আজকে আমি আপনাদের সামনে একটা ভিন্ন ধরনের চিত্র নিয়ে হাজির হয়েছি।চাঁদ আমরা প্রায় সবাই পছন্দ করি।চাঁদ হচ্ছে সৌন্দর্যের প্রতীক হিসাবে ধরি অনেকেই।অনেকে তার প্রেমিকাকে চাঁদের সাথে তুলনা করে ।অনেকেই আবার মজার ছলে ভালোবাসা পরীক্ষার কথা বলে যে, আমার জন্য চাঁদ এনে দিতে পারবে?চাঁদকে নিয়ে অনেক কবি সুন্দর সুন্দর কবিতাও লিখেছেন।তাই ভবলাম কেননা আপনাদের সামনে রুপকথার চাঁদের আলোয় গ্রামের প্রকৃতি কেমন দেখতে হয় তুলে ধরি।আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। যাইহোক কথা বলতে বলতে চলুন দেখে নেই রুপকথার চাঁদের আলোয় গ্রামের প্রকৃতি কিভাবে আঁকি।
১. কার্টিজ পেপার।
২. 6b পেন্সিল।
৩. জল রং।
৪.তুলি।
৫.মার্কার পেন।
প্রথমে পেন্সিল দিয়ে চাঁদ,নদী, মাঠ সব আঁকিয়ে নিব।এর পর আকাশী রঙ দিয়ে আকাশের চাঁদের রঙ করে নিব।
এবার নীল
রঙ দিয়ে আকাশের বাকি অংশ আঁকাব। এবং শেষ এর দিকে চাঁদের আলো কম পরেছে বুঝাতে একদম গাঢ় নীল রঙ দিব।নদীতে আকাশের পুরো রঙের ছায়া পরেছে বুঝাতে একই ভাবে প্রথমে আকাশী তার পর নীল তার পর গাঢ় নীল দিয়ে ধাপে ধাপে আঁকিয়ে নিব।
এখন মাঠ,ঘাট সব রঙ করে নিবো হাল্কা বেগুনি, হলুদ এবং খয়েরী রঙ দিয়ে।
কালো রঙ দিয়ে এখন সব বর্ডার দিয়ে নিবো। দূরের গাছ,তালগাছ সব কালো রঙ দিয়েই আঁকিয়ে নিব । নদীতে ছায়া পরেছে বুঝাতে একই জিনিসগুলো আঁকিয়ে নিব।নদীতে শুকনা ডাল যুক্ত গাছ আছে এবং গাছের ছায়া নদীতে পারেছে এমন বুজাতে আঁকাব কালো রঙ দিয়ে।
এবার নদীতে নৌকা,নৌকার ছায়া এবং দাড় সব আঁকাব এই কালো রঙ দিয়েই।
২ টা বাড়ি আঁকিয়ে নিব। বাড়ির উপর এর গাছ আঁকিয়ে নিব হাল্কা সাদা আর সবুজ আর কালো মিশিয়ে যেন চাঁদের আলোয় সব আলোকিত হচ্ছে বুঝায়।নৌকার ভিতরে চাঁদের আলো পরেছে বুঝাতে হাল্কা বাদামী রঙ দিয়ে নিব যেন নৌকা আসলে বাদামী রঙের এমন দেখায়।
এবার নদীতে সাদা রঙ দিয়ে ঢেউ বুঝাতে সাদা রঙ দিয়ে ঢেউ আঁকাব। ঘরগুলোর পাশে বাঁশের বেড়া আছে বুঝাতে কালো রঙ দিয়ে আঁকাব। নদীর অপর পাশের মাটিতে কালো পেন দিয়ে পাথর আঁকিয়ে নিব
কয়েকটি। এইভাবেই তৈরি হলো আমার রুপকথার চাঁদের আলোয় আলোকিত গ্রাম।সবার শেষে নিজের সাইন দিয়ে নিলাম।
এতক্ষণ আমার পোষ্ট মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজ এখানেই শেষ করছি আবার অন্য কোনদিন নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের সামনে উন্মোচিত হব। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
ধন্যবাদ সকলকে✨💖
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi note 9 |
ক্যামেরা.মডেল | note9 |
ধরন | আর্ট🖼️। |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ। |
আমি শেলি। আমি বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুরে খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে সি এস ই তে অধ্যায়নরত আছি। ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকতে ভালোবাসি। নতুন কিছু শিখতে এবং জানতে ভালোলাগে।ঘুরতে আর খেতে খুব ভালোবাসি।অবসর সময় পেলেই ছবি আঁকি। এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে। 🌼💖🌼 |
