আসসালামুআলাইকুম/আদাব
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভাল আছি। আমি @srshelly0399
বর্তমানে বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলায় অবস্থান করছি ।

গত ২৫শে ডিসেম্বর আমার জন্মদিন ছিল। প্রত্যেক বছর জন্মদিন আমার খুব সাধারণ দিনের মতোই কেটে যায় এবারও তাই।তবে সকাল থেকে আমার ছোট বোন বায়না করছিল কেক খাবে। তাই আমাকে কেক বানানোর জন্য বলছিল।আমার ছোট বোন হওয়ায় ওর কোন চাওয়া অপূর্ণ রাখিনি তাই এবারও রাখবো নাহ।তাকে কেক নিজ হাতে বানিয়ে খাওয়াবো যেহেতু আমার জন্মদিন। চট করে কেক বানাতে যা যা উপকরণ লাগে রেডি করে নিলাম। এবার কেক বানানোর পালা।যেহেতু কেক বানাবো তাই ভাবলাম আপনাদের মাঝেও শেয়ার করি কারণ আপনারা আমার আর একটি পরিবার।চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে আমি খুব কম উপকরণ দিয়ে কেক বানিয়েছি।আশা করছি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।চলুন শুরু করি-

উপাদান | পরিমাণ |
১) ডিম | দুইটা। |
২)চিনি | পরিমাণ মতো। |
৩) ময়দা | এক কাপ। |
৪) ভ্যানিলা এসেন্স | এক চামচ। |
৫) বেকিং পাউডার | এক টেবিল চামচ। |

- প্রথমে ডিম দুটি ভেংগে কুসুম আলাদা করে নিয়ে ফেটে নিব ভালো করে। তারপর কুসুম এবং পরিমাণমতো চিনি দিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে নিব যেন দানা না থাকে।

- ময়দাগুলো ভালোকরে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিব।

- এবার ময়দা ডিম এবং চিনির মিশ্রণ এর ভিতর ঢেলে নিব।ভালো করে মিশিয়ে নিব সব কিছু।

- এখন এক চামচ বেকিং পাউডার দিয়ে নিব মিশ্রণের ভিতর দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিব।
- এবার সামান্য তেল এবং ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে মিশ্রণ ভালো করে মিশিয়ে নিব।

- এবার একটা বাটি নিয়ে বাটির নিচে সাদা কাগজ দিয়ে ভালো করে তেল ব্রাশ করে নিব। তারপর সেই মিশ্রণকে বাটিতে ঢেলে দিব।

- সর্বশেষ বাটিকে ওভেন এর ভিতর দিয়ে দিব।১৬০° তে রেখে ২০ মিনিট সময় সেট করে তাপমাত্রা উভয় মানে উপরে এবং নিচে গরম হবে এভাবে সেট করে দিলেই কেক হয়ে যাবে।আমার কেকটা যেহেতু ২ ডিমের তাই কম ফুলেছে আপনারা চাইলে ৪/৬ টা ডিম দিয়েও বানাতে পারবেন। আমার কেকটা ভালোই হয়েছিল।আমার ছোট বোন বেশ মজা করে খেয়েছে।
এতক্ষণ আমার পোষ্ট মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজ এখানেই শেষ করছি আবার অন্য কোনদিন নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের সামনে উন্মোচিত হব। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

ধন্যবাদ সকলকে✨💖


ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi note 9 |
ধরণ | রেসিপি🥙। |
ক্যামেরা.মডেল | note9 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ |


আমার পরিচয়
আমি শেলি। আমি বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুরে খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে সি এস ই তে অধ্যায়নরত আছি। ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকতে ভালোবাসি। নতুন কিছু শিখতে এবং জানতে ভালোলাগে।ঘুরতে আর খেতে খুব ভালোবাসি।অবসর সময় পেলেই ছবি আঁকি। এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে। 🌼💖🌼 |
👉সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।
প্রথমে আপনার জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল এবং নিজের হাতে বানানো কেক আপনি নিয়ে অনেক আনন্দ করেছেন, কেকের পরিবেশনটি থেকে ভালো লাগলো।
আপনার ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগলো।
X-promotion
আপনার নিজের জন্মদিনে নিজের হাতে কেক তৈরি করেছেন, দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। আপনার তৈরি করা কেক টি অসাধারণ হয়েছে আপু। আসলে যে কোন ধরনের জিনিস নিজে তৈরি করে খাওয়ার মতো আনন্দ আর কোথাও নেই। আপনার তৈরি করা কেক টি অসাধারণ হয়েছে আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া আসলে নিজে কোন জিনিস তৈরি করে খাওয়ার মত আনন্দ আর কোথাও নেই।
প্রথমেই আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই।
আসলে একটা সময় পরে জন্মদিন গুলো খুব সাধারণভাবে কেটে যায়। যাইহোক আপনি ছোট বোনের বায়নার জন্য কেক তৈরি করেছেন, এটাই কিন্তু অনেক বড় ব্যাপার। নিজের তৈরি কেক বেশ স্বাস্থ্যকর এবং খেতেও কিন্তু দারুন লাগে।
যাইহোক সামনের জন্মদিনটা অনেক আনন্দঘন পরিবেশে কাটুক এই কামনা করছি।
সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। আপু নিজের জন্মদিনে নিজের হাতে কেক তৈরি করেছেন দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। এ ধরনের বাড়িতে তৈরি কেক খেতে অনেক ভালো লাগে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
২৫ তারিখে আপনার জন্মদিন ছিল তাই একটু দেরিতেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। জন্মদিন উপলক্ষে চমৎকার কেক রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন বিশেষ করে ভ্যানিলা ফ্লেভার এর কারণে আমার কাছে এই কেকের রেসিপি টা বেশি লোভনীয় লাগছে। কিভাবে কেক রেসিপি তৈরি করেছেন সেটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বিষয়টা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। যেহেতু নিজের জন্মদিনে নিজের বানানো কেক দিয়ে আনন্দ করলেন। এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আসলে আপু নিজের হাতে কেক তৈরি করার মজাই আলাদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.