খুঁজে ফিরি
আজকাল পড়ন্ত বেলায় মোটরবাইকে চড়ে ঘোরাঘুরি করা অনেকটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে, যদিও ঠান্ডার প্রকোপ আগের থেকে অনেকটাই কমেছে, তাই এমন পরিবেশে ঘুরতে ভালই লাগে।
যেহেতু গ্রামীণ রাস্তা গুলো সদ্য পাকাকরণ হয়েছে, তাই অনায়াসেই অনেকটা পথ নিরিবিলি ঘুরতে তেমন খুব একটা ক্লান্তি কাজ করে না। তাছাড়া গ্রামীন পরিবেশ ও প্রকৃতি প্রতিনিয়তই ছুঁয়ে যায় আমাকে।
যে জমিগুলোতে কিছুদিন আগেও ধানের চাষ হয়েছিল, আজ তা সম্পূর্ণ ফাঁকা। আবার কোন কোন জমিতে আলু চাষ হয়েছে। বলতে গেলে, গ্রামীণ তরুণদের হাতে প্রচুর অবসর এখন।
রাস্তার পাশে অনেকটা সময় মোটরবাইক থামিয়ে, গ্রামীণ তরুণদের ক্রিকেট খেলা উপভোগ করেছি। ধানের জমির ভিতরেই তারা গোল করে খেলার মাঠ বানিয়েছে। তাতেই যেন সবাই ক্রিকেট খেলার আনন্দে মাতোয়ারা ।
সন্ধ্যের আগ মুহূর্তেই এই খেলা শেষ হয়ে যাবে, তারপরেও বিকেল বেলা থেকে তরুণদের মাঝে ক্রিকেট খেলা নিয়ে যে টানটান উত্তেজনা দেখছিলাম, তা যেন মুহূর্তেই আমার শৈশব কে কিছুটা হলেও মনে করে দিয়েছিল।
কোন এক সময় এরকম মুহূর্ত আমি নিজেও অতিবাহিত করেছি, তবে আজ তা শুধুই স্মৃতি। তাই হয়তো চলতি পথে যখনই এরকম দৃশ্য হুটহাট চোখে পড়ে, তাই হয়তো বাধ্য হয়েই দাঁড়িয়ে যাই আর শৈশব স্মৃতিকে খুঁজে ফিরি ।
শৈশবের বন্ধুরা আজ কে কোথায় আছে, তা জানিনা। তবে যারা আমার শৈশব কে রাঙিয়ে ছিল তাদের কল্যাণ হোক, এমনটাই কামনা করি।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে কিছু কিছু দৃশ্য দেখলে শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে যায়। তারা ধানের জমির ভিতরে গোল করে দারুণভাবে খেলার মাঠ বানিয়েছে। একসময় প্রায় সারাদিন ক্রিকেট খেলতাম। সত্যি বলতে এখনো ক্রিকেট খেলতে ইচ্ছে করে আমার। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমারও খেলাধুলা করতে ইচ্ছা করে ভাই, তবে বাস্তবতা বড্ড নিষ্ঠুর। সময় পাইনা আর।
আপনি খুব সুন্দর ভাবে গ্রামের পথে ঘুরে ঘুরে বেড়ান। যা দেখে খুব ভালো লাগে ভাই। শীট একটু কমেছে বলে ঘুরে বেড়াতে সমস্যাও কম হচ্ছে। আর খেলা দেখে সত্যিই শৈশবের কথা মনে পড়ে যায়। সেই সব বন্ধুদের কথা মনে পড়ে যাদের সঙ্গে রোজ খেলাধুলা করে একটা সময় খুব ভালোভাবে কেটে গেছিল।
শৈশব তা আজ শুধুই স্মৃতি, তাই হয়তো মাঝে মাঝে খুঁজে ফিরি।
কেউ হয়তো কোন জিনিস পড়ে স্বাদ পায় আবার সেটা কেউ উপলব্ধি করে স্বাদ পায়। ঠিক তেমনি আমিও আপনার পোস্ট পড়েই শৈশবের সেই সোনালী স্মৃতি স্বাদ পেলাম। ধানের জমিতে এরকম ক্রিকেট খেলার অনেক স্মৃতি আছে আমার ও।আপনার আজকের পোস্ট এর টপিক টা চমৎকার ছিল ভাই।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্যে।
ভালো লাগলো আপনার অতীত জেনে ভাই।
কতো ক্রিকেট খেলেছি। এই ক্রিকেট খেলার জন্য মায়ের হাতের মাইরও খেয়েছি বহুবার! এখন সবই স্মৃতি। মাঠ পরে থাকে কিন্তু খেলার লোক নেই! সন্ধ্যায় বাড়ির ফেরার ফিলিংসটা এ জেনারেশন বুঝে না!
জীবন বদলায় শুধু স্মৃতি থেকে যায়।
সত্যি মনোমুগ্ধকর একটি পরিবেশে আছেন আপনি। যেহেতু গ্রামের রাস্তা আবার সেখানে পাকা করা হয়েছে। চারপাশে খেলার মাঠ সবজির বাগান যেন কোন রূপপুরের গল্প। তাছাড়া সুন্দর ঝলমলে পরিবেশ। এত সুন্দর একটি জায়গায় বিকেল বেলায় হাটাহাটি করলে খুব ভালো লাগবে। আপনার দিনগুলো ভালো কাটুক সবসময় এটাই কামনা করি।
আপনার সময় গুলোও ভালো কাটুক আপু, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
আসলে ভাই নতুন বাইক নিয়ে ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা। আমি তো গ্রামে আসলে সব সময় বাইক নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াই খুব ভালো লাগে আমার কাছে। আজকেও পদ্মা নদীর চরে গিয়ে পিকনিক করে আসলাম। শৈশবের সুন্দর স্মৃতি গুলো আমাদের এখন বড্ড মনে পড়ে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনাদের পিকনিক করার ব্যাপারটা জেনে বেশ ভালো লাগলো, আপনাদের বন্ধন আরও দৃঢ় হোক এই কামনাই করি।
আপনার লেখায় গ্রামীণ পরিবেশ ও শৈশবের স্মৃতির যে চমৎকার ছবি ফুটে উঠেছে, তা সত্যিই মন ছুঁয়ে গেছে ভাইয়া। শৈশবের দিনগুলোর সরলতা আর আনন্দের মাধুর্য মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার শৈশবের বন্ধুদের জন্য শুভকামনা রইলো।
সবার শৈশবের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষ গুলোর জন্য শুভকামনা রইল।
এই খেলার কখনও শেষ হয় না ভাই। এই সন্ধ্যা প্রকৃতি তে নামে কিন্তু কিশোরদের কল্পনায় অনূভুতি তে ঠিক থেকে যায়। চমৎকার লাগল আপনার পোস্ট টা। শেষ বিকেলে গিয়ে আমিও যেন ছেলেদের ঐ ক্রিকেট খেলায় আটকে গেলাম।