সার্কাস প্রথম পর্ব ❤️
হ্যালো
কেমন আছেন সবাই। আশা করছি খুবই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি সুস্থ আছি আপনাদের আশির্বাদে ও সৃষ্টি কর্তার কৃপায়।
আমি @shapladatta বাংলাদেশ থেকে। আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাই নিয়মিত ইউজার। আমি গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত আছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেবো সার্কাস নিয়ে কিছু কথা। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমাদের একালায় রওশন সার্কাস এসেছে। রওশন সার্কাস খুবই জনপ্রিয় সার্কাস। সার্কাস বহু বছর আগে দেখেছি। তখন আমি অনেকটা ছোট তবে মনে আছে সবটা।আমরা তখন আমার দিদুর বাবার বাড়ি প্যারিধ্যা জমিদার বাড়িতেই থাকতাম মাসের পর মাস।দিদুর মামার পরিবার ইন্ডিয়ায় থাকতেন জন্য দিদুর মামা বড্ডই একা ছিলো আর সেজন্য আমার দিদুকে বেশি থাকতে হতো তার মামার একাকিত্ব কাটানোর জন্য। বয়স্ক লোক তাই আমরা গেলে খুবই আনন্দ পেতেন। দিদু আমাদের দু বোনকে ও আমার পিসির তিন মেয়ে কে নিয়ে যেতেন এবং মাসের পর মাস থাকতেন। ওখান থেকেই সবাই স্কুল করতো।
একবার সার্কাস এসেছিল জমিদার বাড়ির পাশের বাজারে পাশে বল খেলার মাঠে।আমরা বলখেলা ফিল্ড নামে চিনতাম। বলখেলা মাঠটি আমার দিদুর মামার ছিলো এখন সরকারি হয়ে গেছে। এখন সেটিকে ঈদগাহ মাঠ বানিয়েছেন।
তো সার্কাস বল খেলা মাঠে হলেও সার্কাসের জন্য যে হাতি এনেছিলো তিন থেকে চারটি সেগুলো সব জমিদার বাড়ির মাঠে রাখতো এবং জমিদারি বাড়ির বিশাল পুকুরে স্নান করাতো।জমিদার বাড়ির পুকুরে নেমে স্নান করতো হাতি মাঠে বিশ্রাম করতো এবং স্না করার সময় হাতির সুরের মাধ্যমে জল দিয়ে খেলা দেখাতো।এবং স্নান করতো সুর দিয়ে জল তুলে তুলে।এগুলো আমরা মজা করে দেখতাম এবং এলাকায় যতো বাচ্চা ছিলো সবাই সারাদিন রাত জমিদার বাড়িতে থাকতো হাতি দেখার জন্য। বাচ্চাদের সাথে হাতি বল খেলতো বল বলতে গাছের বেল দিয়ে বল খেলতো বাচ্চাদের সাথে।বাচ্চারা বেল হাতিকে দিলে হাতি বাচ্চাদের মাঝে দিতো আবার অরিজিনাল বল দিয়ে খেলতো।
হাতি গুলো আসতো এবং মাহুতের ইশারায় বারান্দায় বসে থাকা দিদু কে ও জমিদার কে দেখলে সুরটি মাথায় তুলেে হাঁটু গেড়ে বিকট শব্দ করে নমস্কার দিতো এই দৃশ্য টি বেশ ভালো লাগতো।
একদিন বড়ো বাচ্চারা অরিজিনাল বল দিয়ে খেলছিলো আর বারান্দায় দাড়িয়ে দেখছিলো আমার দিদি তার বয়স তখন অনেক কম দশ বছর হবে।দিদির মাথায় হঠাৎ দুষ্ট বুদ্ধি আসে এবং একটি বেল দিয়ে হাতিকে ঢিল মারে আর হাতি তা বুঝতে পেরে বেলটি নিয়ে দিদিকে উদ্দেশ্য করে ঢিল ছোরে।দিদি ঢিল দিয়ে দৌড়ে দরজা বন্ধ করে দেয় আর বলটি গিয়ে বিকট শব্দে দরজায় গিয়ে আঘাত করে।হাতিটি ঢিল ছোরার আগে বিকট শব্দ করে আর দরজায় বিকট শব্দ শুনে দিদু অন্য রুম থেকে এসে দেখে এই অবস্থা। দিদু তো হাতির মাহুতের সাথে রাগারাগি করে আর তখন মাহুত ঘটনাটি বলে এবং বলে যে আমি বুঝে ওঠার আগেই ঘটনাটি ঘটে গেছে আমি বুঝতে পারলে এমন হতো না। আসলে হাতিকে ঢিল দেয়ার কারণে রেগে গেছে এবং এমন করেছে।
আমরা বিকেলে সার্কাস দেখতে যেতাম। জমিদার বাড়ির সদস্যদের জন্য প্রথম শ্রেনীর টিকিট ফ্রী ছিলো।আমরা প্রতি দিন সার্কাস দেখতে যেতাম।কতো কতো পশুপাখি,বন মানুষ দেখতাম আর সেগুলো দেখতে খুবই ভালো লাগতো।বিনোদন দেয়ার জন্য বনমানুষ গুলো থাকতো আর সেগুলো দেখতে ভালো লাগতো।বন মানুষ গুলো খুবই বিনোদন দিতো মানুষ কে।বানর,ভাল্লুক,সজারু,হাতি এগুলো যতোই দেখতাম ততই দেখার সাদ মিটতো না।
আজকের মতো শেষ করছি আগামী পর্বে বিস্তারিত নিয়ে আসবো আপনাদের মাঝে।
টাটা
চলবে
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
ডিভাইস | OppoA95 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।
দ্বিগ্ৰেড রওশন সার্কাস প্রথম পর্ব শেয়ার করেছেন। রওশন সার্কাস দেখতে অনেক বেশি ভালো এবং অনেক আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। সাধারণত মেলায় গেলে এ ধরনের সার্কাস গুলো বেশি দেখতে পাওয়া যায়। আপনার প্রথম পর্বটি পড়ে অনেক বেশি ভালো লাগলো। আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।