সরস্বতীপূজার কিছু মুহুর্ত
"সরস্বতী" সনাতন ধর্মের বিদ্যার দেবী। তাকে বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী হিসেবে আরাধনা করা হয়। দশম মহাবিদ্যার মাতজ্ঞী দেবী সরস্বতী। দেবী সরস্বতীকে "বাগদেবী" (বাক অর্থ স্বর বা কন্ঠ) ও বলা হয়। তিনি জগতের সকল জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী। তাই যারা জ্ঞানের আরাধনা করেন তাদের অবশ্যই দেবী সরস্বতীর আরাধনা করতেই হয়।
গতকাল ছিল সরস্বতী পুজা। একজন ছাত্র-শিক্ষক হিসেবে পুজায় অংশগ্রহণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। আমার পরিকল্পনা ছিল এবার বাসা তেই পুজা করার, কিন্তু কিছু কারনে তা আর সম্ভব হয়ে ওঠল না৷ তাই চিন্তায় পড়ে গেলাম অঞ্জলি কোথায় দেওয়া যায়? কিন্তু কথায় আছেনা,যে খায় চিনি,তাকে যোগায় চিন্তামনি।
পরিচিত একজন কাকা নিমন্ত্রণ দিল। আমি জেনে নিলাম অঞ্জলি কখন হবে। জেনে তো আমার অবস্থা খারাপ। কারন অঞ্জলি হবে সকাল সাতটায়। এখন অত সকালে অঞ্জলি দিতে গেলে স্নান করতে হবে,আর এত সকালে এই ঠান্ডার ভেতর স্নান করা মোটেই সহজ ব্যপার না। যাই হোক সিদ্ধান্ত নিলাম এখানেই দিতে হবে। একটু যদি কষ্ট না করি তাইলে আশীর্বাদ পাব কিভাবে।
গতকাল সকালে উঠে স্নান সেরে নিলাম।এর মাঝেই কাকা ফোন করে বলল পুজা শুরু হয়ে গেছে। আমি হন্তদন্ত হয়ে বের হলাম।বের হয়ে দেখি বাইরে প্রচন্ড কুয়াশা,এর মাঝেই কাপতে কাপতে রওনা দিলাম। কুয়াশার কারনে একটু দুরের জিনিস ও দেখা যাচ্ছিল না।
গিয়ে প্রণাম করে বসে পড়লাম পুজার মন্ডপে। মনযোগের সাথে পুজা দেখছিলাম,একসময় পুজা শেষ হয়ে অঞ্জলির সময় চলে আসল। সবাই মিলে অঞ্জলি দিলাম। এরপর প্রসাদ খাওয়াদাওয়া।কিন্তু প্রসাদ রান্না করতে একটু দেরি হবে বলে অপেক্ষা করতে হল।
তারপর প্রসাদ খেলাম ভাই বোন মিলে।খাওয়াদেওয়া শেষে বন্ধুদের সাথে বের হলাম ঘোরাঘুরি করতে। আশেপাশে কয়েকটি মন্দিরে প্রতিমা দেখলাম।সবাই জোড়ায় জোড়ায় ঘুরছিল।আমরা সিঙ্গেল সিঙ্গেল দেখছিলাম আর জ্বলছিলাম।যাই হোক ঘোরাফেরা করে চলে আসলাম বাসায়।
OR
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Twitter link