সুপ্ত ইচ্ছে
মানুষের জীবনে কত ইচ্ছেই তো থাকে, কোনটা পূর্ণ হয় আবার কোনটা অপূর্ণ থেকে যায়। আমার ইচ্ছের তালিকা বড্ড স্বল্প, সেগুলোই এখনো অপূর্ণ থেকে গিয়েছে। তবে আমি বড্ড আত্মবিশ্বাসী, চেষ্টা চলছে আমার ছোট্ট ইচ্ছে গুলোকে পূর্ণ করার জন্য।
গ্রামে এসেছি প্রায় দু সপ্তাহ হচ্ছে, সমসাময়িক সময়ে এখানকার শিক্ষাব্যবস্থা কিছুটা উন্নত হয়েছে, তবে তা একদম যথেষ্ট নয়। পরিবর্তনশীল চিন্তাভাবনার মানুষ এখানে খুবই নগণ্য আবার অনেককেই দেখেছি তারা প্রচন্ড জ্ঞানপিপাসু। তবে জ্ঞান ক্ষুদা মিটানোর বই কিংবা স্থানের অভাবে তাদের সেই তৃষ্ণা অপূর্ণ থেকেই যাচ্ছে।
আমার নিজেরও জ্ঞান ক্ষুধা প্রচুর, ক্রমাগত শিখতে,জানতে এবং বুঝতে চাই। তবে এটা সত্য সময়ের অভাবে কোন কিছুই যেন, ঠিক সেভাবে করে উঠতে পারছি না। চব্বিশ ঘন্টার দিন মাত্র, নিজের কাজ আর এদিক সেদিক করতেই অনেকটা সময় শেষ হয়ে যায়, তারপরেও মনে হয় কিছু একটা করার আছে আমার ।
যেহেতু ইচ্ছে আছে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ বছরের মধ্যেই গ্রামের বাড়িতে স্থায়ী ভাবে থেকে যাব, তাই ভাবছিলাম এখানকার পরিবেশ নিজের মতো করে গড়ে তুলতে হবে। সেই চিন্তাধারা থেকেই, পাঠাগার নির্মাণের ব্যাপারটা আমাকে বেশ ভাবাচ্ছে।
প্রগতিশীল চিন্তাভাবনা ও লেখা প্রতিনিয়ত আমাকে অনুপ্রাণিত করে, তাই আমার বাল্যবন্ধুদের সঙ্গে এক প্রকার কথোপকথন করে নিলাম, মূলত ওরা দায়িত্বে আছে বিভিন্ন সরকারি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে। ওরাও আমার চিন্তাভাবনা কে বেশ সাধুবাদ জানিয়েছে, তাছাড়াও যেহেতু আমি প্রতিনিয়ত প্রগতিশীল লেখকদের বই পড়ি, তাই সেদিন অনেকগুলো বই মুহূর্তেই অর্ডার করে ফেললাম, আমার ভবিষ্যত পাঠাগারের জন্য।
সত্যিই আমার অতিরিক্ত ধন-সম্পদের প্রতি বিন্দুমাত্র লোভ-লালসা নেই, যদি লোভ-লালসার কথা বলতেই হয়, তাহলে এখন বড্ড মুখিয়ে আছি পাঠাগার নির্মাণের লালসার জন্য। এটা বাস্তবায়ন করতে পারলেই যেন আমার শান্তি মেলে।
তাতে হয়তো নিজের জ্ঞানতৃষ্ণা যেমনটা মিটবে, তেমনটা হয়তো এখানে যারা জ্ঞানপিপাসু মানুষ আছে, তাদের তৃষ্ণা মিটাতেও আমার পাঠাগার সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তবে পাঠাগার হবে একদম উন্মুক্ত, পাঠক যেন নিজেকে উজাড় করে দিয়ে ডুবে যেতে পারে জ্ঞান সমুদ্রে।
এটাই আমার সুপ্তে ইচ্ছে কিংবা লোভ-লালসা, দেখি কবে পূর্ণতা পায়।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনার চিন্তাধারায় সব সময় আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। আপনি পাঠাগার নির্মাণের চিন্তা করছেন এটা সত্যি অনেক বেশি আনন্দের। আসলে নিজের ইচ্ছে গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে কোন কাজ করলে অবশ্যই সফলতা আসে। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া। আশা করছি আপনার পাঠাগার নির্মাণের সুপ্ত ইচ্ছা পূর্ণ হবে।
ধন্যবাদ আপু, আমার অনুভূতি বুঝতে পেরে, মতামত দেওয়ার জন্য, আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি।
ওয়াও ব্লগটি পরে সত্যি আপনার ভক্ত হয়ে গেলাম 🙂, এই দুনিয়াতে একটি দীর্ঘ শ্রেণীর মানুষের যেখানে ধন-সম্পত্তের ক্ষুধা সেখানে আপনার জ্ঞানের ক্ষুধা। এটা আসলেই আপনাকে সবার থেকে আলাদা করে তোলে। পড়ালেখা করতে সত্যি বলতে আমার একটু বিরক্ত লাগে কিন্তু আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে জীবনে অনেক জ্ঞান অর্জন করতে হবে এটা খুবই জরুরী একটা বিষয়।
জীবন যেখানে যেমন ভাই, আমার আসলে মূলত জানা ও শেখার অনেক কিছু আছে, তাই এই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চাই।
