আবারও বিয়ের দাওয়াত
চন্দন দা এসেছিল গতকাল আমাদের গ্রামের বাড়িতে। সেই অদূর শহর থেকে সে চলে এসেছিল এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে। আমি কিছুটা অবাকই হয়েছি তার এমন আগমনে। সে যে আমার এখানে আসবে, আমি তা জানতাম না।
চন্দন দা কে, এখন এমন প্রশ্ন আপনাদের মাঝে উদয় হতে পারে। আমরা শহরে থাকার সময় মূলত প্রতিনিয়ত যে দোকানে বাবু ও হীরার জন্য ব্যবহার্য কসমেটিক পণ্য কিনতাম, সেই দোকানের মালিক হল চন্দন দা।
মানুষের সঙ্গে খুব দ্রুতই সখ্য তৈরি হয়ে যায়, বয়স যে তার খুব বেশি তেমনটা না, বলতে গেলে আমার সমবয়সী। পরিবারের সকলের ব্যবস্থা করে, অবশেষে নিজের বিয়েটা করতে তার বেশ ভালই দেরি হয়ে গেল। পরিবারের যারা দায়িত্ববান ছেলে আছে, তাদের ক্ষেত্রে মনে হয় এমনটাই হয়।
ঠিক দুপুর বেলার দিকে গ্রামের বাড়িতে চলে এসেছে চন্দন দা, সে সময় তখন আমি কেবল দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছি, তখন মুহূর্তেই চন্দন দা এসে হাজির। তাকে দেখে বলেই ফেললাম, আমার ঠিকানা পেলে কিভাবে। সে তো হাসিমুখে বলেই ফেলল, ইচ্ছা থাকলে এমনিতেই উপায় হয়, তোমার শহরের বাড়ির পার্শ্ববর্তী দোকানদার মোকলেস ভাইয়ের কাছ থেকে তোমার ঠিকানা সংগ্রহ করেছিলাম অতঃপর এখানে।
হীরা ও বাবু বেশ খুশি হয়েছে চন্দন দা কে দেখে, তাকে রীতিমতো জোর করে খাবার টেবিলে বসিয়ে একত্রে দুই ভাই দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। খেতে খেতেই শুনলাম, এ মাসের শেষের দিকে তার বিয়ে। খবরটা শুনে বড্ড ভালো লাগা কাজ করছিল। বিয়ের দাওয়াত দিতেই সে এত দূর এসেছে।
মানুষের জীবনে জীবনসঙ্গী থাকা সত্যিই দরকার, কেননা জীবনসঙ্গী থাকলে জীবনটাকে আরো গুছিয়ে নেওয়া যায়। যদিও কিছুটা এক্ষেত্রে দেরি হয়ে গিয়েছে চন্দন দাদার, তবে তারপরেও আমি বলব সব কিছু সামলিয়ে নিয়ে, সে যে নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছে, এজন্য অবশ্যই তার জন্য শুভকামনা থাকবে। যেহেতু বাড়িতে এসে দাওয়াত দিয়েছে, তাই অবশ্যই তার বিয়েতে যেতেই হবে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার পোস্ট পড়েই বোঝা যাচ্ছে ভাইয়া আপনার আর ওই চন্দন দার মধ্যে কিরকম সম্পর্ক ছিল। অত্যন্ত গভীর মিল থাকলেই কেবলমাত্র খুঁজে খুঁজে মানুষ মানুষকে এভাবে বের করে।অনেকদিন পর দেখা হওয়ার পর দুই ভাই একসাথে বসে খাওয়া করেছেন এটা কিন্তু আনন্দের মুহূর্ত ছিল। অবশ্যই চেষ্টা করবেন ভাইয়া আপনার চন্দন দার বিয়েতে অ্যাটেন্ড করার জন্য। অগ্রিম শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি।
ইচ্ছে আছে ভাই চন্দন দাদার বিয়েতে যাওয়ার আর সব থেকে বড় বিষয়, আপনার মন্তব্য আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। ধন্যবাদ।
আসলে, মানুষ আপনজনকে কখনোই ভুলতে পারে না। আপনি শহরের মধ্যে না থাকা সত্ত্বেও আপনার খোঁজে গ্ৰামে চলে এসেছে আপনার চন্দন দাদা।এমন মানুষ বর্তমান সময়ে খুবই একটা বেশি পাওয়া যায় না। যাইহোক, আশা করছি আপনি আপনার প্রিয় চন্দন দাদার দাওয়াত গ্ৰহণ করবেন।
অবশ্যই ভাই, এমন দাওয়াত মিস করা যায় না।
কিছু কিছু মানুষের সাথে আমাদের এমন সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়, যেটা আত্নীয়ের সম্পর্ককেও হার মানায়। চন্দন দা এর সাথে আপনাদের সম্পর্ক আসলেই খুব ভালো। চন্দন দা এর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। আশা করি উনার বাকি জীবনটা সুখে শান্তিতে ভরে উঠবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা সত্য ভাই, কখন কার সঙ্গে কিভাবে সম্পর্ক হয়ে যায়, তা বলা খুব মুশকিল।
বনের যে পাখি তারও জীবনসঙ্গী থাকে। আর মানুষ নিজের এতো বড় জীবন সঙ্গী ছাড়া কীভাবে অতিবাহিত করতে পারে ভাই। চন্দন দার ডেডিকেশন টা আমার কাছে ভালো লেগেছে। ঠিক আপনার ঠিকানা বের করে চলে এসেছে বিয়ের দাওয়াত দিতে।
অনেক দায়িত্ববান ছেলে চন্দন দা, এটা একদম সত্য কথা।