আজকে আমি আপনাদের সামনে একটা অন্যরকম পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমরা যারা মধ্যবিত্ত তারা বিষয়টা ভালোভাবে বুঝতে পারব। আজকে আমি মূলত কথা বলবো যার মধ্যবিত্ত তারা এবং তাদের বিষয় নিয়ে। মধ্যবিত্ত জীবনের দুঃখের শেষ নেই। নিম্নবিত্ত মানুষের খুব একটা চাহিদা না হওয়ায় অল্প কিছুর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে এবং সুখেই থাকে মোটকথা। আর উচ্চবিত্তদের তো চাহিদার শেষ নেই পূর্ণতা আরো শেষ নেই। আমরা যারা মধ্যবিত্ত আর একটা নির্দিষ্ট গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকে। তার পরে পড়াশোনার জন্য শহরে থাকেন তারা বিষয়টা আরো ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন আশা করি। গ্রামে সবকিছু ছেড়ে শহরে আসা হয় ভালো পড়াশোনার উদ্দেশ্যে। বর্তমানে দ্রব্যমূলের যে উর্ধ্বগতি তাতে বেতনের পরিমাণ না বাড়লেও চাহিদা এবং খরচের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। মধ্যবিত্ত ফ্যামিলিতে সাধারণত আয়ের উৎস থাকে একজন কিন্তু ব্যায়ের উৎস থাকে অনেক। আমরা তিন বোন, দীর্ঘদিন আমরা একটা দুই রুমের বাসায় থাকতাম এখনো থাকি বলা চলে। কিন্তু বর্তমানে তিন বোন বড় হয়ে যাওয়ায়, দুই রুমে এখন খুব কষ্টই হয়ে যায়। তাই বাসা পাল্টানোর চিন্তা করি এবং সেই সূত্রে বেশ কয়েকদিন হল বিকেলের দিকে শহরে খুঁজতে থাকি।মধ্যবিত্ত পরিবারের সবথেকে বড় ঝামেলা হচ্ছে মন মত বাসা না পাওয়া। আমরা নিজেদের বাসা বানিয়েও থাকতে পারিনা কারন আমরা মধ্যবিত্ত। অন্যের বাসায় ভাড়া নিয়ে আমাদের থাকতে হয়। বাসা ভাড়া, আমাদের পড়ার খরচ সব দিয়ে আমরা এমন বাসা খুঁজি যেটার ভাড়া হবে সাধ্যমত আবার বাসা হবে সুন্দর পরিপার্টি। কিন্তু এরকম মনমতো বাসা পাওয়া যায় না। আজকে সন্ধ্যায় বের হয়েছিলাম বাসা দেখতে।

---

বাসা থেকে বের হতে প্রথমে দেখলাম রাস্তায় ফুলের দোকান। সামনে যেহেতু পহেলা ফাল্গুন এবং ১৪ই ফেব্রুয়ারি তাই রাস্তায় রাস্তায় ফুলের সমাহার। আমরা মেইন শহর এলাকায় আগে খুঁজে দেখলাম। কিন্তু দুঃখের কথা কি বলব একটা বাসা পছন্দ হলেও বাজেটে মিলেনা। আবার অন্য জায়গায় বাসা পছন্দ হয় না। দেখতে দেখতে রাত নেমে আসলো।

অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করে মন মতো বাসা না পেয়ে খুদা লেগে গেছিল। পরে পাশের একটা মার্কেটে ঢুকলাম

---

দোকানে ঢুকতে দেখলাম অনেক চকলেট বিদেশি সাথে সাথে দেশি অনেক ধরনের চকলেট রয়েছে। দুইটা চকলেট কিনে নিলাম। আবার সামনের দিকে চলে গেলাম।

তারপর সামনে ফ্রিজে অনেক আইসক্রিম দেখতে পেলাম। আজ প্রেম চকলেট মেয়েদের জন্য অন্যরকম বিষয়। আমরা আইসক্রিম আর চকলেট পেলে সব ভুলে যাই। আইসক্রিম কিনে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম আজও মন মত বাসা পেলাম না। কবে যে মন মত বাসা খুজে পাব তাও জানিনা কারণ আমরা মধ্যবিত্ত। আমাদের সবকিছু বিবেচনা করে হিসাব করে চলতে হয়। যাই হোক আজ এখানেই শেষ করছি।

এতক্ষণ আমার পোষ্ট মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। অন্য কোনদিন নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের সামনে উন্মোচিত হব। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

ধন্যবাদ সকলকে✨💖

ফোনের বিবরণ

ক্যামেরা	Redmi note 9
ক্যামেরা.মডেল	note9
কভার ফটো	ক্যানভা অ্যাপ।
অবস্থান	সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ।

আমার পরিচয়

আমি শেলি। আমি বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুরে খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে সি এস ই তে অধ্যায়নরত আছি। ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকতে ভালোবাসি। নতুন কিছু শিখতে এবং জানতে ভালোলাগে।ঘুরতে আর খেতে খুব ভালোবাসি।অবসর সময় পেলেই ছবি আঁকি। এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে। 🌼💖🌼

👉সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।