😊 " কিছু কেনাকাটা করতে যেতে হলো "
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
আমি @shimulakter,"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের মাঝে যুক্ত আছি।আমি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় নিয়ে ব্লগ শেয়ার করে থাকি।আমি বিশ্বাস করি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগে।আমি আমার প্রতিদিনের নানা রকম কর্মকান্ড থেকে কিছু কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি।আজ ও এসেছি এমন একটি বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে।আজ ভ্রমন পোস্ট শেয়ার করতে চলে এলাম।আশাকরি সঙ্গেই থাকবেন।
কিছু কেনাকাটা করতে যেতে হলোঃ
বন্ধুরা,আজ এসেছি নতুন একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করতে।আজকের পোস্টটি মূলত ভ্রমন পোস্ট।কিছু কেনাকাটা করতে সেদিন বরিশাল গিয়েছিলাম।আমরা গাড়িতে করে সন্ধ্যার কিছু আগেই রওনা করেছিলাম।আর সেখানে পৌঁছে যেতে সময় খুব একটা লাগেনি।কারন বরিশাল শহরে এসে জ্যাম পাইনি আমি।তাইতো খুব তাড়াতাড়ি চলে যেতে পেরেছিলাম।এরপর আমরা সোজা ইনফিনিটি মলে চলে গেলাম।এখানকার শোরুমটা বেশ বড় ই।আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম।
ছেলের জন্য ওর বাবা জিন্স দেখছিলো।আমি এই সুযোগে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম।আমরা দেখলাম সেখানে অনেক আইটেমের কাপড়ে বেশকিছু ডিসকাউন্ট চলছিলো।ছেলের বাবা ছেলের জন্য একটি জিন্স,হুডি আর নিজের জন্য ও একটি গেঞ্জি নিয়েছিল।আমিতো অন্য দিকে ফটোগ্রাফি করতে ব্যস্ত হয়ে পরলাম।আমি ছেলেকে বললাম দাঁড়াও তোমার ও ফটোগ্রাফি করবো।ছেলেও দাঁড়িয়ে গেলো।আর অন্যদিকে তার বাবা আমাদের দিকে কটমট করে তাকাচ্ছিল,হিহিহি।তার তাকানোতে ছিল এমন,এখানে ও এসে ফটোগ্রাফি করতে হয়?
সেখানে বেশকিছু বোরকার কালেকশন ছিল।আমি আমার পছন্দ মতো দু একটা বোরখা দেখছিলাম।হাসবেন্ড যখন জানতে চাইলো বোরকা পছন্দ হলো কিনা? আমি বললাম পছন্দ হয়েছে।এরপর নিতে বলল আমাকে।আমি জানতে চাইলে মলের আপুটি বলল,বোরকার উপর কোন ডিসকাউন্ট নেই।এরপর আমি আমার পছন্দের বোরকা ট্রায়াল দিলাম।
আমার পছন্দ মতো বোরকা আমি নিলাম।বোরকার দাম পরেছিল ৫৬০০ টাকা।এরপর আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় সবকিছু নিয়ে কাউন্টারে চলে গেলাম।এরপর বিল মিটিয়ে চলে আসবো তখন ছেলের চোখে পরেছে মিমি চকলেট।সে তো আরেক নাছোরবান্দা।ছেলের পছন্দ মতো মিমি ও নেয়া হলো।কতো মিমি,চকলেট,আইসক্রিম যে খেতে পারে তা আর কি বলবো।
সত্যি কথা বলতে কেনাকাটা করতে গেলে টার্গেট নিয়ে গেলেও তার বাইরে কেনাকাটা করা হয়েই যায়।আমি বেশকিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি।আশাকরি দেখে বুঝতে পেরেছেন এ জায়গার মলটা কতো বড় করে সাজানো গোছানো হয়েছে।বরিশালে আমি কখনো কেনাকাটা করিনি।এই প্রথম কেনাকাটা করে আমার খুব ভালো লাগলো।এখানে কোন জ্যাম নেই,লোকজনের ধাক্কাধাক্কি নেই।এজন্য বেশ ভালো লেগেছে আমার।আমার বোরকাটা জুম কাপড়ের উপর করা।ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম।তাই শেয়ার করলাম।আশাকরি আমার কেনাকাটা করার ভ্রমন ব্লগটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আপনাদের ভালো লাগার মাঝে আমার সার্থকতা।
আজ আর নয়।এখানেই আজ শেষ করছি আজকের ব্লগ।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | ভ্রমন | |
---|---|---|
প্রয়োজনীয় ডিভাইস | Samsung A 20 | |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter | |
স্থান | ইনফিনিটি মল,বরিশাল |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
এই ধরনের শপগুলোতে মোটামুটি লোকজনের সমাগম কম থাকে। তবে ঈদেরর সময় ভীড় হয় প্রচুর। আমারও ভীড়ের মধ্যে কেনাকাটা করতে ভালো লাগে না। ভীড় কম থাকলে দেখেশুনে শান্তিতে কেনা যায়। তবে বেশ গোছানো ও বড় শোরুমটি।