বাজারের পরিস্থিতি
।
আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে বাজারের পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
লিংক
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য কিন্তু বিভিন্ন ধরনের মৌলিক চাহিদা রয়েছে। এইসব মৌলিক চাহিদার মধ্যে অন্যতম একটা জিনিস হল খাদ্য। আসলে অন্যান্য চাহিদা গুলো যদি না পুরনো হয় তবুও মানুষ বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু খাবারের চাহিদা যদি মানুষের পূরণ না হয় তাহলে সে মানুষ কখনো বেঁচে থাকতে পারবে না। কারণ এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য সব থেকে প্রয়োজনীয় মৌলিক চাহিদা হল খাদ্য। আসলে একটা মানুষ সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করে শুধুমাত্র দুবেলা দুমুঠো ভালো খাবার জন্য। আর এর জন্য মানুষ এই সকাল থেকে রাত অব্দি একটানা কঠোর পরিশ্রম করে। একটা জিনিস আপনারা কি কখনো ভেবে দেখেছেন যে এই পৃথিবীতে যদি খাদ্যের প্রয়োজন না থাকতো তাহলে মানুষ কোন ধরনের কোন কাজকর্ম করত না।
কিন্তু বর্তমান সময়ে এইসব খাদ্য পণ্যের দাম এতটাই বেশি যে সাধারণ এবং শ্রেণীর পক্ষে বাজারে গিয়ে এইসব খাদ্য দ্রব্য কেনা মোটেও সম্ভব হচ্ছে না। অর্থাৎ বাজারের পরিস্থিতি এখন আগুন। আপনি বাজারে গিয়ে যে জিনিসটা হাত দেবেন সেই জিনিসটার দাম এতটাই বেশি যে তা কিনতে সাধারণ মানুষের ঘাম বেরিয়ে যাচ্ছে। আসলে দিনদিন যদি এরকম দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়তে থাকে তাহলে মানুষ ঠিকঠাক ভাবে কোন পণ্য কিনে খেতে পারবে না। কেননা বাজারে যেহেতু আগে অল্প কয়েকটা টাকা নিয়ে গেলে আমরা ব্যাগ ভরে বাজার করে আনতাম। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা যদি ব্যাগ ভরে টাকা নিয়ে যাই তাহলে টাকা শেষ হয়ে যাবে কিন্তু ব্যাগ কখনো ভরবে না। আসলে এভাবে যদি দ্রব্যমূল্যের দামের কোন নিয়ন্ত্রণ না থাকে তাহলে দেশের সাধারণ মানুষের অবস্থা খুব খারাপ হবে।
আমার মনে হয় যে দেশের সরকারের এই বাজারের দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত। কেননা বাজারের কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে যারা তাদের ইচ্ছামত দাম বৃদ্ধি করে। ধরুন একটা জিনিস যখন সেই সিজনে পাওয়া যায় না তখন সেই জিনিসটার দাম বাড়তেই পারে। কিন্তু যে জিনিসটা যখন উৎপন্ন হয় সেই সময় কিন্তু তার দাম কম থাকার কথা। এখন বর্তমানে এইসব ব্যবসায়ীরা কোন জিনিসের দাম একবার বৃদ্ধি করতে পারলে সেই জিনিসের দাম কখনো কমায় না। কিন্তু একদিক থেকে এসব ব্যবসায়ী শ্রেণীর লোকেরা লাভবান হলেও আসলে চাষীরা কিন্তু কোন প্রকারে লাভবান হচ্ছে না। কেননা এইসব ব্যবসায়ীরা সেসব চাষীদের কাছ থেকে সেইসব প্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলো কম দামে ক্রয় করে আনছে। আসলে এর ফলে কিন্তু দুই শ্রেণীর লোকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
অর্থাৎ এক হলো সাধারণ শ্রেণীর লোকেরা এবং অন্য জন হল কৃষক শ্রেণীর লোকেরা। আসলে বাজারের এইসব অসৎ লোকেদের যদি আমরা একটু কন্ট্রোলে আনতে পারি তাহলে কিন্তু তারা এভাবে তাদের ইচ্ছামতো আর কোন দ্রব্যের দাম বাড়াতে পারবে না। আসলে এসব লোকেদের যদি সরকার কোন কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করে দিতে পারে তাহলে তারা ভয়ে তাদের ইচ্ছা মতো কোনো দ্রব্যের দাম বাড়াতে পারবেনা। এছাড়াও সরকারি তালিকা অনুযায়ী কোন জিনিসের দাম যদি নির্ধারণ করে দেয়া হয় এবং এই নির্ধারিত দামের উপরে যদি তারা জিনিসপত্র ক্রয় বিক্রয় করে তাহলে কিন্তু তাদের বিভিন্ন ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। আর এজন্য আমাদের যেহেতু সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং বাজারের এই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনার দায়িত্ব কিন্তু আমাদের জনসাধারণের।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।