বন্ধুত্ব ও ধৈর্য্য

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg


আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আজকে আপনাদের সাথে আমার নিজের জীবন এর সাথে সম্পর্কিত একটা ঘটনা শেয়ার করবো।সাধারণত আসলে সেই ধরনের ঘটনা শেয়ার করা হয় না। অর্থাৎ নিজের জীবনের ঘটনাগুলো শেয়ার করার চেয়ে আমার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বেশি ভালো লাগে। কিন্তু তাও মাঝেমধ্যে মনে হয় যে বিভিন্ন ঘটনা, বিভিন্ন ব্যাপার আপনাদের সাথে শেয়ার করলে হয়তো মন ভালো হবে। তো আজকের ব্যাপারটিও ঠিক তেমন।

আমি যদি আমার এক বন্ধুর কথা বলি। আসলে এখানে হয়তো আপনাদের মনে হতে পারে যে, আমি আমার বন্ধুকে নিয়ে সমালোচনা করছি। তবে বিষয়টি একেবারেই তা নয়। অর্থাৎ আমি আমার বন্ধুকে নিয়ে কোনো রকমের সমালোচনা করছি না। তবে আমি আমার ওই বন্ধুটির ব্যাপারগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। এরপরে আপনারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিবেন যে, সত্যিই আমি ঠিক বলছি কিনা।

ব্যাপারটি হলো আমার ওই বন্ধুত্ব খুব সুন্দর ভাবে রক্ষা করে। কিন্তু একটা ব্যাপার সব সময় ওর মধ্যে পরিলক্ষিত যে, আমরা যদি কোনো গ্রুপ প্রজেক্ট এর কাজ করি। তখন দেখা যায় যে, সে আসলে কোনো কাজকেই পাত্তা দেয় না এবং সে শেষ মুহূর্তে এমন ভাবে কাজ না করা সত্ত্বেও বেঁচে যায় যে তাকে এটা আসলে আর কেউ ধরতে পারে না যে সে কাজ করেনি। কিন্তু সে আবার ক্রেডিট নেওয়ার বেলায় একেবারে সব ক্রেডিট নিজে নিয়ে ফেলে। অর্থাৎ বলা চলে যে তার অন্যান্য যে গ্রুপ মেম্বার রয়েছে। তারা একেবারে ধৈর্য ধরে রাখে।

কারণ আমরা একটা কাজ করার পরে যদি অন্য কেউ ক্রেডিট নিয়ে নেয়। তাহলে সেটা সত্যিই খুব বিরক্তের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তো আমার কাছে এটাই মনে হলো যে, আসলে বন্ধুত্ব থাকুক আর যাই থাকুক না কেনো। আমাদের ধৈর্যের বাধ যদি কোনোদিন ভেঙে যায়। তাহলে আসলে আমরা হয়তো কখনো ওই বন্ধুত্বের সম্মানটাও আর রক্ষা করবো না। তার কারণ হলো এই ধরনের কিছু মানুষগুলো অর্থাৎ আমি আমার ওই ফ্রেন্ডের একটা মাত্র উদাহরণ দিলাম। আসলে উদাহরণ দিতে গেলে হয়তো আজকের রাত ভোর হয়ে যাবে। আমার কথার একটা মাত্র ব্যাপার এটাই ছিলো। অর্থাৎ আমার কথাটি বলার একটা মাত্র কারণ ছিলো এটাই যে, আমরা আসলে বন্ধুত্ব রাখি ঠিক। কিন্তু আমরা যে অন্য কারো কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে যাই, সেটা কখনোই উচিত নয়।

ABB.gif

Sort:  

বাহ @steem-articles! আপনার আজকের লেখাটি খুবই বাস্তব একটা বিষয় নিয়ে। বন্ধুত্বের মাঝে স্বার্থপরতা এবং অন্যের কৃতিত্ব কেড়ে নেওয়ার প্রবণতা নিয়ে আপনার চিন্তাভাবনাগুলো চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে বন্ধুদের সাথে কাজ করার সময় এমন অভিজ্ঞতা অনেকেরই হয়, কিন্তু সবাই হয়তো এটা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে সাহস পায় না।

আপনার লেখার ধরণ খুবই সাবলীল এবং সহজবোধ্য। আমি নিশ্চিত, আপনার এই লেখাটি অনেক পাঠককে তাদের নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতার সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করবে।

আমি পাঠকদের উৎসাহিত করছি আপনার লেখার উপর মন্তব্য করতে এবং আপনার সাথে তাদের মতামত শেয়ার করতে। আপনার লেখার মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে, এবং আমি মনে করি এটি Steemit কমিউনিটিতে আরও অনেক মূল্যবান আলোচনা তৈরি করবে। চালিয়ে যান!