নবরত্ন মন্দির ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি
আসসালামুআলাইকুম/আদাব🤝
বর্তমানে বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলায় অবস্থান করছি ।
খুব ছোটবেলায় এক বার এই খালামনির বিয়েতে গিয়েছিলাম। তখনো এই মন্দির দেখতে এসেছিলাম কিন্তু তখন খুব ছোট থাকায় আমার খুব একটা কিছুই মনে নেই।
সবাই রওনা দিলাম মন্দির দেখার উদ্দেশ্যে। এই মন্দিরটি রাজার আমলে রাজা ঘিয়ে ভাজা ইট দিয়ে তৈরি করেছিলেন। আগেরকার দিনে কতই না সুন্দর ছিল। অবশেষে পৌঁছে গেলাম সেই মন্দিরে। বিশাল একটা মন্দির এবং পাশে দুটো ছোট ছোট স্তম্ভ রয়েছে। ভিতরে ঢুকতেই এর সৌন্দর্য আমাকে গভীরভাবে মুগ্ধ করে। কি অপরূপ নকশা। কি নিখুঁত হাতের কাজ, তখন তো এত দক্ষ কারিগর এবং আধুনিক প্রযুক্তি ছিল না তা সত্ত্বেও কি অপরূপ স্নিগ্ধতার আঁকা এই মন্দির।
কি নিখুঁত কারু কাজ। যতই প্রশংসা করি না কেন এর সৌন্দর্যের কোন তুলনা হয় না। এবার আমার মা-বাবা, বোনেরা সহ বাকি সবাই আমরা এসেছিলাম একে একে সবাই সুন্দর সুন্দর ছবি তুললাম এই মন্দিরের সাথে।মন্দিরটি সামনে একটা বড় পুকুর রয়েছে। পুকুরে নাকি আগে একটা নৌকা বাধা থাকতো এখন অবশ্য নেই।
একটু পরে সবাই ফিরে আসার জন্য রওনা হলাম। ফেরার সময় দেখি সাইনবোর্ডে মন্দিরের সম্পর্কে সবকিছু লেখা। অতঃপর আমরা সবাই খালামনির বাসায় আসলাম।তারপর এখন নিজেদের বাড়ি ফেরার পালা। সবাই একত্রে যার যার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। দিনটা বেশ আনন্দে কেটেছে আমার। পুরাতন পোড়ামাটির মন্দির দেখে মনটা অনেক ভালো হয়ে গেল। প্রাগৈতিহাসিক এসব নিদর্শন দেখতে আসলেই ভালো লাগে। ইতিহাস সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়।
এতক্ষণ আমার পোষ্ট মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজ এখানেই শেষ করছি আবার অন্য কোনদিন নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের সামনে উন্মোচিত হব। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
ধন্যবাদ সকলকে✨💖
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi note 9 |
---|---|
ক্যামেরা.মডেল | note9 |
কভার ফটো | ক্যানভা অ্যাপ। |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ। |
আমার পরিচয়
আমি শেলি। আমি বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুরে খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে সি এস ই তে অধ্যায়নরত আছি। ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকতে ভালোবাসি। নতুন কিছু শিখতে এবং জানতে ভালোলাগে।ঘুরতে আর খেতে খুব ভালোবাসি।অবসর সময় পেলেই ছবি আঁকি। এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে। 🌼💖🌼 |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আগের কিছু মন্দির অথবা জমিদার শ্রেণীর মানুষের বাসা এত সুন্দর ভাবে নির্মাণ করা হতো যেগুলো দেখলে খুবই ভালো লাগতো। তুই সেভাবে আপনি আজকে একটা সুন্দর স্থান করেছেন এবং সেই জায়গার পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। অনেক কিছু জানতে পেরেছি আপনার এই ব্লগের মাধ্যমে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
X-promotion
নামে কাজে জমিদার তাই তো ঘিরে ভাজা ইট দিয়ে এই প্রাসাদের ইট ভেজেছিল। আসলে আগের দিনে রাজা জমিদারের অনেক সুন্দর সুন্দর অকল্পনীয় কাহিনি আমরা জানতে পারি ইতিহাসের মাধ্যমে।বেশ ভালো লাগলো নবরত্ন মন্দির টি ও গল্প পড়ে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর গল্পটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনার এরকম মন্তব্য আমাকে উৎসাহ দেয়।
ঘোরাঘুরি করতে আমাদের সকলেরই ভালো লাগে। ঘুরাঘুরি করার মধ্যে একটি আলাদা আনন্দ থাকে যা আজকে আপনি আমাদের মাঝে আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন৷ যেভাবে আপনি এই সুন্দর স্থানে ভ্রমণ করেছেন এবং এখানকার সব কিছু ফটোগ্রাফি সহ বর্ণনার মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা পড়ে খুব ভালোই লাগছে৷ অনেক ধন্যবাদ আজকের সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