তফাৎ এর যৌক্তিকতা?

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

একটা ব্যাপার আমি সব সময় দেখেছি যে, কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যাদেরকে সবসময় অনেক বেশি আসলে ছাড় দেওয়া হয়। অর্থাৎ ধরুন একই দোষ আপনি করলেন কিংবা তার চেয়ে অনেক সামান্য দোষ আপনি করলেন। তখন দেখবেন যে আপনাকে কোনো ভাবেই স্পেয়ার করা হচ্ছে না এবং আপনার ঐ সামান্য দোষ কেউ এতোটাই বাড়িয়ে ছাড়িয়ে দেখা হচ্ছে কিংবা তার জন্য যে শাস্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে, সেটা অনেক বেশি। কিন্তু একই এরকম দোষ কিংবা ভুল যদি অন্য মানুষ করে। সে ক্ষেত্রে আসলে দেখবেন যে তার জন্য হয়তো নাম মাত্র শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং শুধু তাই নয় নামমাত্র আসলে এমন ভাবে বিষয়গুলো দেখা হচ্ছে। যেটা হয়তো কোনো ব্যাপার ই নয়। এই ধরনের একটি ব্যাপার সামনে চলে আসছে। অর্থাৎ ওই ব্যাপারটি কিংবা দোষ সম্পর্কে।

আমি এটার কোনো যৌক্তিকতা দেখি না। কারণ আসলে আমরা একটা ব্যাপার সকলেই জানি যে আইন সকলের জন্য সমান। তো সেই আইন এ আসলে কিছুটা নেপোটিজম করতেই পারে। কিন্তু এই যে নেপোটিজম এর একটি কিন্তু সংজ্ঞা থাকা, একটি কিন্তু লিমিট থাকা দরকার। একটা পর্যায়ে পর্যন্ত হয়তো আমরা আমাদের প্রিয়জন কিংবা আমাদের কাছের মানুষদের দোষ গুণ ভুল এসব ইগনোর করতে পারি। কিছুটা সময়ের জন্য কিন্তু যখন আমরা দেখি যে আমাদের পরিচিতজনদের গুলো অনেক বেশি ইগনোর করা হচ্ছে এবং যারা আসলে তেমন কোনো দোষ করছে না কিংবা হয়তো সামান্য ভুল হয়ে গিয়েছে। তাদের উপরে কঠোর শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। সেটা কখনোই আসলে যৌক্তিক না। অর্থাৎ এটা মানবিকতা থেকেও কিন্তু করা উচিত নয়।

আসলে আমি এটাই বললাম কিংবা বলতে চাইছি যে তফাৎ করা ভালো কিংবা একটা পর্যায়ে পর্যন্ত তফাৎ করা যায়। কিন্তু তফাৎ এর মধ্য থেকে যেনো মানবিকতা, মনুষ্যত্ব উঠে না যায়। সেদিকেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। কারণ আমরা হয়তো তফাৎ করছি। কিন্তু যার সাথে তফাৎ করছি। তার সাথে যদি নাইনসাফী হয়ে যায়। তাহলে কিন্তু সেটার জন্য আমরা দায়ী থাকবো সৃষ্টিকর্তার কাছে। সেটার জন্য আমাদের জবাবদিহি করতে হবে। তাই এতোটাও তফাৎ করা উচিত নয়, যেটা অতিরিক্ত চোখে পরে।