লাইফ স্টাইল -- 💖 " সপ্তাহে দুটো দিন খুব বেশী চাপের মধ্যে থাকা "
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
আমি @shimulakter,"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের মাঝে যুক্ত আছি।আমি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় নিয়ে ব্লগ শেয়ার করে থাকি।আমি বিশ্বাস করি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগে।আমি আমার প্রতিদিনের নানা রকম কর্মকান্ড থেকে কিছু কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি।আজ ও এসেছি এমন একটি বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে।আশাকরি সঙ্গেই থাকবেন।
সপ্তাহের দুটো দিন খুব বেশী চাপের মধ্যে থাকাঃ
বন্ধুরা,আজ নতুন একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করতে চলে এলাম।প্রতিনিয়ত নানা রকমের ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে জীবন অতিবাহিত হচ্ছে।এতো বেশী ব্যস্ততা খুব বেশী চাপের মধ্যে রাখছে।আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো আমার ব্যস্ত দুটো দিনের চাপের গল্প।আশাকরি সবাই সঙ্গেই থাকবেন।সময়টা খুব কঠিন সময় যাচ্ছে।পরিবার পরিজনের অসুস্থতা একটু বেশী মানসিক চাপের মধ্যে রাখছে।শারীরিক কষ্ট সহ্য করা গেলেও মানসিক কষ্ট সহ্য করা যায় না।তারপরেও সময় কেটে যায় কিন্তু মানসিক চাপ মনের মাঝে থেকেই যায়।
প্রিয় মানুষ গুলোর অসুস্থতা মনের মধ্যে খুব বেশী নাড়া দেয়।আপনারা অনেকেই জানেন আমার আব্বু একজন কিডনি রোগের পেসেন্ট।আর কিডনি এমন একটি রোগ যা কিনা দীর্ঘ মেয়াদি। এর থেকে একেবারে নির্মুল হওয়া যায় না।প্রতিনিয়ত হাসপাতাল আর বাসা এ দুটোর মাঝেই পেসেন্ট কে থাকতে হয়।আর তাই আব্বু সপ্তাহে প্রতি মঙ্গলবার ও শুক্রবার ডায়ালাসিস করাতে হাসপাতালে আসেন।আব্বুকে নিয়ে আম্মু আর বড় ভাইয়া আসেন।আজ মঙ্গলবার তাই আজ ও এসেছেন হাসপাতালে ডায়ালাসিসের জন্য।আমার ছেলের মিড টার্ম এক্সাম চলছিল।আজ ই শেষ হলো।আর তাই আব্বুকে হাসপাতালে দেখতে যাব বলে স্কুল থেকে এসেই চটজলদি কিছু রান্না আমি আব্বুর জন্য করে ফেলি।আব্বু ভাত একদমই খেতে চায় না।আর মাছ,মাংস টুকরো টুকরো দেখলে খেতে চায় না।তাই আম্মুকে বলেছি চালের সাথে মাংস মিলিয়ে খিচুড়ি করে খাওয়াতে।মাছ দিয়েও তেমন করে খিচুড়ি করে খাওয়াতে বলেছিলাম।কারন আব্বুর প্রোটিন খেতে হবে। আমি সপ্তাহের এই দুই দিন আব্বুর জন্য খাবার রান্না করে নিয়ে যাই।আর আব্বুকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে খাবার গুলো দিয়ে আসি।
আমি আজ স্কুল থেকে এসে মুরগির মাংস আর পোলাওয়ের চাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করেছি আব্বুর জন্য।এরপর সুজি রান্না করেছি।আর ডিম ও দুধ দিয়ে পুডিং তৈরি করে নিয়েছি।আব্বু একদমই খেতে চায় না।তাইতো ছোট বাচ্চাদের জন্য যেভাবে খিচুড়ি রান্না করতাম সবজি ও মুরগি দিয়ে আব্বুও এই খিচুড়ি খুব পছন্দ করে খেয়ে নেয়।তাই সপ্তাহে দুটো দিন এভাবে রান্না করে নিয়ে আব্বুর কাছে পৌঁছাই।শত কাজের মাঝেও আব্বুর পছন্দের খাবার আমি তৈরি করে নিয়ে যাই।বাবাকে ভীষন ভালোবাসি।এই ভালোবাসা বিনি সুতোর টানের মতো।কখনো মুখ ফুটে বলতে পারিনি বাবা তোমাকে ভালোবাসি।কিন্তু তারপরেও আব্বু জানে আমি কতোটা ভালোবাসি আমার বাবাকে।কিছু ভালোবাসা মুখে বলতে হয়না।তবে যার জন্য ভালোবাসা সে ঠিক ই বুঝে নেয়।দোয়া করি বাবার জন্য আল্লাহ তাকে সুস্থ করে নেক হায়াত দান করুন,আমিন।শত ব্যস্ততার মাঝে ও চাপে থাকা ও যেনো সুখের।
আজ আর নয়।আশাকরি আমার অনুভূতি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।সবাই সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে যাব।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | লাইফ স্টাইল |
---|---|
প্রয়োজনীয় ডিভাইস | Samsung A 20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X-promotion
বাবা মায়েদের জন্য সন্তানদের মন যেন সবসময় কাঁদে৷ নিজে হাতে আপনি আপনার বাবার জন্য খাবার তৈরি করে নিয়ে যাচ্ছেন এটা আপনার কাছে অনেকটাই শান্তির। প্রতিটি খাবারই খুব স্বাস্থ্যকর। এতকিছুর মধ্যেও আপনি কিন্তু আপনার বাবা কি মাঝেমধ্যে চিকেন সুপ দিতে পারেন। খুব দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য সুখ বা স্টু জাতীয় খাবার উপকারী।
জি দিদি তেমনই করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ধন্যবাদ জানাই মতামত প্রকাশ করার জন্য।
আপু আপনার বাবার জন্য আপনি বেশ চিন্তা করেন। আসলে বাবা অসুস্থ হলে সব মেয়েরাই অনেক বেশি চিন্তা করে। তিনি যদি মাছ মাংস না খান তাহলে তো প্রোটিনের ঘাটতি পড়ে যাবে। খিচুড়ির সাথে মাছ মাংস খাওয়ানোর আইডিয়াটা খুবই ভালো লেগেছে আপু।
মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আসলে পরিবারের অসুস্থ থাকলে একদম ভালো লাগে না। আপনার বাবার অসুস্থতার কথা শুনে খুবই খারাপ লাগলো তার সুস্থতা কামনা করছি। আমি আপনার বাবার জন্য হাসপাতালে রান্না করে নিয়ে যান জেনে খুবই ভালো লাগলো। নিজের মা-বাবাকে রান্না করে খাওয়াতেও ভাগ্যের প্রয়োজন আপনি তা পারেন সেটা দেখে আমি অনেক বেশি খুশি হলাম।
ধন্যবাদ আপু।