মুরগির খাদ্য কেনার জন্য পাখির দোকানে কিছুক্ষণ !
কভার ফটো
আসসালামু আলাইকুম। শুভ সকাল আমার বাংলা ব্লগ। আশা করছি সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলেই বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভালো আছি। আমরা যেন সর্বদা সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি সেই কারণে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।
আজ আমি আপনাদের জন্য একটি লাইফ স্টাইল ব্লগ শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের জন্য মুরগির জন্য খাদ্য কেনার অনুভূতি এবং পাখির দোকানে যাওয়ার কার্যক্রম শেয়ার করতে চাই। সম্পূর্ণ কার্যক্রমটি আমার লাইফস্টাইল এর সাথে সংযুক্ত। সকলেই উপভোগ করতে থাকুন আশা করছি আপনাদের বেশ ভালো লাগবে।
এখন আমাদের গ্রামাঞ্চলে প্রতিটি বাড়িতেই প্রায় খামার নির্মাণ করা হয়েছে। মানুষের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে মুরগির মাংসের দাম অত্যন্ত বেশি। তাই শহরে অবস্থা আমি সঠিক জানিনা, তবে আমাদের গ্রামে প্রতিটি বাড়িতে ছোট ছোট খামার নির্মাণ করা হয়েছে। এখন একজন কৃষকের বাড়িতেও ছোট খামার রয়েছে এবং এখানে মুরগি লালন পালন করা হয়ে থাকে। ঠিক আমার আংকেল তার বাড়িতে একটি ছোট্ট খাবার নির্মাণ করেছেন এবং সেখানে সে মুরগি র খামার দিয়েছেন এবং মুরগির খাদ্য শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই আমার আংকেল আমাকে নিয়ে মুরগির খাদ্য কেনার জন্য একটি পাখির দোকানে নিয়ে গিয়েছিল।
দোকানে গিয়ে যথারীতি আমার বেশ ভালো লেগেছিল এবং আমি আশ্চর্য হয়েছিলাম। একটি দোকানে মুরগির খাদ্য অর্থাৎ ফিড বিক্রি করা হয় এবং পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে মুরগির খাদ্য বিক্রি করা হয়। সেই দোকানে অনেক ধরনের পাখি রয়েছে এবং কবুতর রয়েছে। সেগুলো দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।
তবে ওই দোকান থেকে আমরা ফিড কিনতে গিয়েছিলাম। দোকানদার একটু ব্যস্ত থাকার কারণে আমাদেরকে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল। তবে আমি আমার অপেক্ষার প্রহর গুনতে বেশ ক্লান্ত ছিলাম এবং আমি তখন সেই দোকানে থাকা কিছু পাখিদের ফটোগ্রাফি করেছিলাম
। চলুন দোকানে থাকা সেই পাখিগুলোর কিছু ফটোগ্রাফি আমরা দেখে আসি।
লাভ বার্ড :
- পাখির দোকানে খাঁচার ভেতরে বেশ কিছু পাখি বন্দি রাখা হয়েছিল। পাখিগুলোকে দেখলে প্রথমে আপনি টিয়া পাখি মনে করতে পারেন। তবে এগুলো আমি লাভ বার্ড পাখি নামে জানি। একজোড়া পাখির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬০০ টাকা। পাখিগুলো যখন মুখ দিয়ে শব্দ করছিল পুরো ঘর যেন পাখির কলরবে পুলকিত হয়েছিল। ফটোগ্রাফি করেছিলাম এবং এই পাখিগুলো দেখে আমার অনেক বেশি আনন্দ হয়েছিল।
মাছের একুরিয়াম
- এটা শুধু একটি পাখির দোকান নয় । চমৎকার এই দোকানে বিভিন্ন রঙের বিভিন্ন ডিজাইনের ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে মাছ বিক্রি করা হচ্ছিল। একুরিয়াম এর ভেতরে চমৎকার কিছু মাছ সুন্দর করে রাখা হয়েছিল এবং সেখানে চমৎকার লাইটিং সিস্টেম করা হয়েছিল। বিশেষ করে পাহাড়ি ডিজাইনের এই একুরিয়ামের ভেতরের মাছ গুলো দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছিল এবং আমি তখন সেগুলোর ফটোগ্রাফি করেছিলাম।
বাহারি ডিজাইনের ও নামের কবুতর
- চমৎকার এই পাখির দোকানে বিভিন্ন রকমের কবুতর দেখেছিলাম। ময়ূখ, গিরিবাজ , নাম জানা অজানা প্রায় ২০ প্রজাতির কবুতর আমি লক্ষ্য করেছিলাম। কবুতর গুলো দেখে আমার কবুতর লালন পালনের অনেক বেশি শখ হয়েছিল। তবে কবুতরগুলোর দাম অত্যন্ত বেশি হওয়ার জন্য আমি সেগুলো ক্রয় করতে পারিনি।
