধাপে ধাপে স্পষ্ট উপস্থাপনা দেখে মনে হলো, আমরাও এই রকম সহজেই বাসায় তৈরি করি। লোভনীয় এই রেসিপিটি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগলো আপু।