🥰 "পরিবারের সবার সাথে ইফতারের কিছু মূহুর্ত "
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে এখন কিছুটা ভালো আছি।
বন্ধুরা,আমি @shimulakter"আমার বাংলা ব্লগ" এর একজন নিয়মিত ও অ্যাক্টিভ ইউজার।বাংলায় ব্লগিং করতে পেরে আমার অনেক বেশী ভালো লাগা কাজ করে মনের মাঝে।তাইতো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত মনের নানান অনুভূতি গুলো নিয়ে নানা রকমের পোস্ট শেয়ার করে থাকি।আজ ও আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিযে।আশাকরি সবাই সঙ্গেই থাকবেন।
পরিবারের সবার সাথে ইফতারের কিছু মূহুর্তঃ
বন্ধুরা,বোনের বাসায় গিয়ে সুন্দর কিছু মূহুর্ত কাটিয়ে আজ বাসায় এসে পৌঁছালাম।আপনাদের কাছে সবকিছুই তো শেয়ার করা হয়।বোনের বাসায় গিয়ে সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়ে মনটা ভালো লাগায় পূর্ণ হয়েছে সেই কিছু অনুভূতি আজ শেয়ার করতে চলে এলাম।রমজান মাস রহমতের মাস।এই মাসে আল্লাহর রহমত পেতে প্রতিটি মুসলমান নর-নারী আল্লাহর ইবাদতে নিজেদেরকে মশগুল রাখার চেষ্টা করেন।আমরা ও চেষ্টা করি আল্লাহর রহমতের এই মাসে নিজেদেরকে আল্লাহকে খুশী করার।আর রমজানের রোজা আল্লাহকে খুশী করতে পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
শরীর সুস্থ পুরোপুরি না হলেও রমজানের রোজা রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। আর বোনের বাসায় আম্মুকে সাথে নিয়ে বেড়িয়েও এলাম।আম্মু,বোন, বোনের ছেলেমেয়ের সাথে ইফতার করলাম দুইদিন।সবাই মিলে একসাথে ইফতার করার মূহুর্তগুলো অনেক বেশী আনন্দের ছিল।বোনের বাসায় দুইদিন ছিলাম।বোন কিছুতেই আজ আসতে দিতে চায়নি।কিন্তু ছেলের টিচার আসবে পড়াতে তাই আর থাকার ইচ্ছে হলেও থাকা হলো না।গতকাল সন্ধ্যায় বোন অনেক কিছু তৈরি করেছিল ইফতারে।সবকিছুর মধ্যে ভাজা ভুজি খাবার,ছোলা, চিড়া দই তো থাকবেই।এরপর বাচ্চাদের জন্য চিকেন বিরিয়ানি, চিকেন কাবাব,আইর মাছ ও ভুনা করেছিল।আসলে ইফতারের আগে মনে হয় অনেক কিছু খাব।কিন্তু ইফতারের পর আর তেমন কিছু খাওয়া যায় না।বাচ্চারা ভাজা ভুজি কম ই খেতে চায়।আর তাই বাচ্চাদের চিকেন বিরিয়ানি ও কাবাব দেয়া হয়েছিল ইফতারে।
আমি ইফতারে সব সময় আগে খেজুর দিয়ে শুরু করি।এরপর চিড়া দই খেয়ে থাকি।ভাজাভুজি সবার সাথে বসলে সামান্য ই খাওয়া হয়।ফলের নানা রকমের আইটেম গুলো আমি খেয়ে থাকি।শরবত খাওয়ার পর খাওয়া একদম ফুল ফিল হয়ে যায়।বোন আবার হালিম ও রান্না করেছিল।রমজান মাসে হালিম না হলে যেনো চলেই না।সবাই মিলে ছেলেবেলার ইফতারের কথা মনে করে কতোই না কথা মনে এসে যায়।ছেলেবেলার সেই অনুভূতি গুলো অনেক বেশী আনন্দের।গতকাল সবাই মিলে খুব সুন্দর মুহুর্ত কেটেছে।পরিবারের সবার সাথে ইফতার করার আনন্দ অনেক বেশী মধুর।আর ছোট-বড় সবাই রোজা ছিল বলে ইফতারের সময়টা আরো বেশী ভালো লাগায় ভরে উঠেছিল।
গত দিনের অনুভূতি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম।আশাকরি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।আপনাদের ভালো লাগার মাঝেই আমার স্বার্থকতা।অসুস্থতা নিয়েও নিজেকে আপনাদের সাথে যুক্ত রেখে যাচ্ছি ভালোবাসা থেকে।আপনাদের ভালবাসা নিয়েই বেঁচে থাকতে চাই।ভালো থাকবেন সবাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে এমনটাই আশাকরি।