বাহ্ দারুন তো। আপনার সুপ্ত বাসনা পড়ে কেমন যেন হিমু হিমু গন্ধ পেলাম ভাইয়া। একেবারে আনকমন। গ্রামীন পরিবেশে এমন একটি পাঠাগার করা হলে একদিকে যেমন গ্রামের মানুষ গুলোর জ্ঞান পিপাসা কিছুটা হলেও লাঘোব হবে অন্য দিকে আপনি নিজেও নিজের মনের মত করে পাঠাগার হতে নিজের জ্ঞানের পিপাসা মিটাতে পারবেন। খুব ভালো লাগলো আপনার আজকের আইডিয়া পড়ে।
একসময় হুমায়ূনের হিমুর কাল্পনিক চরিত্র নিজের ভিতর লালিত হতো, তবে সেটা বড্ড কঠিন একটা বিষয় ছিল।
ভাইয়া আপনার এই ইচ্ছেকে সাধুবাদ জানাই আর দোয়া করি আপনার এই সুপ্ত ইচ্ছে যেনো আল্লাহ তায়ালা পূরণ করার তৌফিক দেন। আপনি খুব সুন্দর একটি চিন্তাধারা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। ইনশাআল্লাহ খুব শীঘ্রই আপনার এই ইচ্ছের অবসান ঘটবে। সেদিন না হয় আমরা সবাই মিলে আপনার লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়ে আসবো। আপনার মতো আমার বড় ভাইয়ার ও একই চিন্তাধারা ছিল। যদিও বড় পরিসরে পারেনি তবে ঘরের মধ্যেই কয়েটি বুকসেলফ এনে বিভিন্ন বই দিয়ে সাজিয়ে তার এই ইচ্ছেটাকে পূরণ করেছে। সেই লাইব্রেরির বই প্রেমী ছিলাম আমি। আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অবশ্যই, আগে আমার লাইব্রেরীটা প্রতিষ্ঠিত হোক, তারপরে সবাইকেই দাওয়াত দেব।
বাহ্! আপনার সুপ্ত ইচ্ছের কথা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। দোয়া করি আপনার সুপ্ত ইচ্ছে যেনো খুব তাড়াতাড়ি পূরণ হয়। এতে করে আপনি যেমন মনের মধ্যে শান্তি অনুভব করবেন,তেমনি সেখানকার জ্ঞানপিপাসু মানুষেরাও বেশ উপকৃত হবে। তাছাড়া গ্রামে স্থায়ীভাবে থেকে যাবেন, এই ব্যাপারটা জেনে আরও বেশি ভালো লাগলো। সর্বোপরি আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল ভাই।
শহুরে জীবনের উপর বড্ড বিরক্তি চলে এসেছে, তাই এখন গ্রামেই স্থায়ীভাবে থেকে যেতে চাই।
ভাই আপনার কথাগুলো পড়ে আমার এতো ভালো লেগেছে অনূভুতি টা বলে বোঝাতে পারব না। আমার নিজেরও এই সুপ্ত ইচ্ছা টা আছে। ইনশাআল্লাহ আমিও ভবিষ্যতে আমার ব্যক্তিগত একটা লাইব্রেরি করব। সেই লক্ষ্যে এখন থেকেই বই সংগ্রহ করছি। প্রতি মাসে হাত খরচের টাকা থেকে বই কিনি। দাদার দেওয়া ঈদ সালামি দিয়ে প্রায় ২০০০ টাকার বই কিনেছি। আপনি আমার এই অনুপ্রেরণা টা আরও বাড়িয়ে দিলেন।
আপনার ব্যাপারটা জেনেও বেশ খুশি হলাম ভাই। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আমার মনে খুবই চমৎকার হবে ব্যাপারটা! গ্রামে পাঠাগার থাকলে অনকেই বই পড়তে আসবে। তাদের মাঝে যে জ্ঞান পিপাসা আছে সেটা পাঠাগারে নতুন নতুন বই পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবে। গ্রামের দিকে পাঠাগার তেমন দেখা যায় না। বলতে গেলে গ্রামের ছেলে মেয়েরা বই পড়ার পরিবেশটা পায় না। আমার মনে হয় আপনার পাঠাগার নির্মাণের উদ্যোগটি সফল হবে ভাইয়া। 🌸
দেখি ভাইয়া কি করা যায়, তবে খুব ধীরে সুস্থে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
আপনাকে সাধুবাদ জানাই। ব্যক্তিগত ভাবে অনেকেরই অনেক বই থাকেই। তবে পাবলিকের জন্য গণ লাইব্রেরি করতে চায় কয়জন! আপনি তাদের মধ্যে একজন।প্রবল ইচ্ছে যখন আছে, চেষ্টা চলতে থাকুক। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিন্দুকণা দিয়েই একদিন সমুদ্র সৃষ্টির মতোই আপনার পাবলিক লাইব্রেরি বানানোর স্বপ্নও পুরণ হবে এই প্রত্যাশা রইলো আমার পক্ষ থেকে।
দেখি আপু কি হয় সামনে, ইচ্ছে তো আছেই। অনুপ্রাণিত হলাম আপনার মন্তব্যে।