বহুকাল পরে জীবনের গল্প
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
জানিনা এই পোস্টটি আপনাদের সাথে কখন শেয়ার করতে পারবো কিংবা কখন শেয়ার করা হবে। কিন্তু আমি যখন এই পোস্টটি লিখছি। অর্থাৎ এখন আসলে দুর্গাপূজার বন্ধ চলছে ইউনিভার্সিটিতে। তো মোটামুটি বলা চলে বেশ ভালো একটি সময় কাটাচ্ছি। অর্থাৎ ছুটি থাকলে যা হয় আর কি।
যাইহোক ছুটিটা তবে খুব একটা আহামরি ভালো যে কাটাতে পারছি তা নয়। কারণ হলো, ছুটিতে অনেকগুলো অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে রেখেছে। অর্থাৎ প্রায় প্রতিটি কোর্স এর প্রত্যেকদিন অনেকগুলো অ্যাসাইনমেন্ট করতে হচ্ছে। এখন মূল ব্যাপার হলো, এসাইনমেন্ট করতে করতে আসলে কিছুটা বোরিং লাগছে। তার কারণ হলো অ্যাসাইনমেন্ট এ আসলে ক্রিয়েটিভিটি দেখানোর কোনো জায়গা নেই। অর্থাৎ কিছু জিনিস দেখে দেখে লেখা তো এটা সত্যিই অনেক বোরিং। তো সে কারণেই আসলে আমি গতকাল রাতে কেনো যেনো হুট করে জীবনের গল্প শুনছিলাম।
যারা বাংলাদেশে রয়েছেন উনারা হয়তো এটার সাথে খুব পরিচিত। অর্থাৎ বেশ অনেক বছর আগে আরজে কিবরিয়ার একটি শো চলতো জীবনের গল্প নামে। সেখানে আসলে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ আসতো তাদের জীবনের ভয়ংকর সব ঘটনা নিয়ে এবং এটাই তুলে ধরার চেষ্টা করতো যে, প্রতিটি দোষের পেছনে একটি কারণ রয়েছে। প্রতিটি দোষী শুধুমাত্র নিজেদের দোষে দোষী হয়ে উঠে না। চারপাশের অনেক কিছুর জন্য তার অপরাধটা সে করতে বাধ্য হয়।
যখন জীবনের গল্প শুনছিলাম। তখন অদ্ভুত এখন অনুভূতি হচ্ছিলো। কারণ ফিরে গিয়েছিলাম সেই ছোটবেলায়। যে ছোটবেলায় নতুন নতুন সব কিছু বুঝতে শিখেছিলাম। অর্থাৎ বোধহয় ক্লাস এইট নাইনে উঠেছি। সবকিছু বুঝতে শিখেছি। জীবনের গল্প গুলো বুঝতে শিখেছি। জীবনের বিভিন্ন মোড় বুঝতে শিখেছে। অর্থাৎ বহু আগে শুনতাম তো তখনকার ফিলিংস কাজ করছিলো। তখনকার ব্যাপার গুলো মনে পরছিলো। অর্থাৎ একেবারে অন্যরকম এক অনুভূতি। আমি জানিনা আপনারা কেউ জীবনের গল্প শুনতেন কিনা। কিন্তু আমি ছোটবেলায় অনেক জীবনের গল্প শুনতাম। অর্থাৎ যখন নোট করতাম তখন। কারণ আমার রাত জেগে নোট করার একটি অভ্যাস ছিলো। যাইহোক, অনেকদিন পর আসলে জীবনের গল্প শুনে ভালো লাগলো। অর্থাৎ অনেকদিন পর না অনেক বছর পরে।