বুদ্ধি।

লিংক

একটা জিনিস আমাকে সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে এই পৃথিবীতে আপনি শারীরিক বল দিয়ে অনেক কিছু জয় করতে সম্ভব হলেও সব কিছু কিন্তু কখনো শারীরিক বল দিয়ে জয় করা যায় না। আসলে যে ব্যক্তিদের বুদ্ধি যত বেশি সেই ব্যক্তিরা কিন্তু খুব সহজ উপায়ে বিভিন্ন ধরনের কঠিন কাজকে সহজ করতে পারবে। অর্থাৎ বুদ্ধির কাছে শারীরিক শক্তির কোন জায়গা নেই। এজন্য আমাদের প্রত্যেকটা কাজ অবশ্যই বুদ্ধি দিয়ে করতে হবে এবং আমরা যদি আমাদের জীবনের সকল কাজগুলো বুদ্ধি এবং সঠিক জ্ঞান দিয়ে করতে পারি তাহলে আমরা অবশ্যই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো এবং নিজেদের জীবনটাকে একটা উন্নত পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারব। আসলে যে ব্যক্তিদের বুদ্ধি যত বেশি সে কিন্তু ততো এগিয়ে থাকে।


এই পৃথিবীতে আমরা বিভিন্ন ধরনের মানুষ দেখতে পাই যারা কিনা প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এখানে সাধারণত আমি কাজের প্রতিযোগিতার কথা বলছি। অর্থাৎ একটা কাজ পাওয়ার জন্য বহু হাজার হাজার লোকেরা লাইন দিয়ে সেই কাজটি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রচেষ্টা করে। কিন্তু প্রত্যেকটা লোক কিন্তু একজন বুদ্ধিমান এবং জ্ঞানী লোককে সবসময় চেয়ে থাকেন। আর সর্বপ্রথম আমাদের সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কেননা আমরা একটা জিনিস সবসময় জানি যে জ্ঞান মানুষের বুদ্ধি কি বিকশিত করতে সাহায্য করে এবং যে ব্যক্তি যত বেশি জ্ঞানী সেই ব্যক্তি কিন্তু বুদ্ধির দিক থেকে সবসময় এগিয়ে থাকে এবং তারাই জীবনে উন্নতি লাভ করতে পারে। এজন্য এই ব্যক্তিদেরকে সবাই অনেক বেশি পছন্দ করে।


আসলে উদাহরণ হিসেবে যখন আমরা ১০ জন ব্যক্তিকে একই ধরনের কাজ দিয়ে থাকি এবং দেখতে পাই যে এই দশজন ব্যক্তির সেই কাজটি আলাদা আলাদা ধরনের হয়ে থাকে। কেননা দশ জন ব্যক্তির বুদ্ধি যেহেতু আলাদা তাই তারা বিভিন্ন বুদ্ধি দিয়ে সেই কাজটি করার চেষ্টা করবে এবং সেই কাজটি যখন তারা সমাধান করবে তখন আমরা একটা জিনিস লক্ষ্য করব যে সেই ১০ টি কাজ সমাধান হলেও এদের মধ্যে অনেক বেশি পার্থক্য থাকে। এছাড়াও যারা বুদ্ধি দিয়ে কাজ করে তারা কিন্তু সবসময় সেই কাজটিকে সহজ এবং দ্রুত সমাধান করতে পারে। আর এই জন্য আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে আমরা সব সময় সঠিক জ্ঞান অর্জন করে সেই জ্ঞানকে সঠিক পথে পরিচালনা করার চেষ্টা করব এবং বুদ্ধি দিয়ে কাজ করবো।


এই পৃথিবীতে আমরা একটা জিনিস লক্ষ্য করলে দেখতে পাই যে যারা আজ জীবনে সফলতা অর্জন করেছে তারা কিন্তু সবসময় তাদের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে সবার থেকে আলাদা ধরনের কাজ করার চেষ্টা করেছে। কেননা সবাই যে পথে হাটে সেই পথে যদি আপনি চলাচল করতে চেষ্টা করেন তাহলে কিন্তু আপনি কখনোই নাম করতে পারবেন না। অর্থাৎ আপনাকে আপনার নিজের পথ তৈরি করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে এবং কোন কাজকে বুদ্ধি দিয়ে সেই কাজটিকে কি করে দ্রুত এবং সহজে করা যায় সেই ধরনের প্রচেষ্টা করতে হবে। আর আপনি যখন আপনার বুদ্ধি দিয়ে কোন জিনিসকে আলাদাভাবে তৈরি করতে পারবেন তখন কিন্তু মানুষ আপনাকে সম্মান করবে এবং তারা আপনার চলার পথে হাঁটার চেষ্টা করবে।

লিংক


আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।