অকুতোভয় সৈনিক (চতুর্থ পর্ব)

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


তবে এই প্রস্তুতি গ্রামে থেকে সম্ভব না। সেই কারণে রিশাদের বাবা-মা তাকে শহরে কোচিং করতে পাঠায়। কিন্তু সারাজীবন হ্রামে থেকে অভ্যস্ত রিশাদের শহরে গিয়ে থাকতে খুব খারাপ লাগে। প্রথম প্রথম তো সে রীতিমতো কান্নাকাটি করতো। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে মেসের অন্যদের সাথে সম্পর্ক হয়ে যাওয়ায় পরবর্তীতে আর সমস্যা হয় না। রিশাদ প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রায় এক দেড় ঘন্টা নানারকমের ব্যায়াম করে। তারপর সে পড়তে বসে। কোচিং পড়ালেখা আর ব্যায়াম এগুলো করে রিশাদের সময় কেটে যাচ্ছিলো। দেখতে দেখতে তার আর্মিতে পরীক্ষা দেয়ার সময় চলে আসে।

Copy of What kinds of change steemit can bring in our society_20240814_234136_0000.png

প্রস্তুতি ভালো থাকায় রিশাদের পরীক্ষাও ভালো হয়। পরীক্ষায় সে মেধা তালিকায় থেকে আর্মির অফিসার হিসেবে নিয়োগ পায়। রিশাদ আর্মিতে চাকরি পাওয়ায় রিশাদের বাবা-মা সহ এলাকার লোকজন দারুন খুশি হয়। তারা সবাই বলাবলি করতে থাকে রিশাদ একসময় তাদের এলাকার নাম অনেক উজ্জ্বল করবে। এলাকায়ও রিশাদের বেশ সুনাম রয়েছে। কারণ সে শুধু পড়ালেখা আর খেলাধুলায় ভালো না। তার আচার-আচরণ ও খুব ভালো।

এই কারণে এলাকার সকলেই তাকে পছন্দ করে। যাই হোক আর্মিতে চাকরি পাওয়ার পরে শুরু হয় রিশাদের ট্রেনিং পিরিয়ড। আর্মিতে ট্রেনিং যে অনেক কঠিন হয় রিশাদ সেটা আগেই শুনেছিলো। কিন্তু ট্রেনিং করতে গিয়ে বুঝতে পারলো শোনা কথার সাথে বাস্তব অভিজ্ঞতার পার্থক্য অনেক। যতোটা শুনে ছিলো ট্রেনিং তার থেকেও অনেক কঠিন। রিশাদের শুধু মনে হোতো কবে যে এই ট্রেনিং শেষ হবে। শেষ পর্যন্ত ট্রেনিং টাও সে দক্ষতার সাথে শেষ করে। আগে থেকে খেলাধুলা করার কারণে রিশাদের শারীরিক ফিটনেস ছিলো অনেক ভালো। তাই সে বেশিরভাগ ছেলেদের থেকে ভালো করে। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




ধন্যবাদ