ছোটবেলার মজার দুষ্টুমি
আসসালামুআলাইকুম/আদাব🤝
বর্তমানে বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলায় অবস্থান করছি ।
আজকে আমি আপনাদের সামনে সুন্দর ছোটবেলাড় গল্প ন্যে আসলাম।আসা করছি আপনাদের বেশ মজার লাগবে গল্পটি।চলুন একটু ছোট বেলায় ফিরে যায় আমার সাথে। শৈশবের দিনগুলো আসলেই অন্যরকম ছিল। সারা দিন দৌড়ঝাঁপ, খেলাধুলা, হই-হুল্লোড়ে কেটে যেত সময়। তখন জীবনে না ছিল পড়াশোনার চাপ, না ছিল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চিন্তা—সেই সময়টুকু ছিল একেবারে নির্ভার আর আনন্দে ভরা। সন্ধ্যা নামলেই মায়ের হাতের গরম ভাত খেয়ে তৃপ্তির ঘুম, যেন পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জীবন।কিন্তু ছোটবেলা মানেই তো দুষ্টুমি। সেই দুষ্টুমির ভেতরেই লুকিয়ে আছে কত হাসি-কান্না আর স্মৃতি। এমনই এক স্মৃতি আজ আমি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই।আমরা তখন তিন বান্ধবী স্কুলে একসঙ্গে যেতাম। স্কুলের পথে একটা বড় আমগাছ ছিল, যেটা সবসময় আমাদের নজর কাড়ত। গাছে ঝুলত অনেকগুলো টসটসে পাকা আম। আহ্, সেই আমগুলো দেখলেই মুখে পানি চলে আসত। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার, গাছটার মালিক ছিল ভীষণ কৃপণ আর রাগী বুড়ি। ওনার নিয়ম ছিল—কাউকে কোনোমতেই আম খেতে দেবেন না। আমরা যদি সুন্দর করে গিয়ে চাইতামও, উনি দূর থেকে হাত নেড়ে তাড়িয়ে দিতেন।এমনটা চলতে চলতেই একদিন আমাদের মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি এল। আমরা তিন বান্ধবী ঠিক করলাম—যা হোক, আজ না হয় একটু অ্যাডভেঞ্চার করা যাক। আমগাছে গোপনে হানা দিয়ে কিছু আম চুরি করব।পরের দিন পরিকল্পনা মতো সন্ধ্যার সময় আমরা বাড়ি থেকে বের হলাম। সবাইকে বললাম, টিউশনে যাচ্ছি। কিন্তু আসলে আমরা চুপি চুপি রওনা দিলাম সেই আমগাছের দিকে। গাছটার নিচে গিয়ে একে অপরের চোখের দিকে তাকালাম—সবাই ভয় পেয়েছি, তবুও মনে দুষ্টু উত্তেজনা। কিছুক্ষণ টানাটানি করে অবশেষে কয়েকটা সাদা টসটসে আম পেড়ে ফেলতে সক্ষম হলাম।আমরা তখন আনন্দে হেসে খুন, ঠিক সেই সময় আচমকা দেখি—একজন সাদা শাড়ি পরা বুড়ি আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে! গা শিউরে উঠল। সন্ধ্যার অন্ধকারে দূর থেকে মনে হচ্ছিল যেন কোনো ভূত এসে হাজির হয়েছে। আমরা তো ভয়ে হাউমাউ করে দৌড় শুরু করলাম। যতটা পারি ততটা দৌড়াচ্ছি, মনে হচ্ছিল জীবন বাঁচানোই এখন আসল কাজ।কিন্তু হায়! আমাদের এক বান্ধবী দৌড়াতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে আমরা দু’জন মিলে তাকে টেনে তুললাম আর প্রাণপণে দৌড়াতে লাগলাম। অবশেষে কোনো রকমে ঘরে ফিরতে পারলাম।পরের দিন স্কুলে গিয়ে আমরা জানলাম—ওই "ভূত" আসলে আর কেউ নয়, সেই রাগী বুড়িই ছিলেন! উনি নাকি আমাদের পরিকল্পনা টের পেয়ে গিয়েছিলেন আর আমাদের ভয় দেখানোর জন্যই সাদা শাড়ি পরে হাজির হয়েছিলেন। আমরা যে ভয় পেয়েছিলাম, তা বলে বোঝানো যাবে না। এতটাই ভয় পেয়েছিল আমাদের এক বান্ধবী যে সাত দিন ধরে জ্বরে কাবু ছিল।এখন ভাবলে হাসি পায়, কিন্তু তখন সেই ঘটনার উত্তেজনা আর ভয়ের কোনো সীমা ছিল না। ছোটবেলার এই ঘটনাটা আজও মনে পড়লেই বুক ভরে যায় আনন্দে—কারণ ওই দিনগুলোই ছিল জীবনের সবচেয়ে রঙিন দিন।
Posted using SteemX
এতক্ষণ আমার পোষ্ট মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজ এখানেই শেষ করছি, অন্য কোনদিন নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের সামনে উন্মোচিত হব। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
ধন্যবাদ সকলকে✨💖
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi note 9 |
---|---|
ক্যামেরা.মডেল | note9 |
কভার ফটো | ক্যানভা। |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ। |
আমার পরিচয়
আমি শেলি। আমি বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুরে খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে সি এস ই তে অধ্যায়নরত আছি। ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকতে ভালোবাসি। নতুন কিছু শিখতে এবং জানতে ভালোলাগে।ঘুরতে আর খেতে খুব ভালোবাসি।অবসর সময় পেলেই ছবি আঁকি। এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে। 🌼💖🌼 |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
🎉 Congratulations!
Your post has been manually upvoted by the SteemX Team! 🚀
SteemX is a modern, user-friendly and powerful platform built for the Steem ecosystem.
🔗 Visit us: www.steemx.org
✅ Support our work — Vote for our witness: bountyking5
https://x.com/JannatulF57996/status/1957120909413872069
https://x.com/JannatulF57996/status/1957122094644215882
https://x.com/JannatulF57996/status/1957122670257922073