যাইহোক আমার ফটোগ্রাফি করতে মোট তিন মিনিটের মত সময় লেগেছিল। এবং এই তিন মিনিট সময় ভেতরেই দোকানদার তার সমস্ত কার্যক্রম শেষ করেছিল এবং আমাদের মুরগির জন্য ফিড রেডি করেছিল ।
যাইহোক অবশেষে মুরগির খাদ্য সংগ্রহ করলাম এবং দোকানদারকে আমরা অর্থ প্রদান করলাম। অর্থ প্রদান করার পর আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম এবং মুরগিগুলোকে খাবার খেতে দিয়েছিলাম।
আসলে মুরগির দোকানে মুরগির জন্য ফিড কিনতে যাওয়ার অনুভূতিটা সত্যিই অনেক বেশি আনন্দময় ছিল। কারণ সেখানে গিয়ে আমি বেশ কিছু বাহাড়ি ডিজাইনের কবুতর, বিভিন্ন প্রজাতির মাছ এবং বেশ কিছু মুরগির খাদ্য ও মুরগির বাচ্চা দেখেছিলাম। যেগুলো দেখে সত্যি আমার অনেক বেশি আনন্দ হয়েছিল এবং আমি পুরো মুহূর্তটা বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করেছিলাম
যাইহোক অবশেষে আমার মুরগির খাদ্য কেনার এক্টিভিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। ফটোগ্রাফি গুলো কেমন হয়েছে অবশ্যই মন্তব্য করতে ভুলবেন না। আমি আপনার একটি সুন্দর দিন কামনা করছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সাথে থাকার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
|250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি
আমি মোহাম্মদ আকাশ সরদার
। জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি ব্লগিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আর্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ তবে আর্টওয়ার্ক কাজের জন্য আমার হাত একদম বাজে। ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে প্রিয় বিষয়। নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ এবং নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে বেশ ভালো লাগে। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারলে মনের ভেতরে আনন্দ আসে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে চাই এবং সকলের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে এই সমাজে বসবাস করতে চাই।
https://x.com/steemforfuture/status/1878998310520025216?t=NeAPxmohtaRVTkjmj0vESg&s=19
4 টাক্স
এটা সত্য কথা যে আমাদের গ্রাম অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই হাঁস মুরগি কিংবা কবুতরের ছোট অথবা মাঝারি আকৃতি খামার রয়েছে। যাহোক, মুরগির খাদ্য ক্রয়ের মুহূর্তটা দারুন ভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।
এখন বাজারে ব্যাপক পরিমাণ পাখি পালনের জন্য সুবর্ণ সুযোগ হয়ে গেছে। অনেকে খাবার বিক্রয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পাখি বিক্রয় করে থাকেন। যদিও খাঁচায় পুরা পাখি আমার পছন্দ না। তবে যেগুলো পোষ মানানো যায় বাড়িতে পালা যায় সেগুলো ভালোলাগার হয়ে থাকে। তবে আপনি মুরগির খাবার কিনতে গিয়ে বেশ ভালো একটি স্থানীয় অবস্থান করেছেন। অনেক ভালো লাগলো মুরগির খাবার কিনতে গিয়ে বাহারি রঙের মাছ দেখতে পেয়েছেন জেনে।
ভাইয়া আপনি মুরগির দোকানে মুরগির খাবার আনার জন্য গিয়ে দারুন সব পাখির ফটোগ্রাফি করেছেন। আমারও প্রায় এ ধরনের দোকানে যা হয় কেননা আমাদের বাড়িতেও অনেকগুলো পাখি রয়েছে। মুরগির ফিড জাতীয় খাবারগুলো খাওয়ালে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আপনি মুরগির দোকানে মুরগির খাবার আনার জন্য গিয়ে দারুন সব পাখির ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। পাখি খাঁচায় করে পালন করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি আজকে আমাদের মাঝে চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।