শিকড় | নানী বাড়িতে কাটানো মুহূর্ত

in আমার বাংলা ব্লগ5 days ago

টানা দুই দিন ধরে ঠান্ডা জ্বরে ভুগছি, এর পিছনে অবশ্য বেশ কিছু কারণ আছে। এমনিতেই আবহাওয়ার পরিবর্তন, তাছাড়া দীর্ঘ অনেকটা বছর পরে মামাতো ভাই ইমু কে নিয়ে সেদিন গিয়েছিলাম নানু বাড়িতে।

শেষ যেবার নানু বাড়িতে গিয়েছিলাম, তখন নানী বেঁচে ছিলেন। তারপরে তো পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে নানী চলে গেলেন আর সেভাবে যা হয়ে ওঠেনি সেখানে। মুহূর্তেই বাড়িটা বড্ড ফাঁকা হয়ে গেল। যে মানুষটাকে কেন্দ্র করে সবাই ওই বাড়িতে যেত, সেই মানুষটাই যখন আর নেই, তখন যেন সেই বাড়ির প্রতি সবার দূরত্ব বেড়ে যেতে লাগলো।

তাছাড়া আমার তো আবার বিভিন্ন রকম ব্যস্ততা, সব মিলিয়ে জীবনের সঙ্গে অনেকটা তালগোল পাকিয়ে ফেলেছি। তাই চাইলেও আর সেভাবে সময় বের করে উঠতে পারি না। তবে গত কয়েকদিন আগে কিছুটা সময় পেয়েছিলাম, তাই ছুটে চলে গিয়েছিলাম একদম শিকড়ের কাছাকাছি।

কেউ নেই বাড়িটাতে, পুরোটাই ফাঁকা পড়ে আছে। সবাই যে যার গন্তব্যে চলে গিয়েছি, সবাই হয়ে গিয়েছে শহরমুখী। দীর্ঘ অনেকটা বছর পরে যখন সেদিন গিয়ে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম, তখন যেন মুহূর্তেই বুকের বাম পাশে কিছুটা চিনচিন ব্যথা অনুভব করছিলাম। এ ব্যথা শৈশব কে খুঁজে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা, হারানো মানুষকে ফিরে পাওয়ার আকুলতা। কাউকেই দেখানো বা বোঝানো যায় না এ ব্যাথার তীব্রতা, শুধু নিজেকেই অনুভব করতে হয়।

আগের মতো আর কোলাহল নেই, নেই বাড়ি ভর্তি লোকজনের সমাগম । তারপেরও স্থানীয় আত্মীয়-স্বজন খোঁজখবর নেওয়ার জন্য এসেছিল, তবে সেটা শুধুমাত্র আন্তরিকতার খাতিরে এর বাইরে আর কিছুই না। একটা বিষয় খুব করে ভাবলাম, কাছের মানুষের অনুপস্থিতি ঠিক তখনই ভালোভাবে বুঝতে পাওয়া যায় যখন সে থাকে না।

যাইহোক, অবশেষে দুই ভাই মিলে নিজেদের মতো করে বাড়ি-ঘর ও জমিজমার খোঁজখবর গুলো নিলাম, চেষ্টা করলাম যারা সেগুলো দেখাশোনা করছে তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। যদিও সময় স্বল্প ছিল, তারপরেও দু-ভাই মিলে দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম। চেষ্টা করেছি কিছু ফটোগ্রাফি করার জন্য, আশা করছি সেগুলো আপনাদের ভালো লাগবে।

20241121_161139-01.jpeg

20241121_160501-01.jpeg

20241121_164156-01.jpeg

20241121_164219-01.jpeg

20241121_164207-01.jpeg

20241121_160643-01.jpeg

20241121_160154-01.jpeg

20241121_160345-01.jpeg

20241121_160229-01.jpeg

20241121_160320-01.jpeg

20241121_160327.jpg

20241121_164203-01.jpeg

20241121_161036-01.jpeg

20241121_160827-01.jpeg

ডিভাইসঃ Samsung Galaxy S10
লোকেশনঃ কালিতলা-পাঠানপাড়া, কোচাশহর ইউনিয়ন
গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা ।

puss_mini_banner.png

Banner-22.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 4 days ago 

কিছু কিছু ব্যাপার একেবারে অদ্ভুত লাগে। একসময় যে বাড়িঘর গুলো তে হৈচৈ লেগেই থাকতো, সেই বাড়িগুলো একসময় নীরব হয়ে যায়। মূলত বেশিরভাগ মানুষ এখন শহুরে জীবনটা বেছে নেয় বলে এমনটা হয়ে থাকে। যাইহোক আপনার নানী বাড়িতে গিয়ে আপনারা দু'জন বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসলেই খুব ভালো লাগলো। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 4 days ago 

কিছু কিছু ব্যাপার একেবারে অদ্ভুত লাগে। একসময় যে বাড়িঘর গুলো তে হৈচৈ লেগেই থাকতো, সেই বাড়িগুলো একসময় নীরব হয়ে যায়।

একদম সত্যি কথা বলেছেন ভাই।

 4 days ago 

আমি শেষ নানী বাড়িতে গিয়েছিলাম প্রায় চার বছর আগে সেটাও এক ঘন্টার জন্য। নানা নানী কেউ না থাকলে যা হয় আর কী। তার উপর নিজের জীবন নিয়ে এতটা ব‍্যস্ততা। অনেকদিন পর গিয়ে আপনার অনেক পুরাতন দিনের স্মৃতি জাগ্রত হয়ে গিয়েছে দেখছি।

 4 days ago 

হুম ভাই, হুট করে অতীত নাড়াচাড়া দিয়ে উঠেছিল।