নিজেই সেই ফাঁদে এখন!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে এমন একজন মানুষের কথা বলবো, যে আমার জীবনে খুব মূল্যবান একজন মানুষ ছিলো। অর্থাৎ আমাদের জীবনে কিন্তু এমন কিছু কিছু মানুষ রয়েছে। যাদেরকে আমরা আমাদের নিজেদের জীবন থেকেও বেশি ভালোবাসি। কিন্তু সেটা একদিনেই হয়ে যায় না। অর্থাৎ একদিন এই আমরা কোনো মানুষকে নিজের চেয়েও বেশি ভালোবেসে ফেলতে পারি না। কাউকে যদি নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসতে হয়। তবে তার জন্য অনেক বেশি সময়ের দরকার হয়।
কিন্তু আমার জীবনে এমন একজন মানুষ ছিলো। যে আসলে এসেছিলোবতার খুব দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে এবং তার খুব খারাপ পরিস্থিতি নিয়ে। সে আমার কাছে এসেছিলো ডিপ্রেশন নামক ভয়ঙ্কর ব্যাধি নিয়ে। যে ব্যাধি একটি মানুষকে মৃত্যুর দুয়ার অব্দি পৌঁছে দিতে পারে। আমি সেই মৃত্যুর দুয়ার থেকে যখন তাকে টেনে তুলছিলাম। তার শেষ পর্যায়ে অর্থাৎ সেই মানুষটি যখন হেসে খেলে নিজের জীবন পার করতে লাগলো। তখন আমি তিক্ত সত্যতার সম্মুখীন হলাম।
সেটা হলো, সেই মানুষটিকে ওই ভয়ঙ্কর ব্যাধি থেকে তুলতে তুলতে সে নিজে ওই ভয়ঙ্কর ব্যাধি থেকে উঠার জন্য যে আমাকে ব্যবহার করেছে। সেটা আমি বুঝতেই পারিনি। অর্থাৎ সেই মানুষটি নিজের ডিপ্রেশন, নিজের খারাপ লাগা কাটিয়ে উঠেছে। কিন্তু আমাকে একটি মায়ার মধ্যে বেঁধে ফেলেছে। যেই মায়া আমাকে বর্তমানে সেই একই মরণ ব্যাধির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কারণ ওই যে একটা মানুষ আসলে কথা বলে যে, মানুষ যদি কোনো পোষা প্রাণী ঘরে রাখে। তবে তার প্রতিও মায়া পরে যায়। আর এখানে তো সে মানুষ। আর কোনো মানুষ যখন আসলে মায়া কাটিয়ে চলে যেতে চায়। তখন ওই মানুষটির অর্থাৎ যে মায়ায় পরে, সে মানুষটির কি করুণ দুর্দশা হয়। সেটা হয়তো আমরা সকলেই জানি। তাই দিনশেষ এ যে নিজেই সেই ফাঁদে পরে গিয়েছি। আসলে হয়তো কিছুই করার নেই, এটাই বাস্তবতা।