👉সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।
আপনার আর্ট সত্যিই অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনি কিন্তু খুবই ভালো পেইন্টিং করেন। রংয়ের ব্যবহার যেমন সুন্দর হয়েছে তেমনি চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। অনেক ভালো লাগলো আপনার আর্ট দেখে।
ধন্যবাদ আপু প্রশংসামূলক মন্তব্য করার জন্য।
https://x.com/JannatulF57996/status/1855870891126894602?t=kTFZSEjA5-imoaWoEiupyw&s=19
আপনার পেইন্টিং এর দক্ষতা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অসাধারণ পেইন্টিং করেন আপনি। চাঁদের আলো খুব সুন্দর ভাবে পুরো গ্রামটাকে আলোকিত করেছে। খুবই ভালো লাগলো আপনার আজকের পেইন্টিংটা দেখে। প্রত্যেকটা কালার কম্বিনেশন একদম পারফেক্টলি করেছেন। মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপনার এই পেইন্টিং দেখে।
আমি শুধু ভালোভাবে করার চেষ্টা করেছি মাত্র। ধন্যবাদ আপু।
পেইন্টিংটি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কি অসাধারণ ভাবে পেইন্টিংটি করেছেন। একেবারে রূপকথার সেই চাঁদের আলোয় আলোকিত গ্রাম। এত সুন্দর রাতের গ্রামের দৃশ্য এঁকেছেন দক্ষতার প্রশংসা না করে আর পারছি না। সুন্দর দৃশ্যটি অংকনের প্রত্যেকটি ধাপ আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
এক কথায় অসাধারণ হয়েছে আপু। আপনার করা পেন্টিং টি দেখে আমি চোখ সরাতে পারছি না এতটাই মনমুগ্ধকর হয়েছে। পেইন্টিংটি করার ধাপ গুলি ও কিন্তু খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। এটাও সত্য বলেছেন এই চাদ কে নিয়েই অনেক কবি আবার অনেক লেখাও প্রকাশ করেছেন। চাঁদের আলোয় আলোকিত চমৎকার একটি গ্রামের পেইন্টিং আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া অনেক কবি এই চাঁদ নিয়ে কবিতা লিখে গেছেন অনেকে আবার উপন্যাস রচনা করেছেন। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
আপনি অসাধারণ পেন্টিং করেন। আগেও বলেছি আবারো বলছি। আপনার পেইন্টিং দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকি। অনেক অনেক মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম।
ধন্যবাদ আপু।
অসাধারণভাবে জলরঙের মাধ্যমে ছবিটি ফুটিয়ে তুললেন। চাঁদের জ্যোৎস্নার যে রং আপনি এঁকেছেন তা এক কথায় অসাধারণ। ছবিটির দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে সত্যিই মনে হচ্ছে এক পূর্ণিমার সন্ধ্যায় বসে আছি নদীর ধারে। অসাধারণ একটি ছবি এঁকে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অসাধারণ আর চোখ ধাঁধানো একটা আর্ট করেছেন। আর্ট আমার খুবই পছন্দের। একটা সময় ছিল যখন আমার বাংলা ব্লগে আর্টের ছড়াছড়ি লেগে যেত। কিন্তু এখন তেমন আর্ট করাই হয়ে ওঠেনা। বাবুর জন্য কোন কাজ করতে গেলে হিমশিম খেয়ে যাই।যাইহোক আপনি এত সুন্দর একটা দৃশ্য উপস্থাপন করেছেন দেখেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
আপনি মুগ্ধ হয়েছেন শুনে ভালো লাগলো।