বিব্রতকর অবস্থা
খুবই বিরক্তিকর অবস্থার ভিতর দিয়ে সময় যাচ্ছে,কিছু উটকো ঝামেলা হুট করেই লেগে গিয়েছে নিজের সঙ্গে। যেহেতু ধীর গতির জীবন বরাবরই ভীষণ পছন্দের, তাই হয়তো নিজেকে মানসিকভাবে স্থির করার চেষ্টা করছি ।
এখানে তেমন কারো সঙ্গে আর চলাফেরা করিনা, টুকটাক স্থানীয় ছোট ভাইদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ আর ঘোরাফেরা হয় এতোটুকুই আর কি।
গ্রামীণ জীবন বাহির থেকে দেখতে যতটা সুন্দর, তবে বাস্তবিকভাবে বলতে গেলে হয়তো এর উল্টো মতামত পোষণ করতে হবে। কেননা শহরের জীবনে যান্ত্রিকতা ছিল এটা যেমন সত্য, তবে প্রতিবেশী নিয়ে কখনো ঝামেলায় পড়তে হয় নি।বলতে গেলে, শহরের জীবনটা যার যার তার তার। কারো নিয়ে কারো মাথাব্যথা নেই।
তবে গ্রামীণ জীবনে প্রচুর মাথা ব্যাথা সবার, এখানে সবার হাতে অফুরন্ত সময়, তাই যেন একজন আরেকজনকে নিয়ে প্রচুরভাবে লেগে থাকে। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখার চেষ্টা করে কার ভিতরে কি চলছে, এক কথায় বিরক্তিকর অবস্থা।
এখানে আপনি ভালো থাকছেন-খাবেন-চলবেন-পড়বেন, এটা অন্য কেউ কোনোভাবেই মেনে নিতে পারবে না । বিশেষ করে আপনার প্রতিবেশীরা, তারা যেন জ্বলে পুড়ে ছারখার হবে আপনার এসব দেখে এবং আপনাকে কিভাবে বিপদগ্রস্ত করা যাবে, সেই পরিকল্পনা করতেই তারা সদা প্রস্তুত থাকবে ।
আর যখন কোন ভাবেই তাদের পরিকল্পনা সফল হবে না, তখন পায়ে পাড়া দিয়ে কিভাবে ঝগড়া করা যায় , তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। সত্যিই আমি ঝামেলাহীন মানুষ, তবে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হয়েছি দুদিন হচ্ছে। যদিও স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের জানিয়ে রেখেছি , আশা করি এসব ঝামেলা শীঘ্রই কেটে যাবে।
তবে এ যাত্রায় প্রতিবেশীদের যে প্রতিচ্ছবি দেখলাম, তা মনে থাকবে বহুদিন পর্যন্ত।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গ্রামের মানুষরা এরকমই হয় ভাই। ওদের হাতে অনেকটা সময় থাকে। তাই পাশের বাড়ির লোক কি করছে তা দেখার সময় অফুরন্ত। শহরে মানুষ ইনকামের পেছনে এতো বেশি ছোটে যে তদের অন্য কিছু করার সময় নেই । এসব নিয়েই চলতে হবে । কি আর করা যাবে।
কিছুতো একটা অবশ্যই করা যাবে, দেখি কি হয় সামনে।
আপনার অভিজ্ঞতা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক, তবে গ্রামের সমাজব্যবস্থার এটাই বাস্তবতা। এখানে সবার হাতে অফুরন্ত সময়, তাই অন্যের জীবন নিয়ে অতিরিক্ত কৌতূহল দেখা যায়। শহরের ব্যস্ত জীবনযাত্রায় মানুষ নিজের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকে, সেখানে এসব সমস্যা তুলনামূলক কম। তবে ধৈর্য ধরুন, সময়ের সঙ্গে সব ঠিক হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে প্রশাসনকে জানিয়েছেন, আশা করি খুব শীঘ্রই সমাধান আসবে।।
মানসিকভাবে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
গ্রামের মানুষদের কাজ-ই হচ্ছে অন্যের পিছনে লেগে থাকা। কারণ তারা প্রায় সবসময়ই অবসর সময় কাটায়। আর অলস মস্তিষ্ক হচ্ছে শয়তানের কারখানা। তারা নিজেরা কিছু করবে না এবং অন্য কেউ ভালো কিছু করুক,তারা সেটাও চায় না। যাইহোক আশা করি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে ভাই। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আছে, দেখি কি হয় সামনে ভাই।
গ্রামীণ জীবনের এই দিকটা সত্যিই হতাশাজনক। নিরিবিলি, শান্ত পরিবেশের আশায় থেকেও যদি অপ্রয়োজনীয় ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে হয়, তা খুবই কষ্টদায়ক। তবে যেহেতু প্রশাসনকে জানিয়েছেন, আশা করি শীঘ্রই সমাধান হবে। মনের শক্তি ধরে রাখুন, সব ঝামেলা একসময় কেটে যাবে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
একাবেরই ঠিক ভাইয়া । গ্রামের জীবন দেখে যতটা সুন্দর মনে হয় আসলে তা নয়। গ্রামে একজন অন্যজনের পিছনে লেগে থাকে। কেউ ভালো আছে এটা যেনো তাদের সহ্য হয় না। শহরের মানুষের সেই সময় নেই কেবলই ছুটে চলেছে জীবনের তাগিদে। অন্যের খোঁজ নেয়ারও সময় নেই।