আজ আর নয়।সবাই সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন।আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | লাইফ স্টাইল |
---|---|
প্রয়োজনীয় ডিভাইস | Samsung A 20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | বসুন্ধরা, ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
বোনের বাসায় ঘুরতে গিয়ে সবাই মিলে বেশ মজা করে একসাথে নানান রকম আইটেমের ইফতার করেছেন দেখছি। ইফতারিতে এত আইটেম থাকলে তো দেখেই ভালো লাগে। প্রত্যেকটি আইটেম ভীষণ লোভনীয়। সবাই মিলে একসাথে ইফতার করার মজাই আলাদা। চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ দিদি সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য।
বোনের বাসায় পরিবারের সবাই মিলে একসাথে ইফতার করেছেন। সারাদিন রোজা রাখার পর পরিবারের মানুষদের সাথে ইফতার করার অনুভূতিগুলো অন্যরকম। ইফতারের আয়োজনে অনেক কিছুই ছিল। আমরাও ইফতার খেজুর দিয়ে শুরু করি। ভাজাপোড়া কম খাওয়াই ভালো। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
পরিবারের সবার সাথে ইফতার করার মধ্যে যে আনন্দ রয়েছে, এই আনন্দ আর কোথাও নেই। সবাই মিলে ইফতার করার মজাটাই আলাদা। আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত সবার মাঝে শেয়ার করেছেন। পুরো মুহূর্তটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। অনেক কিছুরই আয়োজন ছিল দেখছি। সবাই মিলে অনেক মজা করে খেয়েছিলেন বুঝতে পারছি। ইফতারের পুরো মুহূর্তটা দারুন ছিল নিশ্চয়ই আপনাদের।
সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
এভাবে পরিবারের সবাই মিলে যদি একসাথে ইফতার করা যায় তখন বেশ ভালোই লাগে। বোন এবং মা তার পাশাপাশি বোনের ছেলেমেয়ে সবাই মিলে খুব সুন্দর করে ইফতার আয়োজন করেছে শুনে খুবই ভালো লাগলো। অনেক কিছুই আয়োজন হয়েছে দেখছি। আসলে ভাজাভুজি এগুলো আমাদের সবারই উচিত একটু কম খাওয়া। তবে ভিন্ন ভিন্ন আইটেম করলে খেতে ভালোই লাগে। যাই হোক আপনার অনুভূতি পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু এটি শুনে ভালো লাগলো আপনি অসুস্থর মধ্যেও রোজা রাখছেন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। তবে ইফতারের সময় আপনজনগুলো একসাথে ইফতার করলে ভালো লাগে। আর পুরো দিন রোজা রেখে ইফতার করতে অন্যরকম মজা লাগে। আপনি দেখছি অনেকগুলো জিনিস দিয়ে ইফতার করেছেন আপন মানুষ সবাই মিলে। ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
হে আপু রোজা রাখতে পারছি আলহামদুলিল্লাহ। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
দিনশেষে পরিবারের মতো আপনজন কেউ নেই। আর পরিবারের সাথে ইফতার করার আনন্দই আলাদা। এতে করে নিজেদের মধ্যে আন্তরিকতা অনেক গাঢ় হয়। ইফতারে দেখছি অনেক কিছুর আয়োজন করেছিলেন আপু। বেশ ভালো লাগলো আপনার পরিবারের সাথে ইফতার করার মুহূর্ত পড়ে।